Thursday, December 28, 2017


বিচারক অপসারণ বিতর্কে সমাধান সুত্র


এম. জসিম আলী চৌধুরী
দৈনিক সমকাল, "মুক্তমঞ্চ", ১৮ জুলাই ২০১৭  

(আজকের দৈনিক সমকালের "মুক্তমঞ্চ" পাতায় প্রকাশিত। স্থান সংকুলানের স্বার্থে লেখাটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিতে হওয়ায় এখানে আমার মূল লেখাটি সহ সমকালের লিংক তুলে দিচ্ছিঃ http://bangla.samakal.net/2017/07/18/309015)


উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ প্রশ্নে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া সর্বসম্মত রায়টি জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সচেতন মহলেও এটি এক ধরণের অবচেতন সন্তুষ্টি (complacency) সৃষ্টি করতে পেরেছে। বাংলাদেশের সমকালীন রাজনৈতিক ইতিহাসের সাদামাটা মূল্যায়ন করতে গেলেও দেখা যাবে প্রায়শই সরকারী দলের একচেটিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভরপুর জাতীয় সংসদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের কাঙ্ক্ষিত শ্রদ্ধা ও আস্থা অর্জন করতে পারেন নি। এর পেছনে সংসদ সদস্য হিসেবে অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে করছেন এবং নিকট ভবিষ্যতে করতে পারেন এমন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা, চিন্তা, কর্ম এবং সুনামের সংকটই মুলত দায়ী। অতএব, আপিল বিভাগের রায়ের পর সংবিধানের জটিল মার-প্যাঁচ না জানা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আইনজ্ঞ মহলের বিশাল একটি অংশও স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সংবিধানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে অবশ্য ষোল সংশোধনীর আলোচনা অনকেটাই বৈপরীত্যে ভরপুর। বৈপরীত্যের কথা বলতে গিয়েও স্বস্থি নেই। শ্রোতারা অনেকেই আমাদের "তাত্ত্বিক" বলছেন এবং "বাস্তবতা" উপলব্ধি করার ব্যর্থতার অভিযোগ আনছেন। এ নিবন্ধে "তাত্ত্বিক" বৈপরীত্যগুলো সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। তবে বাস্তবতার প্রশ্ন দিয়েই আলোচনা শুরু করতে চাই।
বিচার বিভাগের অবস্থানের মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিঃ
মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায় এবং আপীল বিভাগে মামলার শুনানির ধারা পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে, ষোল তম সংশোধনী নিয়ে বিচার বিভাগের অবস্থানের পেছনে দুটি সুনির্দিষ্ট মনস্তাত্ত্বিক কারণ অন্য যে কোন ধরণের সাংবিধানিক এবং আইনি যুক্তিবোধের উপরে স্থান পেয়েছে। প্রথম কারণটি আগেই বলেছি - প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংসদ ও ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যের ব্যাপারে বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী এবং বিচারকদের আস্থাশীল হতে না পারা। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্য জনগণের সামনে খুব বেশি আসে নি। সেটি হচ্ছে বিচারক অপসারণের আগের ব্যবস্থা (জুডিশিয়াল কাউন্সিল)-টিতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারকদের একটি সুনিশ্চিত (guaranteed) ও গতি নির্ধারক (decisive) অংশগ্রহণ ছিল, যেটি ১৬-তম সংশোধনীর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা মূল ব্যবস্থা (সংসদীয় অপসারণ)-টিতে নিশ্চিত নয়। বিচারক অপসারণ প্রক্রিয়ায় জ্যৈষ্ঠ বিচারকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়াটা উচ্চ আদালতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সুপ্রিম কোর্টের এ মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান আমরা আগেই দেখতে পেয়েছি। পঞ্চম সংশোধনী মামলা (15 MLR (AD) 249)-য় সামরিক শাসক মেজর জিয়ার প্রায় সব সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হলেও বিচারক অপসারণের জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থাটি রেখে দেয়া হয়। বিস্তারিত যুক্তি তর্কে না গিয়ে আপিল বিভাগ শুধু বলেছিলেন পরিবর্তিত ব্যবস্থাটি আগের ব্যবস্থার চেয়ে অধিকতর স্বচ্ছ (more transparent) এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বপক্ষে (safeguarding independence of judiciary) (পূর্ণাঙ্গ রায়ের ১৭৭ দেখুন)। এরকম এক লাইনের ব্যাখ্যা দিয়ে মূল সংবিধানের একটি গুরত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে মেনে নেয়ার সমালোচনা তখন অনেকেই করেছিলেন। তবে ১৬-তম সংশোধনী মামলার রায়ে আদালত তাঁর আগের অবস্থান ধরে রেখেছেন এবং বিস্তারিত ব্যাখা দেয়ার সুযোগও পেয়েছেন। দেখার বিষয় হচ্ছে, এবারের বিস্তারিত ব্যাখ্যা কতটুকু যুক্তিনির্ভর আর কতটুকু ধারণা (perception) নির্ভর। কারণ সাংবিধানিক মামলার বিচারে ধারণা ও যুক্তি-র ফারাক করা খুব জরুরী।
সংসদীয় অপসারণ ব্যবস্থা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে বলে মহামান্য আদালত এবং সম্মানিত এমিকাস কিউরিরা "মনে করলেই" ব্যবস্থাটি অসাংবিধানিক হয়ে যাবে না। দেখতে হবে সংবিধানে যে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ও ভারসাম্য রক্ষার প্রক্রিয়ায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অনির্বাচিত বিচারকদের নিয়োগ ও অপসারণে "সাংবিধানিকভাবে অংশ নিতে পারেন কি না"। মহামান্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত না হওয়ায় আমি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের ভিত্তিতেই ব্যাপারটি মূল্যায়ন করতে চাই। সুবিধা হচ্ছে, সম্মানিত এমিকাস কিউরি এবং পক্ষ বিপক্ষের আইনজীবীরা উভয় আদালতে মোটামুটি একই বক্তব্য দিয়েছেন এবং আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় সমর্থন করেছেন। মাননীয় এটর্নি জেনারেলের একটি নতুন যুক্তি ছাড়া আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের শুনানি মোটামুটি একই রকম।
সাংবিধানিক মামলার বিচারে জনমতের প্রভাবঃ
হাইকোর্ট বিভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের আগাগোড়া পড়লে দেখা যায় মহামান্য আদালত এবং বিজ্ঞ এমিকাস কিউরিদের যুক্তি-তর্কের সিংহভাগ জুড়ে ১৬তম সংশোধনীর পেছনে রাজনৈতিক সরকারের (অসৎ) উদ্দেশ্য এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণেèর ব্যাপারে সাধারণ মানুষের অনুভূতি-ই প্রাধান্য পেয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ১৬তম সংশোধনী যদি জনগণের দৃষ্টিতে (in public perception) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণè করে তাহলে আদালত তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন (হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের ১৩৯ পৃষ্টা দেখুন)। সংবিধান বিশারদ Geoffrey Rivlin তাঁর Understanding the Law (Oxford, Sixth Edition (2012)) বইয়ের ৮৪ পৃষ্ঠায় আইনের আদালতে এ ধরণের জনগণ তাড়িত বিচার (justice by plebiscite)-কে পরিতাজ্য বলেছেন। গণতন্ত্রে জনগণের মর্জি বুঝে চলার দায় জনপ্রতিনিধিদেও, বিচারকদের নয়। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার করা পঞ্চম সংশোধনীর ব্যাপারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জিয়ার জনসমর্থনের যুক্তি তুলে ধরলে বিচারপতি খায়রুল হক তাঁর রায়ের ২০৪ পৃষ্ঠায় বলেছিলেন, "আদালত গণভোটের ভিত্তিতে বিচার করেন না, আইনের ভিত্তিতে করেন" (2006 (Special Issue) BLT (HCD))। সম্ভবত একই কারণে জেনারেল এরশাদের করা হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণের সংশোধনীটি জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। এখন নৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট বিকেন্দ্রিকরণের প্রশ্নে জনবিমুখী অবস্থান নেয়া বিচার বিভাগ আবার বিচারকদের চাকুরীর শর্ত স¤পর্কিত প্রশ্নে জনমতের আশ্রয় নিতে পারেন কিনা। আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধান সংশোধনীর মত তাৎপর্যপূর্ণ একটি আইনকে অবৈধ বলতে হলে শুধুমাত্র সাংবিধানিক ও আইনি যুক্তির উপর দাড়িয়েই বলতে হবে, জনমত বা অন্যকোন কিছুর ভিত্তিতে নয়।
সাংবিধানিক মামলার বিচারে ধারণা ও যুক্তির ফারাকঃ
এ মামলার আরেকটি লক্ষ্যণীয় দিক হচ্ছে, আবেদনকারী আইনজীবী এবং বিশেষ করে সম্মানিত এমিকাস কিউরিরা ১৬তম সংশোধনী কায়েম হলে অদূর ভবিষ্যতে সংসদ ও সংসদ সদস্যদের সম্ভাব্য আচরণ কেমন হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিতেই প্রায় পুরো সময় পার করেছেন। পত্র-পত্রিকা মারফত আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবীদের যে বক্তব্য পেয়েছি তার প্রায় পুরোটাকেই আমার আইনি যুক্তিতর্কের বদলে জনসমাবেশের বক্তৃতা বলে মনে হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী এবং মহামান্য বিচারকরা বলতে চেয়েছেন - সংসদ সদস্যদের ৭০ ভাগ ব্যবসায়ী, তাঁরা তাদের সংসদীয় কাজে মনোযোগী নন (হাইকোর্টের রায়ের ৪৫ পৃষ্টা), আইন প্রণয়নে তাঁদের দক্ষতা নিচু মানের (হাইকোর্টের রায়ের ১৪৬ পৃষ্টা), তাঁদের অনেকেরই ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড আছে (হাইকোর্টের রায়ের ৫০ পৃষ্টা) এবং ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে তাঁরা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম (হাইকোর্টের রায়ের ৪৯ পৃষ্টা), ইত্যাদি। সন্দেহ নেই, জনমানসে এ ধরণের যুক্তি বেশ আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় হবে। কিন্তু সমস্যা হল আইনের আদালতে আইনের বিচার কেবলমাত্র আইনের মাপকাঠিতেই হতে পারে, জনপ্রিয় ধ্যান-ধারণা (populist dogma)- র ভিত্তিতে নয়। তাছাড়া এ ধরণের জনপ্রিয় যুক্তি আমাদের সমাজের প্রায় সবক্ষেত্রেই খাটবে। আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচুর নিম্মমানের ও নিচু নৈতিকতার শিক্ষক আছেন। আমাদের প্রশাসনে প্রচুর অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা আছেন। অতি নিম্মমানের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীরাও আমাদের সমাজে আছেন। অথচ আমরা কেউ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিচারালয়, প্রশাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানাা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি গণঅনাস্থা জ্ঞাপন করে সেখান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছি না।
সাংবিধান ব্যাখ্যায় "প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি"র গুরুত্বঃ
