Monday, December 31, 2012
Sunday, December 9, 2012
Evidence Book review in Azadi and Shuprobhat
সমসাময়িক
জুকারবার্গের ফেসবুক, প্লেটোর রিপাবলিক ও সাক্ষ্য আইনের সহজ পাঠ
মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান daily suprobhat bangladesh 27 august 2012
link: http://www.suprobhat.com/details.php?reqDate=2012-08-27%2000:00:00&catId=1&subCatId=6&conId=21773
Also published in The Daily Azadi 30 August 2012
link: http://www.dainikazadi.org/index1.php?table=august2012&view=0&date=2012-08-30&menu_id=25&flag=1
একটি চমৎকার যাত্রার সূচনা
আইনজীবী ও বিচারকদের কাছে সাক্ষ্য আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায়োগিক ও তত্ত্বগত উভয় দিক থেকে এটা সত্য। অধ্যয়ন ও চর্চার জন্য সাক্ষ্য আইন অত্যাবশ্যকীয় হলেও প্রয়োজনীয় বইয়ের অপ্রতুলতা রয়েছে। ভালো বইয়ের কথা বলাই বাহুল্য। ভালো বই যে নেই তা নয়। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব নগণ্য। ইংরেজি ভাষায় লিখিত বেশ কিছু ভালো বই আছে। তবে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে সে বইগুলো থেকে আইনের ছাত্ররা ও আইনজীবীরা প্রত্যাশিত উপকার পেতে সক্ষম হয় না। বাংলায় লেখা বিভিন্ন বই বাজারে আছে। সেগুলোকে খারাপ বলা যায় না। এই বইগুলোর কোন কোন অধ্যায় বা অংশ চমৎকারভাবে লিখিত। কিন্তু এই চমৎকার লিখিত অংশের পরেই দেখা যায়-মারাত্মক একটি ভূল। যা জুরিসপ্রুডেন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গর্হিত। এ ধরণের ভূলগুলো বেশি হয় জুরিসপ্রুডেন্স ও বাংলা ভাষার জ্ঞানের সঠিক সমন্বয়ের অভাবে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের তরুণ শিক্ষক এম জসিম আলী চৌধুরীর ‘সাক্ষ্য আইন: সহজ পাঠ’ বইটি কৌতুহল সৃষ্টি করে। ধরে নিয়েছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আইন বই লিখতে গিয়ে তিনি অন্ততঃ বাংলা ভাষার ভূল প্রয়োগ করবেন না। বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এ ইতিবাচক ধারণার সাথে মিলে গেছে। পুরো বইয়ের প্রতিটি শব্দ যেন একটি চমৎকার যাত্রার একেকটি পদক্ষেপ।
সরল উপস্থাপনার ডিজিটাল আবেদন
প্রথম অধ্যায়ে সাক্ষ্য আইনের প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায়। যিনি আইনের ছাত্র নন তাঁর কাছেও বোধগম্য মনে হবে। সাক্ষ্য আইনের সংজ্ঞা, কার্যকারিতা, বৈশিষ্ট্য, উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ, প্রয়োগ ও পরিধির সুন্দর ও সুসপষ্ট বিবরণ দেয়া হয়েছে এ অধ্যায়ে। ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইনের ভূমিকা এবং সাক্ষ্য আইন যথার্থভাবে প্রয়োগে আইনজীবীর দায়-দায়িত্ব বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন লেখক। লেখকের প্রচেষ্টা ও মনোভাব উন্নয়নমুখী বলে মনে হয়েছে। প্রচলিত বইগুলোতে আইনের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের কথা বলা হয়। অথচ লেখক অত্যন্ত সচেতনভাবে উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ডিজিটাল যুগে তরুণ লেখকের এই সাহস আশা জাগায়।
খুলে গেল জ্ঞানের নবদ্বার