অথচ যুক্তির কথা হচ্ছে ১৬তম সংশোধনীর বিচার হবে সাধারণ্যে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় সংসদের সংবিধানিক ক্ষমতা ও এখতিয়ারের প্রশ্নে। সংসদ সদস্যরা ব্যক্তি হিসেবে কতটুকু ভালো বা কতটুকু মন্দ সেটি এ মামলার বিচার্য হতে পারেনা। সাংবিধানিক আইনের লিটারেচারে আমরা একে "প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গী" বা "প্রাতিষ্ঠানিকতা" (institutionalism) বলি। ক্ষমতার পৃথকীকরণ ও ভারসাম্যনীতির আধুনিক রূপকার হচ্ছেন আমেরিকান সংবিধানের অন্যতম জনক জেমস ম্যাডিসন। ম্যাডিসন তাঁর ফেডারেলিস্ট পেপার ৫১-তে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যক্তির উচ্চাবিলাস নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আবার প্রতিষ্ঠানের উচ্চাভিলাষ নিয়ন্ত্রণ করা হবে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের সাংঘর্ষিক অভিলাষের মাধ্যমে (ambition must be checked by counter ambition)।
লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হচ্ছে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারী আইনজীবী, বিজ্ঞ সিনিয়র এমিকাস কিউরি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের পুরোটা জুড়েই সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদে (২২ অনুচ্ছেদ) বলা ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতিকে মহিমান্বিত করা হয়েছে। অন্যদিকে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ (মৌলিক নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা ও বিচার বিভাগের অক্ষমতা), তৃতীয় ভাগ (মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বিচার বিচাগের ক্ষমতা ও সংসদের অক্ষমতা), চতুর্থ ভাগ (সংসদ ও বিচার বিভাগের কাছে নির্বাহী বিভাগের দায়বদ্ধতা), পঞ্চম ভাগ (আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন এবং রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সংসদের ক্ষমতা) এবং ষষ্ঠ ভাগ (মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে ও আইনের প্রয়োগে বিচার বিচাগের ক্ষমতা)-এর সামগ্রিক পাঠে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার¯পারিকতার যে কাঠামোগত অবয়ব (structural shape) লক্ষ্যনীয় হয় সেটিকে স¤পূর্ণ অবজ্ঞা করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে বিচার বিচাগের ব্যাপারে সংসদের নাক গলানো (poking of nose) ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির লঙ্ঘন (হাইকোর্টের রায়ের ৪৫ পৃষ্টা)। সংসদের অভিশংসন বিচারের ক্ষমতাকে বিচারিক কর্ম আখ্যা দিয়ে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করে বসেন যে সংবিধান অনুযায়ী সংসদের এ ধরনের বিচারিক কাজ করার সুযোগ নেই। সংসদের কাজ শুধুই আইন প্রণয়ন এবং সংবিধান রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের ভেতর নিশ্চিদ্র পৃথকীকরণ (water tight separation) এর পক্ষে (হাইকোর্টের রায়ের ২৪ পৃষ্টা)! অথচ স্বয়ং মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের ক্ষেত্রেও জাতীয় সংসদ এ ধরণের "বিচারিক কর্ম" স¤পাদন করেন এবং সেটি সংবিধান সম্মতভাবেই। তাছাড়া আইন প্রণয়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগার রক্ষণ এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সংসদের সরাসরি ভূমিকা ব্রিটিশ সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রও বটে। সন্দেহ নেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বাংলাদেশ সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো। প্রশ্ন আসে, ৭ম অনুচ্ছেদ তথা জনগণের সার্বভৌমত্ব কি সবচেয়ে বড় মৌলিক কাঠামো নয়? সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামোকে অতি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্যান্য মৌলিক কাঠামোগুলোকে অবজ্ঞা করা এবং এদের মধ্যে ভারসাম্য সাধনের চেষ্টাকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করা সংবিধান ব্যাখ্যার সঠিক পদ্ধতি বলে বিবেচিত হতে পারে না। দুঃখজনকভাবে, ১৬তম সংশোধনী মামলার কোন এমিকাস কিউরি ক্ষমতার ভারসাম্য নীতিকে বিবেচনায়ই ধরেন নি। শ্রদ্ধেয় ডঃ কামাল হোসেন স্যার সহ প্রায় সব এমিকাস কিউরি বিচারকদের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় সংসদের প্রস্তাবিত অংশগ্রহণকে ভারসাম্য (check and balance) হিসেবে না ধরে হস্তক্ষেপ (interference) হিসেবে দেখিয়েছেন (হাইকোর্টের রায়ের ৩৯ পৃষ্টা)। মাননীয় এটর্নি জেনারেল ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও সেটি কেঊ গায়ে মাখেন নি (হাইকোর্টের রায়ের ২৮ পৃষ্টা)।
অথচ সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদ দেখলে দেখা যাবে বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের। এ কথা সত্যি যে সংসদ এখনো আইন করেন নি বলে ক্ষমতাটি নির্বাহী বিভাগ প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে চর্চা করছে। কিন্তু সংসদ আজই আইন প্রণয়ন করে বলতে পারেন, প্রধান মন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে বঙ্গভবন কর্তৃক মনোনীত বিচারকদের সংসদের অনুমোদন (confirmation) সাপেক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে হবে। সংসদ তেমন একটি আইন করলে সেটি ৯৫ (নিয়মিত বিচারক) এবং ৯৮ (অতিরিক্ত বিচারক) অনুচ্ছেদের কোন কিছুর সাথেই সাংঘর্ষিক হবে না। প্রশ্ন আসে সংসদ যদি সাংবিধানিকভাবেই বিচারক নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারে তাহলে অপসারণে কেন নয়?
সংবিধানের সামগ্রিক পাঠে আরও একটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয়। সংসদ প্রণীত আইনের বৈধতা বিচারের ক্ষমতা বিচার বিভাগের। মৌলিক কাঠামো নীতি প্রচলনের পর সংবিধান সংশোধনের বৈধতা যাচাই করার ক্ষমতাও বিচার বিভাগের। আমাদের দৃষ্টিতে এটি ভারসাম্য (check and balance) নীতির প্রয়োগ। অথচ বিচার বিভাগের কোন কিছুতে সংসদের অংশগ্রহণের প্রশ্ন আসলেই আমরা বলছি হস্তক্ষেপ (interference)! মূল সংবিধান কিন্তু যথার্থ অর্থেই বিচার বিভাগকে সংসদের আইনের বৈধতা বিচারের ভার দিয়েছেন আর বিপরীতে সংসদকে বিচারক নিয়োগ এবং অপসারণে ভূমিকা রাখার সুযোগ দিয়েছেন (মূল সংবিধানের ৯৫ ও ৯৬ অনুচ্ছেদ)। বাংলাদেশে ক্ষমতার পৃথকীকরণ আছে, ভারসাম্যও আছে। ভারসাম্য সাধনের কোন চেষ্টাকে হস্তক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। বিশেষত মূল সংবিধানে দেয়া কোন ভারসাম্যমূলক বব্যস্থাকে ঐ সংবিধানেরই মৌলিক কাঠামের পরিপন্থী বলার চেষ্টা যুক্তিসঙ্গত নয়। আপাতত আমরা আপিল বিভাগে এটর্নি জেনারেলের দেয়া এ যুক্তিটি প্রসঙ্গে মহামান্য আপিল বিভাগ কি বলেন সেটি দেখার অপেক্ষায় থাকতে পারি।
প্রিয় পাঠক, এ নিবন্ধের শুরুতে ১৬তম সংশোধনী প্রশ্নে উচ্চ আদালতের অবস্থানের পেছনে দুটি নির্দিষ্ট মনস্তাত্ত্বিক কারণ দেখিয়েছিলাম - এক, প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংসদ এবং ব্যক্তি হিসেবে সাংসদদের ব্যাপারে বিচার বিভাগের আস্থাহীনতা এবং দুই, উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের মত ¯পর্শকাতর প্রক্রিয়ায় সিনিয়র বিচারকদের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা চাওয়া। নিবন্ধের এ অংশে সংবিধানের প্রাতিষ্ঠানিক এবং কাঠামোগত ব্যাখ্যার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছি তাতে ¯পষ্ট হয় যে, উচ্চ আদালতের এ দুটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বাদ দিলে শুধু সংবিধান ও আইনের আশ্রয় নিয়ে এ রায়কে সমর্থন করা আমাদের মত সংবিধানের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কঠিন।
সংকটের সমাধান সুত্রঃ
প্রশ্ন আসে, ১৬ তম সংশোধনী বহাল রেখেও কি উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারকদের এ দুটি মনস্তাত্ত্বিক অস্বস্তি দূর করা যেত? আমরা বিশ্বাস করি তা করা যেত। দৈনিক পত্রিকার সাধারণ পাঠকদের উদ্দেশ্যে লিখছি বলে খুব বেশী জটিল আইনি বিশ্লেষণে যাচ্ছি না।
প্রথমত, আমার মতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা দলীয় প্রধানের কাছে জিম্মি থাকাটা এ মামলার মূল সমস্যা নয়। কারণ বর্তমান বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারণ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কি করবেন না করবেন তার প্রায় পুরোটাই দলীয় প্রধান (প্রধান মন্ত্রী)-র কাছে জিম্মি। সংসদ সদস্যদের জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যা রাষ্ট্রপতির জন্য ৪৮(৩) অনুচ্ছেদও তা। দলবদ্ধ সংসদ সদস্যরা বরং একজন মাত্র রাষ্ট্রপতির চেয়ে বেশী স্বাধীন। তারপরও বিচারক অপসারণের প্রক্রিয়াকে অধিকতর স্বচ্ছ করার স্বার্থে এ প্রক্রিয়ার ভোটাভুটির সময় ৭০ অনুচ্ছেদকে সীমিত করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করা যেত। বিচারক অপসারনে আইন কমিশনের প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটিতে আমরা সে ধরনের একটি সুযোগ দেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, ১৬ তম সংশোধনীকে অক্ষুণè রেখে উচ্চ আদালত প্রস্তাবিত আইনটির জন্য অপেক্ষা করতে পারতেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণèকারি কিছু দেখলে আইনটিকেই অসাংবিধানিক ঘোষণা করার সুযোগ ছিল। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ অবশ্য অপেক্ষা করতে রাজি হন নি। বলেছেনে বিচারক অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারি আইন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই, মূল সংবিধানের এ বব্যস্থাটি নিজেই (in itself) অসাংবিধানিক ((হাইকোর্টের রায়ের ৬৭ পৃষ্টা)।
দ্বিতীয়ত, সংসদীয় অপসারণ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারকদের নিশ্চিত (guaranteed) ও গতি নির্ধারক (decisive) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই ছিল এ মামলার মূল সমস্যা। মূল সংবিধান বা ১৬তম সংশোধনীর ৯৬ অনুচ্ছেদের কোথাও বিচারকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে উচ্চ আদালতের সিনিয়র বিচারকদের অংশগ্রহণ বারিত করা হয় নি। ৭০ অনুচ্ছেদের সমস্যার মত অংশগ্রহণের এ সমস্যাটিও আইনের মাধ্যমে সমাধান করা যেত। বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের আইনের মত প্রস্তাবিত অভিযোগ তদন্ত আইনের রূপরেখা চেয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে একটি ১০৬ অনুচ্ছেদের রেফারেন্স পাঠাতে পারতেন। সরকার এবং রাজনৈতিক শক্তির সদিচ্ছা থাকলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করার অনেক পথই খোলা ছিল। দুঃখের কথা হল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পার¯পারিক সন্দেহ এবং রাজনৈতিক জেদাজেদির খপ্প্ররে পড়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত এবং আইন সভা মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়ে গেল।

এম জসিম আলী চৌধুরী
দৈনিক সমকাল, মুক্তমঞ্চ,  ১২/০৮/২০১৭

[আজকের (১২/০৮/২০১৭) দৈনিক সমকালের মুক্তমঞ্চ পাতায় প্রকাশিত। পাকিস্তানি সুপ্রিমকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের পতনে আমরা যারা উদ্বেলিত অথবা উদ্বিগ্ন তাদের জন্য তাদের জন্য আগ্রহ উদ্দীপক হতে পারে। দৈনিক সমকালে স্থান সংকুলানের জন্য কিছুটা পরিমার্জিত হওয়ায়, এখানে আমার মূল লেখাটা তুলে দিচ্ছি। শেষে সমকালের অনলাইন লিংক দেয়া আছে।]


নির্বাচনকালীন দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আয় গোপন করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফ। পানামা পেপারস নামের একটি বৈশ্বিক সাইবার কেলেঙ্কারিতে ফাঁস হয় নওয়াজ শরিফ অতীতে দুবাই ভিত্তিক একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সে সুত্রে পাওয়া ১০ হাজার দিরহামের হিসাব তিনি তাঁর নির্বাচনকালীন সম্পদ বিবরণীতে দেননি। ফলে পাকিস্তানী সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংসদ সদস্য পদে থাকার অযোগ্য ঘোষিত এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন নওয়াজ। এর আগে আরেক ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার দায়ে দন্ডিত হয়ে পদ হারান। এ নিয়ে পাকিস্তানের ১৮ জন প্রধানমন্ত্রীর কেউই তাঁদের মেয়াদ পূরণ করতে পারেন নি। এর মধ্যে নওয়াজ শরীফ নিজেই তিন-তিন বার পদ হারালেন। প্রধানমন্ত্রীরা পদ হারিয়েছেন হয় রাষ্ট্রপতির নির্দেশ বা বহিস্কারাদেশের মাধ্যমে, নয় রাষ্ট্রপতির সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ফলে অথবা সরাসরি সেনা অভ্যূত্থানের মাধ্যমে।
জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার প্রধানের আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারানোর ঘটনা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং বিজ্ঞ মহলকে বেশ আলোড়িত করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে এটি পাকিস্তানী সুপ্রিম কোর্টের সাহসিকতা ও বিচারিক স্বকীয়তার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিজ্ঞ মহলের কেউ কেউ অবশ্য এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ইশারা ইঙ্গিত এবং সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা আঁচ করছেন এবং দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার উপর আশু হুমকির আশঙ্কা করছেন। প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে - ১) পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কি জেনে বুঝে সামরিক বাহিনীর স্বার্থ রক্ষা করছেন? নাকি ২) বিচারিক তৎপরতা (judicial activism)-র অতি প্রয়োগ করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সেনাবাহিনীর স্বার্থ উদ্ধারের গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন?
১.
পৃথিবীর অন্য অনেক সাংবিধানিক ব্যবস্থায় প্রথম প্রশ্নটি বেশ অস্বাভাবিক বিবেচিত হলেও, পাকিস্তানী রাজনীতিতে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের হস্তক্ষেপ এবং এর প্রতি বিচার বিভাগীয় সহনশীলতা (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমর্থন)-র "স্বাভাবিক" ইতিহাস নিঃসন্দেহে এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ করে দেয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি জম্ম নেয়ার পর থেকে হিসেব করলে দেখা যায়, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বরাবরই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অগণতান্ত্রিক শক্তির অনুপ্রবেশ এবং হস্তক্ষেপে সহায়ক শক্তির ভূমিকা নিয়েছেন।
জম্মের মাত্র ছয় বছরের মাথায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করেন প্রধান বিচারপতি মুনির। ১৯৫৩ সালের গোঁড়ার দিকে সেনাবাহিনীর ইঙ্গিতে জামাত নেতা আবুল আলা মওদুদি করাচী ও লাহোর জুড়ে কাদিয়ানী দাঙ্গা উস্কে দেন। পুরো মার্চ-এপ্রিল জুড়ে সংগঠিত গণহত্যার দমনের অজুহাতে বেসামরিক সরকারের অনুমিত ছাড়াই মেজর জেনারেল আজম খান রাস্তায় নেমে আসেন। লাহোরে সামরিক আইন জারি করা হয় এবং কোর্ট মার্শালের নামের অনেককেই তাৎক্ষনিক বিচার ও শাস্তি দেয়া হয়। এ রকম একটি বিচারকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে বিচারপতি মুনির এটিকে বৈধতা দেন (Mohammad Omar Khan v. Crown 5 DLR (WP) 115)। পাকিস্তানের গণতন্ত্রকামী বিমান সেনা এয়ার মার্শাল আজগর খান তাঁর Generals in Politics বইয়ে লিখেন, সেনাবাহিনীর জন্য এটি ছিল ক্ষমতার প্রথম আহবান। ১৯৫৩ সালেই আরেকবার রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের বেআইনি হস্তক্ষেপকে বৈধতা দেন বিচারপতি মুনির। গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদের স্বেচ্ছাচারিতার স্বীকার হয়ে পাকিস্তানের নির্বাচিত গণপরিষদ ভেঙ্গে গেলে বিচারপতি মুনির তাঁর কুখ্যাত ডকট্রিন অব নেসেসিটির আশ্রয় নিয়ে গোলাম মোহাম্মদের পাশে দাঁড়ান (Moulovi Tamizuddin Khan v. Federation of Pakistan 7 DLR (P) 121 এবং Special Reference of the Governor General 7 DLR (FC) 395)। ৫ বছর পর, ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে ইস্কান্দার মীর্জা ও আইয়ুব খানের যৌথ উদ্যোগে প্রত্যক্ষ সেনাশাসন জারি হলে বিচারপতি মুনির তাঁর আরেক কুখ্যাত তত্ত্ব ডকট্রিন অব ইফিকেসি নিয়ে আবারো সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ান (State v. Dosso 11 DLR (SC) 1)। তারও আগে, বিচারপতি মুনির আইয়ুব ইস্কান্দারকে ক্ষমতা নেয়ার পথ কিভাবে বাতলে দিয়েছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ এয়ার মার্শাল আজগর খানের Generals in Politics বইয়ে পাওয়া যায়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয় এবং ভুট্টোর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মত রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপের নিন্দা করেন (Asma Jilani v. Punjab PLD 1972 SC 139)। সুপ্রিম কোর্টের এ সাহসিকতা অবশ্য পাঁচ বছরের বেশি টেকেনি। ১৯৭৭ সালে জিয়াউল হক ক্ষমতা নিলে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা সেনা সরকারের নতুন সংবিধানের অধীনে নতুন শপথই শুধু নেননি বরং পাকিস্তানের চার প্রাদেশিক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরা সামরিক আইনের অধীনে নিজ নিজ প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্বও নেন। সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে প্রধান বিচারপতি ইয়াকুবকে সরিয়ে বিচারপতি আনোয়ারুল হকŴক নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। এরম মাধ্যমে দেখা গেল, জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী বেগম নুসরাত ভুট্টো পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে জিয়াউল হকের ক্ষমতা গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করার আগেই সুপ্রিম কোর্ট জিয়াউল হকের সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার মেনে নিয়েছেন! অতএব Begum Nusrat Bhutto vs. Chief of the Army Staff 1977 PLD 703(SC) মামলাটি বিচারপতি মুনিরের ১৯৫৩ সালে দেয়া ডকট্রিন অব নেসেসিটি দিয়ে সেনা বাহিনীর পক্ষেই নিস্পত্তি হয়। কদিন পরে, সেনা প্রধান জিয়াউল হক রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চাইলে Malik Ghulam Jilani v. Punjab PLD 1979 Lahore 564 মামলায় সেটিকেও বৈধতা দেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচুত্য করেন। এবারও দেখা যায় পাকিস্তানী সুপ্রিম কোর্ট ডকট্রিন অব নেসেসিটি দিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে মামলা নিস্পত্তি করেন (Syed Zafar Ali Shah vs. General Parvaiz Musharraf 2000 PLD 1208 (SC)।
গোলাম মোহাম্মদ, ইস্কান্দার মীর্জা, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউল হক এবং পারভেজ মোশারফের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থ মিলে গেলে মাত্রই সেনা অভ্যথান হয়েছে। প্রতিটি সংবিধান বহির্ভূত হস্তক্ষেপের আগে পরের পরিস্থিতি সৃষ্টিতে পাকিস্তানী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের কোন না কোন সংশ্লিষ্টতা বা ব্যবহৃত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। পারভেজ মোশারফের হাতে ক্ষমতাচুত্য হওয়ার আগে ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রপতি ফারুক লেঘারি ও প্রধান বিচারপতি সাজ্জাদ আলী শাহ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে আদালত অবমাননার দায়ে দন্ডিত করে ক্ষমতাচুত্য করার চেষ্টা চালান। এর জেরে ফারুক লেঘারি ও সাজ্জাদ আলী শাহ অবসর নিতে বাধ্য হলেও, নওয়াজ শরীফ আর দু-বছরের বেশি ঠিকতে পারেন নি। ১৯৯৯-২০০৯ সময়কালে পাকিস্তান আরেক দফা সেনাশাসনের মধ্য দিয়ে যায়। ফলত, নওয়াজ শরীফকে নিয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের এবারের রায় নিয়েও আদালতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেটিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। কারণ মূলত দুটি। এক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে নওয়াজ সরকারের অবস্থান নিয়ে ডওনাল্ড ট্রাম্প ভীষণ বেজার এবং পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা তিনি ইতোমধ্যেই বলেছেন। দুই, এ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদন্ত কমিটিতে একজন উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন!
২.
নওয়াজ শরীফের পদচূত্যিতে আনন্দিতরা অবশ্য বলছেন, অতীত যা-ই হোক সাম্প্রতিক ইতিহাসে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক তৎপরতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখার প্রচেষ্টা আশাবঞ্জ্যক। সংশয়বাদীরা অবশ্য অতটা উদ্ভেলিত নন। আদালতের অতি তৎপরতার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে তারা চিন্তিত।
সন্দেহ নেই যে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সাফল্য চোখে পড়ার মত। ২০০৯ সালে পারভেজ মোশারফ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মাহমুদ চৌধুরী। বিচারপতি ইফতিখার অবশ্য ২০০০ সালে জাফর আলী শাহ মামলায় মোশাররফের ক্ষমতা দখলের বৈধতা দেয়া বিচারকদের একজন। মোশাররফের সাথে তাঁর সংঘাত শুরু হয় ২০০৭ সালে। পারভেজ মোশারফকে চ্যালেঞ্জ না করেও কিছুটা বিচারিক তৎপরতা দেখাতে গিয়ে পদচুত্য হন বিচারপতি ইফতেখার। আদালতের রায়ে বিচারপতি ইফতিখার পদ ফিরে পেলে পারভেজ মোশাররফ জরুরি অবস্থা জারি করে তাঁকে আবারো পদচুত্য করেন। আইনজীবী সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জোরালো সমর্থন নিয়ে বিচারপতি ইফতিখার আবার ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মোশাররফ বিদায় নিতে বাধ্য হন আর বিচারপতি ইফতিখার ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি থাকেন। ২০০৯-২০১৩ সাল সময়ে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্ট ব্যাপক কর্ম তৎপরতা দেখায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় মোশারফ সরকারের ক্ষমা করে দেয়া প্রতিটি মামলার পুনরুজ্জীবন দেয়া, উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ও সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিদের দুর্নীতি অনুসন্ধান ও বিচার, স্ব-প্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার দেয়ার চেষ্টা, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ এবং গুরুত্বপূর্ণ সংবিধানিক ও প্রশাসনিক পদে নিযুক্তিতে স্বচ্ছতা আনয়নের চেষ্টাসহ অনেক ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্টের সাফল্য নজরে আসে এবং পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক উদ্দিপনা সৃষ্টি করে। তবে বিচারপতি ইফতিখার চৌধুরীর মেয়াদকালের কয়েকটি ঘটনা তাঁর আদালতের তৎপরতার প্রতি বেশি আস্থাশীল হওয়াকে বাধাগ্রস্থ করে।
প্রথমত, পাকিস্তানের সংবিধানের ১৮তম সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে সংসদের অংশগ্রহণের প্রশ্ন আসলে আদালত তা মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং বিচারক নিয়োগে সংসদীয় কমিটির সুপারিশকে বিচারিক রিভিউর আওতায় আনার পক্ষে রায় দেন। দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সালের মে মাসের নির্বাচনের ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্রিকেটার ইমরান খানের দল দেশে প্রায় সেনা হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি তৈরি করে ফেললেও সম্ভবত রিটার্নিং অফিসাররা সবাই নিম্ম আদালতের বিচারক হওয়ায় বিচারপতি ইফতেখার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অস্বীকার করেন। তৃতীয়ত, ২০১২ সালে অভিযোগ আসে কয়েকটি বহুজাতিক কর্পোরেশনের মামলায় বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরীর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর ছেলে ঘুষ নেন। অভিযোগটি স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নিলেও ওই বেঞ্চে নিজে না থাকার দাবী বিচারপতি ইফতেখার অগ্রাহ্য করেন। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় নি বলে রায় আসে। চতুর্থত, অনেকগুলো দুর্নীতি মামলার তদন্ত ভার নিজে নিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মামলা নি¯পত্তি করতেই ব্যর্থ হন এবং নির্বাহী বিভাগের কাছে অসহায় আতœসমর্পণ করেন। বিচারিক তৎপরতায় এ ধরনের মানসিকতাকে সমালোচক মহল পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের স্বার্থ-তাড়িত আইন দর্শন (self interested jurisprudence) বলে আখ্যায়িত করেন।
প্রশ্ন হচ্ছে ঐতিহাসিকভাবে "স্বার্থ-তাড়িত আইন দর্শনে" অভ্যস্থ কোন আদালত খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভঙ্গুর গণতন্ত্রের একটি দেশের দুই দুই জন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে পদচূত্য করে দিলে সেটি একেবারে অমুলক সন্দেহের জম্ম দেয় কিনা। লেখা শেষ করতে চাই ভারতীয় সংবিধান বিশারদ উপেন্দ্র বক্সীর উদ্ধৃতি দিয়েঃ "সুপ্রিম কোর্ট রাজনীতি করেন আইন ও তত্ত্বের মাধ্যমে। এ বাস্তবতা মেনে নিলেও আমরা প্রশ্ন করতে পারি - গণতান্ত্রিক সমাজে সুপ্রিম কোর্টের কেমন রাজনীতি করা উচিত?" (The Indian Supreme Court and Politics (1979) p. 10)।


Judgment Review


The Sixteenth: A Simple Amendment Un-simplified






[ষোলতম সংশোধনীর ৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ের উপর ১২০০ শদের একটি মূল্যায়ন। মূল্যায়নটি উচ্চ আদালতের প্রতি বেশ খানিকটা সমালোচনামুখর। আমি অবশ্য রাজনৈতিক সমালোচনার চেয়ে নীতিগত (jurisprudential) সমালোচনার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। আজ (24 August 2017) 
দেখলাম দ্য ডেইলি অবজারভার এর ল এন্ড জাস্টিস পাতায় মূল্যায়নটি ছাপানো হয়েছে। লেখাটি অভজারভারে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। দ্য ডেইলি অবজারভার এর লিংক লেখার শেষে দেয়া আছে।]








































16th Amendment to the Constitution of Bangladesh has been at the centre of public discourse for some couple of months. People opposing the amendment are accusing the proponents for being too much academic and ignorant of the “reality”. The proponents in their turn are blaming the opponents for being too much “presentist” and defiant of the institutional and structural arrangements of the constitution- the supreme law of the land. On a personal level, a thorough reading of the judgments by the High Court Division and Appellate Division fetched an impression in me that the geographical fault line of the arguments for and against the amendment is neither academic nor practical. It is rather a “simple constitutionality challenge” (borrowing words from S.K. Sinha CJ, Appellate Division Judgment, p 7) un-simplified on grounds that are deeply psychological and remotely related to any standard constitutional adjudication.

Factors simplifying the case are two-fold. First, both sides of the argument acknowledged the presence of some “Basic Structures” in the constitution, though there are a lot of people who reject the dogma. Second, both the sides admitted Independence of Judiciary as one of those basics. This being settled, the question that called for answer is simply this – “Which of the two alternatives - parliament or the supreme judicial council - would preserve the Independence of Judiciary?”
While a simple question usually invites a simple answer, this one got un-simplified by some so-called “long and chequered history” (AD Judgment, p 8) preceding the amendment. From all their intents and purposes, the writ petitioners, amicus curies and the judges in the High Court Division and Appellate Division attempted to adjudicate a constitutional amendment on perceptions that are overwhelmingly jaundiced and fetched by unacceptable pride and prejudices. Golden thread of the mentality is that parliamentary involvement in judges’ removal process is a threat upon the judicial independence and it must be rejected. Look at some of the comments and observations made throughout the judgment of the Appellate Division:
In absence of a free and fair election the Parliament may be lacking wise politicians and therefore may not be matured enough to handle the removal of Supreme Court Judges (p 205). The women members in the reserved seats are not elected and hence not suitable to sit over impeachment of judges (p 214). Even the elected representatives will not be able to exercise their judgment free from party dominance due to the infamous article 70 (p 270-282). Criminalization of parliament and politics is a serious concern (p 192). The power is therefore not safe in the hands of “power monsters” (p 228). Not all things done by the military rulers are bad. Things that are “useful,” “tend to advance or promote the need of the people” and “augment the independence of judiciary and welfare of the people” etc may be welcomed (p 149). Parliamentarians moved for the amendment in a “knee-jerk reaction” to some earlier tussles between the executive and the judiciary (p 601). Parliamentarians are extremely interested in legislating on judges’ removal while failing to legislate on their appointment first (p 782). Before assuming the power, parliamentarians should have thought “whether they are capable of dealing with such responsibility” (p 223). The power would be used as an instrument to penalize or intimidate Judges (p 328). A judge may be removed for a decision given on an important or sensitive issue (p 473, 549). Judges may face dilemma in handling cases against the parliamentarians (p 199). Relying on institutional virtuosity in this case would not be safe because institutions are comprised of human being ultimately (p 226). If some human-being are to be trusted at all, it must be the judges (p 234). “The Supreme Court is respected internally and globally for its professionalism and unbiased rulings and people from all walks of life repose faith upon it all the time” (p 334). “Thus when the question of removal of any person holding a post of Supreme Court Judges’ status arises, that should be and must be dealt with by such council of their own people, of course higher in rank” (p 796). It is therefore “an irony that the Parliament is totally unable to transact its basic functions but [it] wants to wise-pull one of the most successful organs of the State, that is, the Supreme Court of Bangladesh” (p 219).
Ideally, the legal question for this legal dispute called for a constitutional, structural and institutional answer. This unfortunately was not the case in this case. Like all other constitutional office bearers, the Judges take an oath to discharge their official responsibilities without any “fear or favour”. The over-all psyche as transpires from the comments and observations mentioned above shows that the Court was most probably driven by a “fear” of the legislature and legislative process and a “favour” towards protectionism and its own institutional grandeur. So sensitive was the Bench that Barrister Ajmalul Hossain QC’s purely legalistic request to be “extremely careful” in deciding a case involving its institutional interest was taken by the Court as “highly unkind and derogatory” (p 235). Law folks very rarely face such a tough reply.
With this un-simple psyche taking the driving seat of the case, a lot of other simply legal arguments attempted by the parties, lawyers and the Court were bound to be less emphasized, misinterpreted or even misguided. Since the word limits of this article prohibits a detailed analysis those, I would like to rest by pointing out at least four areas where the Court have attempted to innovate principles to hardly be found within the four corners of our constitutional jurisprudence.
First, putting the horse before the cart, the Court argued that ours is a popular sovereignty limited by the constitution and its patent and latent basic structures. Peoples’ representatives will exercise the peoples’ power subject to the basic structures determined by the unelected judges. Here in Bangladesh, the written constitution and its unscripted basic structures would guide the peoples’ will, not the vice versa (p 481-82, 591). Secondly, “under the constitution, the higher judiciary is entirely separated from the Executive and Legislature and is absolutely independent” (p 239). Thirdly, apart from basic structures, parliament’s amendment power has a new stumbling block. It may not “restore” or “return to” the original constitution since these words are not used in article 142 (p 321, 593). Fourthly, Anwar Hossain Chowdhury case was so far understood as saying that dislodging of basic structures of the original constitution is not permitted even through subsequent constitutional amendments. It now appears that some basic structures may be dislodged by subsequent amendments (like 4th and 5th amendments) and if lucky enough to be condoned by the Court (like 5th amendment case), they may even generate fresh basic structures and we must start counting the basic structures a fresh from there (p 354-55, 575-76, 584).
On a closing note, the position taken by Mr. Justice Hassan Foyez Siddiqui at page 756 of the judgment has the potential to offer a plausible middle ground in this emotionally charged un-simplified legal battle. Justice Siddiqui calls for the investigative role to be assigned to the Supreme Court while the impeachment or removal power may constitutionally reside with the parliament.





Rohingyas are now the world's most persecuted community. World powers and rights advocates however struggle hard in finding an appropriate terminology for the persecution. With the politics of regional influence, investment and arms deals in the background, China, India, Russia and United States are playing with words to downplay a clear case of genocide. International human rights bodies and governments are merely lurking behind the reality under some elusive terminological pretexts.This write up attempts to understand this politics of terminology from a critical perspective and seeks to locate where Bangladesh's position should ideally be.
While Norendra Modi's ultra-right BJP government is more concerned with the “extremist violence” in Myanmar,it hopes for “peace, justice, dignity, and democratic values for all.” China sees it as an essentially “internal” problem of Myanmar and “sincerely hopes [Myanmar] to restore stability as soon as possible and the local people [to] live a normal life again.” Russia, on the other hand, sees the problem as an “inter-religious conflict” that must be resolved through inter-religious dialogue. After the initial “voicing of concern” over the issue, the cautious and calculative United States has recently elevated its understanding to an “ethnic cleansing” and “horrendous atrocities” causing “tremendous suffering” to the Rohingya population.
At the organisational level, the United Nations Secretary General diplomatically calls it a “human rights nightmare.” Amnesty International, however, has travelled up to the “Crime Against Humanity.” Human Rights Watch on the other hand adopted “Ethnic Cleansing”. The United Nations High Commissioner for Human Rights also termed it “a textbook example of ethnic cleansing”.The UK government approached the problem as a “fastest growing humanitarian catastrophe.” Interestingly, a recent statement of the UK Foreign office suggests that they received "very troubling" evidence which “will be used to assess whether genocide has been committed” against Rohingya Muslims in Burma.
While the latest position of the UK government marks a welcome sign of growing international awareness about the issue, a recent seminar in the UK Parliament (Seminar on International Response to Rohingya Crisis organised by Centre for Turkey Studies, 29 November 2017) calls the time a ripe one for terming the atrocity a genocide plain and simple. The keynote speaker of the seminar was Professor Penelope J Green, Founder and Director ofInternational State Crime Initiative (ISCI) based in the Queen Mary University London. In 2015, ISCI conducted an18-month-long study on the Rohingya persecution and published its report titled, “Countdown to Annihilation: Genocide in Myanmar.” Though the 2015 report of ISCI termed the process as a “highly organised and genocidal in intent”, Professor Green is convinced that it is visibly and undoubtedly a genocide now. A shadow students' tribunal staged recently by the Society for Critical Legal Studies in Chittagong has proved that elements of genocide are strongly present in Myanmar. Even before that, a leading jurist of the country Barrister M Amir-Ul Islam framed the case as a “Clinical Illustration of Genocide” in one of his presentations before the SAARC LAW conference in Sri Lanka.
ISCI has endorsedthe Six Stage of Genocide Model of Professor Daniel Feierstein (Genocide as Social Practice). It is a prism through which ISCI considered how the Rohingya persecution elevated to genocide.The process started with stigmatisation. Starting with the denial of citizenship in 1970s, Rohingya community has been successfully alienated from the Burmese citizenry. With all deliberative official patronisation, the group has been snatched away of their “Rohingya” identity. With an enforced identity “illegal Bengali migrants” tagged over them, they have been made extremely unpopular among the Burmese majority. At the second stage of the process, official and unofficial harassment, deprivation, arbitrary arrests and detention, violence and terror were unleashed for a considerable period of time. Third stage of the process involved political, legal, social and geographical isolation to sever their historically existing relations with the broader Burmese community. Fourth stage of the process involved systematic weakening of the group by enforced malnutrition, epidemics, torture and sporadic violence and psychological destruction by humiliation and persistent abuse. At the fifth stage of the process the state ensures the “physical destruction of the group as such” (the key element of genocide)through mass killing and persecution. Last stage of the genocidal process would involve symbolic enactment by rebuilding a society where the targeted group is clearly “gone”. Professor Green argues that 2017 August-October atrocities of the Myanmar regime undoubtedly mark the final stage of the genocidal process and the world must act NOW.

While our immediate concern with the “Refugee Aspect” of the problem is understandable, should we shut-down acollateral strategy of creating the highest possible pressure upon Myanmar regime by bringing the “Genocidal Aspect” to light? With our genocide stricken traumatic past, who else is better suited than Bangladesh to make a “Stop Genocide” call to the world? Bangladesh government unfortunately continues to echo the European Union by agreeing to see it as the “fastest-growing refugee crisis creating a refugee emergency”. While our rough neighbour continues to give us a tough time on the refugee repatriation talk, they are enjoying our silence on the “Genocidal Aspect” most, I am sure.Unfortunately, the world seems reluctant to take note of the concern. Professor Penelope J Green herself unveils the most plausible account of this politics of terminologies.The world super powers are politically reluctant to take theobligations a finding of genocide would cast upon them under the 1948 Genocide Convention. It is the obligation to prosecute the perpetrators - to kick off the International Criminal Court (ICC) process straight. For reasons not understandable, neither the UN Security Council nor the ICC Prosecution department is showing much interest in that line. Question then comes, what our government is doing?

The writer is an Assistant Professor, Department of Law, University of Chittagong.

The existential threat for executive run magistrate courts


JUDGMENT REVIEW 

Law and Our Rights, The Daily Star, Law and Our Rights, 25 July 2017 
Link: https://www.thedailystar.net/law-our-rights/the-existential-threat-executive-run-magistrate-courts-1438096  


For many of us, including me, the Mobile Court Act 2009 remained a stillborn legislation since its inception on the face of a rebellious Rokon-Ud-Doula in 2007. Presumably, the lawyers and judges alike took it as a strategic and temporal concession on the part of the judiciary and a face-saving-condolence for the BCS (Admin) that was otherwise adamant not to see the whole administration of criminal justice passing out of its hold overnight. While the lawyers' and judges' long run struggle for implementing Masder Hossain verdict found its way-through in November 2007, constitutionality of the executive run mobile courts was to be tested sooner or later. And now, after around 10 years of the reluctant concessions, the chickens come home to roost. Kamruzzaman Khan v Bangladesh (W/P No. 8437/2011) along with some other writs of similar nature challenged several convictions and fines imposed upon the litigants by mobile courts run by executive officials on different occasions.

The petitioners challenged their trials and convictions with foundational and section-wise challenges to the 2009 law. Petitioners labeled the law as colourable one (p. 4 of the full text judgment). The court also found it running counter to the mandates of Article 22 of the constitution and Masder Hossain ratio though it pretended to pursue those (p 26). Article 22 and Masder Hossain verdict combined left no scope whatsoever for the executive magistrates to exercise judicial powers and discharge judicial functions (p. 44). With Article 35 of the constitution guaranteeing an “independent and impartial court or tribunal established by law” for us, 2009 Act permitted the executive magistrates to be the investigator, prosecutor, witness and judge all in a single proceeding (p 43). Interestingly, section 13 of the Act towered the authority executive magistrates even higher. It allowed the District Magistrate or Additional District Magistrate to be the appellate authority of any mobile court trial conducted by their colleagues in the administration. The court, therefore, adjudged the sections 5, 11 and 13 of the Act contemplating executive run mobile courts and appellate courts as contradictory to Articles 22, 27, 31 and 35(3) of the Constitution (pp. 55-56). 

The Mobile Court Act dug a bottomless well of unfettered powers, unrestricted discretions, unguided sentencing options and unreasonable modes of handling trials. Firstly, section 6(2) of the Act conferred jurisdiction on the magistrates over a charter of offences to be endlessly expanded under rule making power of the government. The court found it contravening a settled proposition of law that no offence can be created and punished under any delegated or subordinate or subsidiary legislation (p. 52). Moreover, the breadth of the rule making so delegated was “really astounding” as parliament delegated (section 15) its plenary power of amendment in the schedule (an integral part of the law) in favour of the government (p. 56). 

Secondly, section 6(4) left a blank check in the executive's desk to determine which offences would be “grievous in nature” to be tried by regular courts and which others are not. In a flagrant disregard of Article 27 of the Constitution, the magistrates would just pick and choose at their sweet will as to whom to prosecute then and there and whom to commit to the regular courts for trial (p 53). Likewise, sections 8 and 9 of the Act would permit the magistrates to inflict discriminatory sentences and execute them in a grossly unreasonable way (p. 54-55). 

Thirdly, while the power to impose punishment by the Mobile Court is made subject to a “voluntary confession” of guilt by the accused, section 7 does not provide any clue as to how to obtain and record the “voluntary confession.” In absence of any section-164-like mechanism for obtaining confession, undue pressure and coercion were most likely to reign the ring (p. 53). 


Towards the end of the judgment, however, the petitioner and the court conceded that while mobile courts symbolising the “justice on wheels” (p 46) are not unknown in our neighboring South Asian jurisdictions, permitting the executive run kangaroo courts under the guise would be 'de hors' the Constitution (p. 56). Advocate A F Hasan Arif unsuccessfully tried to convince the court that with Article 116A of the Constitution safeguarding the presiding magistrates' functional independence (p. 22), courts run by them may not be readily labeled as kangaroo courts. The Court stroke down the submission by holding that Article 116A has lost all its relevance with effect from 1st November, 2007 (p. 61). By holding this the court was best possibly pointing to the existential threats the “magistrates exercising judicial functions” are facing after the Masder Hossain verdict. Scope of the executive magistrates' exercising judicial functions being barred, the Court calls for mobile courts, if there be any, manned by the members of the Bangladesh Judicial Service only (p. 63). 

As a matter of practicality, the court was ready to acknowledge the government's duty to maintain law and order and to prevent commission of offences. Yet as a matter of principle, it was not ready to abdicate the judicial power of cognizance and trial in favour of the government officials (p. 45). Unfortunately that was what the executive branch was asking for and the grandeur of magistracy being the bone of contention, the Mobile Court Act 2009 was bound to be nullified in due course of time. As I recollect from my recent conversation with an honorable judge of the High Court Division, mobile courts will not perish but the kangaroo courts will. 
The writer is an Assistant Professor, Department of Law, University of Chittagong.



Saturday, July 8, 2017

The Comptroller and Auditor General of Bangladesh: Arguments for “Substantial Independence”

The Comptroller and Auditor General of Bangladesh: Arguments for “Substantial Independence” (Joint Author – Md Abdullah Al Mamun) published in the Chittagong University Journal of Law, Volume XXI (2016) at pp 159-176


The Comptroller and Auditor General of Bangladesh: Arguments for “Substantial Independence”
Md Abdullah Al Mamun*
M. Jashim Ali Chowdhury**


Abstract
The intention of this paper is to analyze how the office of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh (hereinafter C&AG) and the public audit apparatus working under it is doing in practice. The Lima Declaration of Guidelines on Auditing Precept has provided a summary of organizing principles and good practices for public sector audit. While those ideals are not fully realized in many of the English speaking and the French speaking countries representing the world’s two most widely regarded schools of audit thoughts – the Westminster style Auditor General Model and Napoleonic Audit Court Model - the picture is more gloomy and complex in Bangladesh. The paper attempts to critically address the roles, strengths and statutory weaknesses of the supreme audit institution of Bangladesh and the need for its functional and institutional autonomy being clearly understood and seriously addressed. As part of its overall thread, the paper argues that the office of the C&AG of Bangladesh as a constitutional institution lacks the required level of attention, mandates, independence and strength expected of a “constitutional institution” in the true sense of the term. To that end, the paper itself explores some options that could potentially lead to a better public financial management and greater accountability of the custodians of public funds in Bangladesh secured through the existence of a powerful and meaningful audit system.


1. Introduction
The prominence of a national auditing institution in a democracy is intrinsically linked with the peoples’ right to know the ‘financial status of the nation’ which in the eyes of the Indian Supreme Court is a natural right and an essential feature - a ‘basic structure’ - of the Constitution.[1] Officials responsible for management of public resources are accountable to the public for the stewardship of what they are assigned with. The Auditor General and his office works to reassure the tax payers that public money is being spent in the originally intended direction, accounted for and well managed.[2] The problem, however, is rooted deep within the traditional accountability structures that are not free from the asymmetric influence of special interest groups, pork barrel politics and regular overuse of common pool resources. Varieties of institutional mechanisms have been discussed and recommended to tackle these problems. Yet the most potential weapon – a “substantially independent” public auditor with an ex ante audit mandate - has been neglected so far.[3] Given the importance of functional and institutional independence of national auditors, the resounding silence on this subject in the academic literature is frustrating,[4] though there are signs of some “limited but developing”[5] interest in this area.
Against this backdrop, the present paper argues that the Auditor General’s personal independence, which is popularly projected through a public image of the person of the auditor and which has the tendency to confuse the legislated guarantees of his service related securities with that of his office and officers, amounts to independence in a very limited sense – a “conditional independence” at best. In a conditional independence discourse, qualities of the person of the auditor general assume great importance compared to the independence of the office of the Auditor General - better coined as “substantial independence.”[6] Part II of the paper elaborates the contours of conditional and substantial independence of the Auditor General and tries to synthesize some organizing principles that may ensure substantial independence of the state audit office and generate a sense of confidence in the overall accountability structure. Part III of the paper then takes the office of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh (hereinafter C&AG) into consideration. After a brief introduction to the office, its audit mandate, audit process and follow up mechanism, attempts will be made in Part IV to see how far the system, as it exists now, conform the notion of “substantial independence” and the organizing principles delineated earlier. Specific recommendations for statutory and institutional overhauling are made in appropriate points in discussion. The paper then concludes (Part V) with some recommendations for general and operational readjustments in the audit system of Bangladesh which have important potentials of offering solutions to many of the shortcomings we face now.

1.2. Methodological Approach
While working on the paper, we have looked in some detail at relevant published materials from some Supreme Audit Institutions (SAIs) like those of India, Australia, Canada, U.K.,U.S.A., France, Switzerland and also of some Sub-Saharan African countries. We concentrated on consists of some annual reports produced by each of these SAIs plus the official handbooks, ‘guides’ or brochures describing the work of each body to the general public. Furthermore, since looking at annual reports is not a method that can address the core of our concern – capability deficits in the institutions themselves, our study addressed some other formal documents, comparative studies, policy papers from international agencies, academic articles and statutes that penetrate deep into the legal and institutional base of the audit institution. Being a conceptual paper, we had very little scope to draw from interviews, observations or other empirical and statistical data.


2. From Conditional Independence to a Substantive one
The need for an independent national auditor is undisputed in theory and practice. There is such a widespread acceptance of the proposition that there is little point to engage in an academic exercise of marshalling the arguments for this.[7] Countries unfortunately poster a hegemonic attitude towards public audit and conceive it as a legitimizing device that can only help sustaining the existing political arrangements.[8] Moreover, until very recently, the disturbing tendency of governments to encourage confusion between independence of the person of a state auditor with that of his office has been very effective in sustaining an image of an independent audit mechanism without actually placing the auditor beyond reach of the executive. By covertly dominating the audit machinery, successive governments have been able to use the rhetoric of audit independence to legitimize their actions and signal to the electorate its respect for the conventions of Westminster type financial accountability.[9] Therefore, instead of a substantive independence, the discourse of audit independence has led to, and continues to be, a form of conditional or functional independence.
Conditional independence for the purpose of this paper is perceived as best allowable freedom from external direction in the initiation and conduct of an audit. To operate under a conditional form of independence, the Auditor General will have a limited control over his staffing levels and appointments but will not be financially autonomous. Substantive independence, on the other hand, would prevent the executive from meddling with the organization of the audit office, including staffing levels and position categories and influencing the program and conduct of audits. The dismissal, payment and appointment of the auditor general would be beyond the sole discretion of the executive. Substantive independence, in this sense, will only be present if audit independence encompasses legal, fiscal and political independence.
Legal independence is derived from the constitutional and statutory context shaping the organization and role of audit office. It refers to statutory provisions which are designed to protect the person of the Auditor General and to identify and proscribe behavior which could be construed as interfering with the duties of a public officer. Fiscal independence will require that that his office is not directly dependent on the executive for financial and logistic supports. Political independence is present if no successful overt or covert attempts are made by political actors to influence the work of the Auditor General and his office. Of course, there is no denial that substantive independence as a concept would draw heavily from the co-operation of audited bodies and the parliament. How the executive reacts to unfavorable reports and how the central coordinating department of the government co-operates with the national audit institution would tell much about the effect a political independence casts in reality. Some organizing principles fostering the audit independence, however, may be distilled out in academic discourse.

2.1. Organizing principles of an ‘Independent’ Audit Office
As a matter of threshold, a series of international instruments, most prominently the Lima Declaration of Guidelines on Auditing Precept, have detailed the basic tenets of public sector auditing, including the delimitation of audit jurisdiction, the relationship it should have with the executive, legislature and judiciary and the nature of reporting and follow up that should be carried out.[10] The most vital insignias of audit independence would include firstly, the Auditor General’s freedom from dependency on, and influence of, the institutions and persons he is assigned to audit.[11] To this end, the appointment of the head of audit division and members of its collegial institutions need be kept free from political and administrative manipulations and backdoor settlements.[12] The process therefore typically involves an independent body which ensures that prospective appointees are widely canvassed, due process is followed and a short list of suitable candidates is presented for final selection. Though most of the common law countries prefer appointment by the president instructed by the executive, recent trends there encourage some form of parliamentary involvement in the process.[13] Additional consultation with the Speaker, the leader of opposition and audit committee of the parliament is widely encouraged. Moreover, the parliamentary audit committee is sometimes allowed a veto on an appointment proposed by the executive. Lima guidelines suggest that direct appointment by the parliament instructed by its audit committee has the best potential of ensuring the autonomy normally expected from the office.
Second, as for tenure of the Auditor General, there has been a trend away from an earlier practice of appointing the auditor general for life. In most jurisdictions the term of appointment is for a fixed term. The prescribed length of the tenure is kept long enough to enable the development of independence and steering of activism and also short enough to avoid the incumbent becoming complacent or 'stale' in the role and to enable the introduction of contemporary thinking.
Third, the remunerations and financial benefits attached to the post also need protection from possible influence or control by the executive, or by the treasury and other parts of the bureaucracy. Usually the Auditor General’s remuneration is protected from being diminished during his or her term of office.
Fourth, to check retaliatory removal from office, most jurisdictions limit the grounds and procedure for removal constitutionally and statutorily. As part of the constitutional and legal scheme, there is a tendency to adopt the removal grounds and procedure applicable for the judges of the highest judiciary. Some jurisdictions provide for suspension from office. Though the power has been left in the hands of the executive, a number of jurisdictions further prescribe that the Auditor General will be automatically restored to office unless parliament either confirms the suspension or requires his removal.
Fifth, as a matter of principle, the scope for reappointment has been recognized as an undesirable practice which might compromise independence. With the time for reappointment approaching, the incumbent could become reluctant to criticize or seek prominence by being overly critical.
Sixth, functional autonomy of the Auditor General is reflected in the accounting procedure congenial to the status and stature of the office. Very often, the mandate or jurisdictional boundary is determined by the constitution so that it remains immune from legislative restlessness.[14] Other details of the audit procedure are required to be adopted only after agreement with the audit office.[15]
Seventh, it is also looked upon that the audit office remains focused and bold in discharge of its mandate. Most jurisdictions therefore offer immunity or indemnity from prosecution for both acts of commission and omission, past or present that result from the normal discharge of their duties.[16]
Eighth, financial autonomy of the audit office is maintained by keeping scope of direct application to the budgetary authority (ministry of finance and legislature)[17] and also of managing and allocating the funds allotted to the Audit office under as many separate budget headings as it thinks fit.[18]
Ninth, audit office is provided with adequate powers to obtain timely, unfettered, direct, and free access to all the necessary documents and information, for the proper discharge of their statutory responsibilities.[19] This involves power to request information and set time limits for furnishing information or submitting documents and other records including the financial statements.[20]
Tenth, though the findings of the Auditor General would not be seen as a legally enforceable judgment, the office must be empowered to approach the authority which is responsible for taking necessary measures and require the accountable party to accept responsibility within a definite time period set by the office.[21] To this end, the audit office’s own statutory power to follow-up and report to the parliament would be a must.[22] Follow up would have a second phase as well. Recommendations of the parliamentary committee would not be the end of the ex post scrutiny process. In some countries, committee reports are followed by a formal response from the government. In practice, however, a formal response from the government is not always sufficient for ensuring that the committee’s recommendations are acted upon. Some countries, such as Germany, go further in their follow-up through the use of a formal tracking report produced regularly by the audit institution. The civil law countries allow the audit office a judicial power to rule on the appropriateness or propriety of a particular expenditure. While judicial approach to audit may not commensurate with the common law based auditor general approach, some quasi judicial power in relation to ensure free access and due compliance with the audit observations may add to the credibility of the institution.
Eleventh, when necessary, the audit office may assist the parliament and administration in the form of expert opinions, including comments on draft laws and other financial regulations. The administrative authorities shall bear the sole responsibility for accepting or rejecting such expert opinions. This additional consultative role must not anticipate the future audit findings and must not interfere with the effectiveness of audit. The independence of audit office provided under the constitution and law also guarantees a very high degree of initiative and autonomy, even when they act as an agent of parliament and perform audits on its instructions. This relationship should be defined constitutionally.[23]
Twelfth, civil society organizations can use the audit reports to pressure governments to respond to audit recommendations and improve governance. Civil society organizations, may also serve the audit office through social audits and other such processes that may complement and augment the work of the audit office. As such, each institution can complement the other’s work in promoting good governance. To this end, a South African civil society initiative known as Public Service Accountability Monitor (PSAM) presents a really encouraging picture. PSAM follows up the reported case of corruption and misconduct with department concerned. Once the details are established, the head of department is contacted to know the disciplinary outcome, if there be any. In the event of a non response, PSAM takes resort to the Promotion of Access to Information Act which makes it a near impossible for the department concerned to deny information anymore. The response is then recorded by way of telephonic interview and is available in text and audio format in the internet. Huge success of PSAM process in South Africa shows how legislative efforts may be supported and complemented by the civil society.[24]


While the twelve principles of audit ‘independence’ outlined above reflect the modern parameters of a substantially independent state audit system, the system that works in Bangladesh seems to live far below the bench. This part of the paper would present a brief introduction to the office of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh (C&AG) and its constitutional and statutory mandates, functional paradigms and follow up techniques. The next part (Part IV) would then attempt to fathom the system in the scale of the twelve principles discussed in Part II and pinpoint the loopholes.

3. The Comptroller and Auditor General of Bangladesh (C&AG)
The office of C&AG is a constitutional post created by the constitution of Bangladesh. President appoints the Comptroller and Auditor General,[25] in consultation with the prime minister.[26] Terms and conditions of the office are to be settled by the president subject to any laws made by parliament,[27] if there be any. Mandate of the C&AG extends to the public accounts of the Republic, known as consolidated fund[28] - and of all courts of law and all authorities and officers of the Government.[29] The C&AG is essentially seen as an office working for parliament within its greater democratic oversight regime. Parliament can mend and amend the powers and functions of the C&AG in the way it thinks fit, of course subject to the limits mentioned in the constitution.[30] As an officer of parliament, the auditor general reports to the parliament via the president.[31]

3.1. The Audit Process
The C&AG covers audits of various sectors of the government for particular fiscal years in which special emphasis is given to cover major areas of risk including public works, education, communication etc. Annual audit reports are submitted to the Ministry concerned. Alongside the traditional approach of conducting financial, compliance or regulatory audits,[32] the Office is now conducting performance audit[33] to determine economy, efficiency and effectiveness in the management of public resources. Apart from these, special audit and audit on the ministries under the Medium Term Budget Framework (MTBF) has also been conducted by the Office of C&AG on issues of national interest and concerns. The Director Generals (the heads of the Audit Directorates) are responsible for conducting audit on behalf of the C&AG in their respective jurisdictions. Audit observations involving serious financial irregularities are treated as Advance Paras (AP) and subsequently developed into Draft Paras (DP) after taking into consideration the replies received from the concerned auditee organization and the Principal Accounting Officer, usually the Secretary of the Ministry or Division concerned. The concerned Audit Directorate issues Draft Para to the controlling Ministry and allows further time for the ministry to clarify, respond or take remedial action. The Office of C&AG scrutinizes these Draft Paras and incorporates in the audit reports after approval of the C&AG. Below is a table showing the mandates of different Directorates of Audit working under the Comptroller General’s office.[34]

Directorates
Jurisdictions
Commercial Audit Directorate
All public sector entities and State owned enterprises including nationalized commercial banks and financial institutions, autonomous semi-autonomous bodies and public holding companies
Local and Revenue Audit Directorate
All civil government departments, local and statutory bodies, including municipalities, city corporations, universities and National Board of Revenue (NBR)
Civil Audit directorate
Office of the Controller General of Accounts (CGA), 6 Divisional Controller of Accounts offices, 49 Chief Accounts Offices, 58 District Accounts Offices and 418 Upazilla Accounts Offices under the CGA
Works Audit Directorate
Public Works expenditure of the public works department, Roads and Highways Department, Bangladesh Water Development Board, Bangladesh Power Development Board, Dhaka Electric Supply Authority, Water and Sewerage Authority, Bangladesh Civil Aviation Authority, Local Government Engineering Department, Public Health Engineering Department and City Development Authorities
Foreign Aided projects audit Directorate
All development and technical assistance programs and projects in the public sector funded by foreign aid
Railway Audit Directorate
All establishments of Bangladesh railway, office of the Additional director General (Finance), Bangladesh Railway and offices under its administrative control.
Performance Audit Directorate
Performance Audit of Selected bodies
Mission Audit Directorate 
All overseas missions under Ministry of Foreign Affairs, nationalized banks, shipping corporation offices and Biman Bangladesh Airlines Offices operating abroad.
The Defence Audit Directorate
All units/formations of the Defence forces, including army, air force and navy, field services organizations like the Department of Meteorology, geological Survey of Bangladesh, Controller General of Defence Finance (CGDF) including the offices of the Defence Finance Department under the CGDF.
Post, Telegraph and Telephone Audit Directorate
All establishments of the Postal Department, Bangladesh Telecommunications Company Limited, Bangladesh Telecommunication regulatory Commission and the office of the Chief Accounts Officer, Ministry of Post and telecommunication.

3.2. The Public Accounts Committee (PAC)
The reports of the Auditor General are submitted to the president who causes them to be laid before parliament.[35] Prior to that, the C&AG has to apprise the prime minister as per the Rules of Business. The Public Accounts Committee of the parliament (hereinafter referred to as PAC) is mandated by article 76 of the constitution to consider reports of the C&AG. The PAC sleets important observations of the audit report for detailed examination and hold hearings of the principle accounting officers i.e., the Secretaries of Different Ministries and Divisions. It makes recommendations and submits reports to the parliament. C&AG provides necessary support to the PAC in its effective functioning. When the full committee meeting is held, in addition to the related offices of the respective Audit Directorates, the C&AG remains present as amicus curie and make clarifications to the committee in its deliberations. Officers of the Audit Department attached to the parliament assist the committee in preparation of its report. If they are so requested, the concerned officers of the C&AG remain present in the meetings of the Public Undertaking Committee (PUC) and Estimate Committee (EC) as well.

3.3. Follow-up by the Audit Directorates
The responsibility to follow-up audit reports on the basis of decisions of parliament as recommended by the PAC and as communicated by government for execution will rest with the Audit Directorates concerned. In case of any doubt as to whether a particular report or question has been adequately dealt with by Parliament or its Public Accounts Committee or the Government, the matter should be referred to the C&AG for advice on further appropriate action. The C&AG shall have authority to apprise the Cabinet or any higher authority of the instances of irregularities and wastage including fraud, misappropriation and embezzlement embodied in the audit reports referred to the PAC for immediate action on them.

IV
4. A Critical Assessment of the Audit System of Bangladesh
While the constitutional provisions and the provisions of the Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act of 1974 and 1975 and the Comptroller and Auditor-General (Additional Functions) (Amendment) Ordinance of 1983 convey a more or less satisfactory arrangement of state audit, an overall assessment of the institutional stature, functional capability and efficiency of the C&AG would present a mix bag of hope and concerns. As will be shown in this part of the paper, the method of appointment of C&AG has been a source of ambiguity and confusions. Considered from the perspective of relationship of the auditor to the executive and parliament, the C&AG, Bangladesh may be perceived both as a public servant or an officer of parliament[36] which puts the institute in an unusual mess of complexities in respect of its legal, fiscal and political independence which I touted as parts of its greater substantive independence.

4.1. Imperfect Legal Independence
The constitutional authorization of the parliament and the president appears to be restrained within assigning of responsibilities to the C&AG. Once responsibilities are assigned, the Auditor General “shall not be subject to the direction or control of any other person or authority.”[37] Public accounts of the Republic and of all courts of law and all authorities and officers of the government are constitutionally within the reach of C&AG.[38] Parliament may add accounts of any other body corporate ‘directly established by law’[39] to that list and assign additional functions by law.[40] Parliament may also exclude ‘anybody corporate’ from the jurisdiction of C&AG by creating special auditing arrangements for those bodies.[41] Accordingly, the Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act 1974 and its 1975 amendment were enacted. These gave the C&AG an additional task of certifying the appropriation and finance accounts and auditing the accounts of other statutory public authorities, public enterprises and local authorities.[42] Section 3A of the 1974 Act, however, accommodated a questionable provision. Under this, the government may exclude any Ministry, Division or office of the government from C&AG’s mandate. Thereby the 1974 Act created ways for dispensing with the initial accounts required to be kept in the treasuries and initial and subsidiary accounts of stores and stock, manufacturing, trading and profit and loss accounts required to be kept in any such Ministry, Division, or office of the government.[43] While article 128(2) of the constitution authorizes the parliament to “remove” any “body corporate” from the C&AG’s mandate, excluding “any Ministry, Division or office of the government” tightens the C&AG’s hands and legs beyond constitutional contemplation.

4.2. Functional dependency of the C&AG
The constitution seeks to ensure functional independence of the C&AG by fixing his term of office. It is either five years from the date on which he entered upon his office, or until he attains the age of sixty-five years, whichever is earlier,[44] of course, unless he decides to resign earlier.[45] Within this temporal limit his tenure is, in fact, a tenure during good behavior. There is a strong conviction that the current practice of appointing C&AG for five years does not provide a long enough term to foster activism, initiate and implement reforms. However, the most problematic aspect of this lies in the appointment itself. Present method of appointment of the C&AG and selection of his officers in the Audit Department results in effective subordination of this department to the executive branch of the government. The C&AG is appointed by the president, advised by the prime minister, from among senior officers of the Audit and Accounts Cadre, which makes it just another department of the government in every respect. In the Warrant of Precedence, C&AG is ranked sixteenth, which is below the rank of Cabinet Secretary. While the C&AG is expected to audit a Cabinet Secretary in appropriate cases, his subordination to a Secretary of the government appears unreasonable in all considerations of propriety and judiciousness. In many countries this position is of an equivalent rank to that of a minister or a federal justice.[46] Reflecting the ‘special’ relationship between Public Account Committees (PAC) and the audit office, there is emerging support at the Commonwealth level for the PAC playing a major role in selection of Auditor General and his cadres in conjunction with the executive.[47] Of course, there are views that seek to eliminate any role play by the executive at all. Hence, an American style presidential appointment followed by parliamentary nomination of candidates may mark a middle course between the two opposing propositions.[48]

Appreciably, in cases of his removal or dismissal from office, the C&AG is treated like Judges of the Supreme Court.[49] This again is somewhat compromised in article 130 of the Constitution which leaves a scope for the president, i.e., the executive, to virtually neutralize an unfavorable C&AG by appointing an Acting Auditor General in his place until he “resumes” the functions of his office. It, however, appears that an unfavorable C&AG may not “resume” his function freely and easily. It is the president who “is satisfied” that the Auditor-General is “unable to perform his functions on account of absence, illness or any other cause.”[50] Apparently, the president has been made the master of judging the initiation, continuation and conclusion of the ‘inability’ without assigning any role to the parliament or Supreme Judicial Council in this regard.[51] The apprehension is not a mere theoretical one, when we recall the incident of the president of Bangladesh himself was made “unable” to resume his function on an earlier occasion.[52]

Office of the C&AG of Bangladesh is also severely restrained in following up its audit reports effectively. There is a huge backlog of audit reports and objections in the PAC. Most of the cases result from lackluster approach of the departments concerned in commenting on the accuracy and fairness of the report.[53] To this end, recently there has been a demand for the enactment of an Audit Act that would make it legally binding for the auditees to report on actions taken regarding execution of the audit and PAC recommendations. The Act would also contain an adequate offences clause. Failure to respond audit reports and observations need to be handled seriously and the culture of impunity must be strictly guarded against.[54]

Apart from this, the working relation of the C&AG with the executive appears well articulated in general. The C&AG may send instructions to and also receive instructions from the government. While the public accounts of the Republic must be kept in the form and manner prescribed by the Auditor-General,[55] he shall give the government such information and assistance in the preparation of its annual accounts as it may ask for.[56] The C&AG’s responsibility to assist the government, however, extends so far as his own accounts keeping responsibility allows him to do so. The C&AG may make rules and give directions in respect of all matters pertaining to audit of any accounts he is required to audit.[57] The Auditor-General is given wide power to require necessary books or documents to be sent to him for inspection.[58] He and persons authorized by him have access to all records, books, vouchers, documents, cash, stamps, securities, stores or other property of body he seeks to audit.[59] The Auditor General’s excess to information has been further consolidated by ensuring his access to such materials in the possession of “any person in the service of the Republic.”[60] Moreover, the government is obliged to give him such information as he may require for the preparation of any account or report which it is his duty to prepare.[61]

4.3. Financial dependency of the Audit Department
The greatest threat to the operation of an independent audit department in Bangladesh has been the audit department’s dependence on the executive branch for the resources necessary to meet his audit mandate. The C&AG officers and staff are under the administrative control of the Finance Division of the Ministry of Finance, which controls the appointment, promotion, and disciplinary action for the C&AG employees. While countries like Denmark allows the Auditor General to place its budget directly to the parliamentary public accounts committee,[62] the annual budget of the audit department needs to be placed and approved by the Ministry of Finance, like other ministries. The C&AG’s independence as upheld in the Constitution has been jeopardized by this practice[63] and resulted in a serious "constitutional anomaly".[64] The government of Bangladesh, however, has seen such freedom as inconsistent with its constitutional right to determine spending levels for all organizations requiring appropriations from Parliament.[65] Therefore, a more preferable arrangement budget approval could be to involve a parliamentary committee considering the C&AG budget and audit plans prior to approval by the Parliament.[66] The institution of Public Accounts Commission as is applied by the U.K. parliament presents a worth-consideration model in this regard.[67]

4.4. Missing Political Independence
As is said earlier, while audit department plays the role of statutory whistle blower, success of the system rests with the overall commitment of the body politic in making its existence a meaningful, and impact a forceful, one. Audit may detect fraud and abuse but application of sanctions by government is critical for the ultimate deterrent effect. Making government behave, on the other hand, is a politico-democratic task. Popular awareness and interest in the activities of the audit department is a key to such efforts. In Bangladesh, the audit department remains hidden within the other departments and directorates of the government. Its activities and reports are never highlighted with the media, unlike the practice in other countries. In fact, the civil society and media does not seem to count it as something separate from the bureaucracy. Things are not highlighted even when the PAC discusses an audit report. The PAC also does not invite the press or media in deliberation. Given the attention vacuum, only an atmosphere conducive to the C&AG freely engaging with the media and civil society on various audit and accountability issues could strengthen the audit department as an important oversight institution of the Republic.[68]


5. Concluding Observations
New paradigms are evolving in the political systems around the world. Global economy is in a tumult and governments are seeking novel solutions to critical economic problems. Other stakeholders i.e., the people, media, civil society and development partners are also demanding more accountability and transparency from the executives, especially after the rise of the peoples’ right to know the affairs of the government – Right to Information. All these combined raise major challenges to the arrangements in the Audit Department of Bangladesh.[69] In their current form, audits in Bangladesh do not always provide a clear picture of government performance in those specific areas in which citizens have the greatest concerns. Reflecting on such issues would call for a drastic paradigm change in the way we approach auditing in Bangladesh. While most of the constitutional, statutory and political issues associated with the C&AG of Bangladesh are addressed and necessary restructuring are suggested in the earlier part of this paper (Part IV), we like to recommend some general and operational readjustments in this wrapping-up part that may gear up the drastic paradigm change we seek:
1.    The Westminster model of governance that we follow expects the audit apparatus to audit the policy implementation rather than policy per se.[70] However, conviction is getting force that audit should not mean mere correctness of the amounts spent somewhere, it must also reflect on whether the money was poured on the wrong project. Supreme Audit Institutions in Germany, Vietnam and the U.S., for example, now comment on the appropriateness of government budgets in addition to examining government expenditures. Particularly theActivist Performance Audit” approach applied by the Government Accountability Office (GAO) of the U.S. is worth consideration. According to Wheat (1991), activist performance auditors regard the public as their ultimate client and auditors are not hesitant to offer some comments on the government policies that underpin agency performance.[71]
2.    Another option could be to allow citizens to participate in the conduct of audits. As citizens will look for specific measures of performance, they will use their access to (and participation in) audit institutions to obtain information on those measures that they are interested in reviewing. Allowing citizen participation in audits will require that audit institutions create spaces in which citizens can meaningfully participate in audit programs and thereby obtain specific measures of government performance. It is therefore believed that adoption of the spirit and practice of ‘audire’ – the public hearings of accounts – will assist the Audit Department in meeting many of the modern anti-corruption challenges.[72] The Chinese National Audit Office for example started the system of issuing Announcement of Audit Findings from 2002, with a view to making audit findings public in a timely manner and improving the transparency of auditing work.[73] Likewise, in 2002, the Philippines’ National Commission on Audit (COA) entered into a partnership with several non-governmental organizations to conduct participatory audit exercises.[74]
3.    The practice of issuing Status Report as adopted by the Canadian Audit office also has much to offer. A typical Status Report would follow up the progress made by the government in responding to recommendations contained in previous performance audits.[75]
4.    The practice of the U.S. Government Accountability Office of producing audit report at the request of members of Congress including the committee chairpersons, ranking minority members and whenever possible, at the requests of individual members merit attention.[76] Such a widening of audit mandate would lead to enhanced democratization of the process and better justify the state audit apparatus.
5.    An ultimate and more drastic option could be to infuse some of the features of civil law system Napoleonic or Judicial Audit Court Model. The Westminster style Auditor General model, to which the C&AG of Bangladesh projects to belong, is based on closer interaction with the legislature. Audit court model, on the other hand, asserts equal distance from the executive and legislature and seeks to adjudge the legality of expenditures as well.[77] Audit courts have both judicial and administrative authority. Independent of both the legislative and executive branches of government, it is considered an integral part of the judiciary.[78] Unfortunately, the office of the C&AG of Bangladesh is failing to be in line even with the Westminster model. Factually it does not lie within the legislative domain neither do it projects itself to be within the vortex of the executive. While taking the Comptroller and Auditor General of Bangladesh completely out of the executive and legislature and placing them within the judicial hierarchy is impractical in many respects, a quasi-judicial authority to determine the appropriateness of the money spent on a particular project may be garnered well within the Auditor General Model if it is accompanied by increased participation of the public. Alternatively, if there are concerns for increased institutional clash and complexity arising out of a quasi-judicial audit authority, a modified version of the Napoleonic Audit Court Model - the Court of Accounts Model of some Sub-Saharan African countries deserves consideration. There the Court of Accounts (Cour or Chambre des Comptes) is a division or separate court within the judicial system which is completely separate from the supreme audit institution. The court, with the support of its staff, judges the legality and regularity of the transactions and accounts of individual public accountants and reports to Parliament on the overall State Account. The professional staffs traditionally have a legal rather than accounting or audit backgrounds, but this is expanding in several countries.[79]
On a concluding note, it must be emphasized that the arguments for ‘substantial independence’ of the public audit placed above should not - and they actually do not- overlook the need for the audit institutions justifying their existence itself by auditing the results achieved and value-added for the public by their audits and efforts. Ultimately it is inconsistent for an Audit body preaching to promote democratic accountability to bypass the reflection on the extent, content and quality of its own activities.




* Assistant Professor, Department of Law, University of Chittagong
** Assistant Professor, Department of Law, University of Chittagong
[1]The Indian Administrative Tribunal Jodhpur Bench, at Jodhpur Original Application number 52/2004 and Misc Application 60/2009 with Original Application 96/2007 with Misc Application 13/2011. See also National Dairy Development Board v. Union Of India And The Comptroller & Auditor General of India; Writ Petition (Civil) No. 4834/1998 & C.M. No.9784/1998, in Writ Petition (Civil) No.2748 of 1998 Kesavananda Bharati v State of Kerala AIR 1973 SC 1461 quoted in Chahat Chawla (2011), “Comptroller and Auditor General in Good Governance,” Selected Works of Chahat Chawla at p 4 < http://works.bepress.com/chahatchawla/1> accessed on 20 May, 2015.
[2] Pat Barrett (1996), “Some Thoughts about the Roles, Responsibilities and Future Scope of Auditors-General,” Australian Society of Certified Practicing Accountants Annual Research Lecture (Canberra November 14, 1996) Australian National Audit Office < http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/j.1467-8500.1996.tb02568.x/abstract> accessed 15 February, 2015.
[3] Mark Schelker and Reiner Eichenberger (2008), Rethinking Public Auditing Institutions: Empirical Evidence from Swiss Municipalities, University of Fribourg, Switzerland and CREMA accessed 15 February, 2015.
[4] W. N. Funnell (1995), The Engendering of a Chimera: Sources of Independence for Australian Commonwealth State Audit, University of Wollongong, Department of Accounting And Finance Working Papers Series, Paper no 95/3, at p 4 < http://ro.uow.edu.au/accfinwp/69/ > accessed 01 March, 2015
[5] Christopher Pollitt and Hilkka Summa, Reflexive Watchdogs? How Supreme Audit Institutions Account for Themselves, Public Administration, Volume 75, Issue 2 (1997), pp 313-336 at p 313
[6] Supra Note 4 at pp 9-10
[7] Pois in his study of the United States General Accounting Office (GAO), observed: “[UN Declaration on SAIs independence] recognizes that supreme audit institutions can accomplish their tasks objectively and effectively only if they are independent of the audited entity and are protected against outside influence; 2. Also recognizes the important role of supreme audit institutions in promoting the efficiency, accountability, effectiveness and transparency of public administration, which is conducive to the achievement of national development objectives and priorities as well as the internationally agreed development goals, including the Millennium Development Goals; Pois (1979), Watchdog of the Potomac: A Study of the Comptroller General of the United States, University of America Press pp 3-4
[8] Richardson A. (1987), "Accounting as a Legitimating Institution", Accounting, Organizations and Society pp 341-355 at p 342
[9] Supra Note 4 at pp 7-8
[10] The Lima Declaration of Guidelines on Auditing Precepts adopted at the Ninth International Conference of Supreme Audit Institutions, International Organization of Supreme Audit Institutions, Peru 1977 and updated in 2005. accessed 5 February 2015
[11] Ibid, Section 6
[12] ISSAI-11, Guidelines and Good Practices Related to SAI Independence, accessed 5 February 2015.
[13] Vijay Kumar (2008), The Comptroller & Auditor General of India, A Thematic History 1990–2007 (Vol. I), APH Publishing House.
[14] For instance, during 2010 the Pakistani Supreme Audit Institution received constitutional protection. While his security of tenure was protected earlier, sanctity of his audit jurisdiction was recognized in the constitution a fresh which says that the Auditor General himself shall determine the extent and nature of such audit.  Any restrictions on the mandate of the SAI Pakistan, which may have been perceived by some quarters to have existed earlier have been lifted by this amendment and now all operations of the federal and provincial governments fall squarely in the audit jurisdiction of the Auditor General of Pakistan.
[15] Supra Note 10, Section 12
[16] The Mexico Declaration on SAI Independence, Principle 2 < http://www.issai.org/media/12922/issai_10_e.pdf> accessed 16 July 2015
[17] Ibid, Principle 8
[18] Supra Note 10, Section 7
[19] Supra Note 16, Principle 4
[20] Supra Note 10, Section 10
[21] Ibid, Section 11
[22] Supra Note 16, Principle 7
[23] Supra Note 10, Section 8
[24] For more information on the working of the South African Civil Society Organization visit - psam.org.za
[25] The Constitution of the Peoples Republic of Bangladesh, Article 127(1)
[26] Ibid, Article 48(1)
[27] Ibid, Article 127(2)
[28] Ibid, Article 84
[29] Ibid, Article 128(1)
[30] Ibid, Article 128(3)
[31] Ibid, Article 132
[32] Financial (regulatory) audits are designed to assess whether financial operations (management, collections and expenditure) of government have been legally executed and are these accounts a true and fair representation of the financial activities. The most common Regulatory Audit is the review of the government’s annual accounts.
[33] According to INTOSAI and GAO definition, Performance audit refers to an independent examination of a program, function, operation or the management systems and procedures of a governmental or non-profit entity to assess whether the entity is achieving economy, efficiency and effectiveness in the employment of available resources.
[34] Office of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh, Annual Report 2010, p. 8 <http://www.C&AGbd.org/publication/1323244735annual%20report%202010.pdf> accessed 16 March 2015.
[35] Supra Note 25, Article 132
[36] While Article 127 of the Constitution of Bangladesh treats the Comptroller and Auditor General as a servant of republic by vesting his selection and appointment exclusively in the hands of the executive, Article 128 sees him working exclusively as an officer of the parliament.
[37] Supra Note 25, Article 128(4)
[38] Ibid, Article 128(1)
[39] Ibid, Article 128(2)
[40] Ibid, Article 128(3)
[41] Ibid, Article 128(2)
[42] The Comptroller and Auditor-General (Additional Functions)(Amendment) Act 1975 and the Comptroller and Auditor-General (Additional Functions) (Amendment) Ordinance 1983
[43] The Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act 1974, Section 3(2)
[44] Supra Note 25, Article 129(1). Interestingly no such age limit has been provided for Chief Election Commissioner, Public Service Commissioners, Law Commission members, Human Rights Commission Members, Information Commission Members, Anti-Corruption Commission Members, Ombudsman, etc.
[45] Ibid, Article 129(3)
[46] The World Bank (2007), Bangladesh: Public Sector Accounting and Auditing, A Comparison to International Standards, Country Report at Para 35 < https://openknowledge.worldbank.org/handle/10986/7684 > accessed 15 February, 2015
[47] Vinod Sahgal, for example, sees the PAC as the crucial agent among the “Three Men in the Boat”—the Legislator, the Executive and the Auditor.  More - Vinod Sahgal, Audit and Legislative Oversight: Developing Country Perspective in Auditing for Social Change: A Strategy for Citizen Engagement in Public Sector Accountability, United Nations, 2007 pp 53-76 at p 74
[48] The Comptroller General of the U.S. heading the Government Accountability Office (GAO) is appointed by the President from a list of candidates proposed directly by the Congress. See - R.K.Sharma, Supreme Audit Institution – U.S.A., Rupee Trail, Volume April-June 2012, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 15-18, at p 15
[49] Supra Note 25, 129(1) and (2)
[50] Ibid, Article 130
[51] Regarding the inability of the president, the Constitution provides for a Parliamentary procedure and Supreme Court judges undergo a Supreme Judicial Council procedure.
[52] For details of the incident of President Iajuddin Ahmed being denied the freedom to decide his own ability to resume his office see M Jashim Ali Chowdhury, An Introduction to the Constitutional Law of Bangladesh, Sunshine Book (2nd Edition 2014), pp 280-81
[53] Supra Note 46, Para 38
[54] Ibid, Para 34
[55] Supra Note 25, Article 131
[56] Supra Note 43, Section 9
[57] Ibid, Section 11
[58] Ibid, Section 8
[59] Ibid, Section 5(2)
[60] Supra Note 25, Article 128(1)
[61] Supra Note 43, Section 10
[62]  R.K.Sharma, Supreme Audit Institution – Denmark, Rupee Trail, Volume July-September 2011, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 44-49, at p 45.
[63] Supra Note 46, Para 37
[64] E. Nonnanton  (1966), Accountability and Audit of Governments, Manchester, Manchester University Press p.374
[65] Nizam Ahmed, Parliament and Public Spending in Bangladesh Limits of Control, 2000, Bangladesh Institute of Parliamentary Studies, and UNDP, pp 53-79
[66]Supra Note 46, Para 34
[67] R.K.Sharma, Supreme Audit Institution – United Kingdom, Rupee Trail, Volume, January-March 2012, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 36-42 at p 37
[68] Supra Note 46, Para 37
[69] Office of Comptroller and Auditor General Bangladesh, Audit Code, 2nd Edition, 1999, Dhaka,
[70] Section 6(2) of the 1983 Audit Act of U.K., for example states that the comptroller and auditor general is not entitled to question the merits of the policy objectives of any department, authority, or body in respect of which an examination is carried out. For more informed analysis on this point see: Mr. Vinod Sahgal, Audit and Legislative Oversight: Developing Country Perspective in Auditing for Social Change: A Strategy for Citizen Engagement in Public Sector Accountability, United Nations, 2007 pp 53-76 at p 62.
[71] Simon D. Norton and L. Murphy Smith, Contrast and Foundation of the Public Oversight Roles of the U.S. GovernmentAccountability Office and the U.K. National Audit Office, Public Administration Review, Vol. 68, No. 5 (Sep. - Oct., 2008), pp. 921-931 at p 924. Stable URL: http://www.jstor.org/stable/25145678, Accessed: 14-06-2016
[72] Vivek Ramkumar and Warren Krafchik, The role of civil society organizations in auditing and public finance management; Paper presented in the 6th Global Forum on Reinventing Government Towards Participatory and Transparent Governance, 24 – 27 May 2005, Seoul, Republic of Korea, pp 20-23 < http://www.internationalbudget.org/wp-content/uploads/The-Role-of-Civil-Society-Organizations-in-Auditing-and-Public-Finance-Management1.pdf > accessed 27 April 2015.
[73] R.K.Sharma, Supreme Audit Institution – China, Rupee Trail, Volume October-December 2011, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 20-26, at p 22
[74] Albert van Zyl, Vivek Ramkumar, and Paolo de Renzio, Responding to the challenges of Supreme Audit Institutions: Can legislatures and civil society help?, U4 Issue 2009:1 at p 20
[75] Supreme Audit Institution – Canada, Rupee Trail, Volume April-June 2011, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 30-35 at p 32
[76] R.K.Sharma, Supreme Audit Institution – U.S.A., Rupee Trail, Volume April-June 2012, Office of the Comptroller and Auditor General of India, pp 15-18, at p 15
[77] David A. Good., Parliament and Public Money: Players and Police, Spring 2005, Canadian Parliamentary Review pp 17-21 at p 19
[78] For an illustrative analysis of the Audit Court Model and Auditor General Model see -  Albert van Zyl, Vivek Ramkumar, and Paolo de Renzio, Responding to the challenges of Supreme Audit Institutions: Can legislatures and civil society help?, U4 Issue 2009:1 at pp 13-15 and 30-32.
[79]Andy Wynn,  Independence of Supreme Audit Institutions in Sub-Saharan Africa, International Journal of Government Financial Management, Vol. X, No 1, March 2010, pp .55-62

In defence of the original constitution

[In October and November 2024 , Sifat Tasneem and I wrote a three-part series on Lawyer'sClub[dot]com calling the attempt to abrogate th...