ধারা ভিত্তিক না করে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করায় শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। যে ধারাগুলো পরসপর জড়িত এবং প্রাসঙ্গিক সে ধারাগুলোকে একই আলোচ্য বিষয়ের আওতায় এনে আলোকপাত করায় সাক্ষ্য আইন সবার জন্য সহজ ও সুখপাঠ্য হয়ে উঠবে। প্রত্যেকটি আলোচ্য বিষয়ের নামকরণের নতুনত্ব লেখকের সৃজনশীলতার পরিচায়ক। যা গতানুগতিক ধারার সাথে মিলে না। এটি বিচারক, আইনজীবী, শিক্ষার্থী বা সৌখিন পাঠকদের জন্য জ্ঞানের এক অভিনব দুয়ার খুলে দিতে পারে। লেখকের রচনাশৈলী ও আকর্ষণীয় শিরোনামগুলি আইন পঠনের পরিধিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়।
সুপিরিয়র কমপ্লেক্স পরিহারে উদারতা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগগুলোতে পশ্চিমা লেখকদের বইগুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। ভাষাগত সরলীকরণের কারণে ভারতীয় লেখকদের ইংরেজি মাধ্যমের বইগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। অথচ আইন চর্চার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়গুলোর সুসপষ্ট ধারণার জন্য বিখ্যাত আইনবিদ জনাব গাজী শামসুর রহমান ও শ্রী দীনেশ চন্দ্র দেব নাথ এবং সমচেতনার অন্যান্য লেখকদের বাংলায় লেখা বইগুলো প্রশংসনীয়ভাবে কার্যকর। এটা হলফ করে বলা যায় যে, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই এ বইগুলো পড়েন; কিন্তু লাল-নীল নিষিদ্ধ বইয়ের মত এ বইগুলোর কথা প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করেন। এটার কারণ আমার জানা নেই। তাঁরা হয়ত ভাবেন-অন্যরা আমাদের ‘ক্ষ্যাত’ (?) মনে করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বইগুলো পড়ার ব্যাপারে আমাদেরকে প্রচ্ছন্নভাবে অনুৎসাহিত করা হতো। এ কারণে ছাত্রজীবনে বইগুলো খুব একটা পড়া হয়নি। পরবর্তীতে পেশাগত জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধানে এগুলো প্রচণ্ডভাবে সহায়তা করেছে। বুঝতে পারছি ছাত্রাবস্থায় এই গুণী লেখকদের দূরে সরিয়ে খুব বেশি উপকৃত হইনি। এ ক্ষেত্রে জনাব জসিম মানসিক অচলায়তন ভেঙ্গে নাক উঁচা সুপিরিয়র কমপ্লেক্সের ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন। এটা মানুষ হিসেবে তথা গবেষক হিসেবে তাকে অন্য উচ্চতায় সমাসীন করেছে।
জুকারবার্গের ‘ফেসবুক’ ও আমাদের আইনের ‘বসন্ত’
অনেকগুলো কাল্পনিক ঘটনাকে বক্স আইটেম করা হয়েছে। অনেকের কাছে এটা বেখাপ্পা মনে হতে পারে। তবে বৈশ্বিক পরিসরে চিন্তা করলে এটাকে স্বাভাবিক বলতে হবে। তাছাড়া আজকের বিদঘুটে বিষয় আগামীকালের ফ্যাশন বা স্টাইল। ফেসবুকের ‘ট্যাগ’ ও ‘শেয়ার’ দিয়ে ‘আরব বসন্ত’ এসেছে। প্রিয় কিংবা অপ্রিয় বিষয়গুলো সহজেই অন্যের নজরে আনার জন্য ‘ট্যাগ’ বা ‘শেয়ার’ করা হয়। এ বইয়ের বক্স আইটেমগুলো আমার কাছে ‘ট্যাগ’ বা ‘শেয়ার’ ছাড়া আর কিছুই নয়। বইটি কেবল বই-ই রইল না। এটা এর চেয়ে বেশি কিছু। যেন একটি ‘ফেসবুক’। আমাদের আইন শিক্ষার জগতে জনাব জসিম যেন জুকারবার্গের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বাংলাদেশের আইন অঙ্গণে বসন্তের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
অষ্টম মহাদেশ আবিষ্কারের নেশা
দীর্ঘ আলোচনার প্রতিস্তরে দেশী-বিদেশী প্রাসঙ্গিক মামলার সিদ্ধান্ত উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের প্রথম বর্ষের ছাত্রও জানে ব্যাপারটি কতটা কষ্টসাধ্য ও জটিল। আজকাল এত কষ্ট খুব কম লোকেই করতে চায়। লেখক ব্যতিক্রমী নজির সৃষ্টি করেছেন। সাদা জমিনের প্রচ্ছদে ‘আঙ্গুলের ছাপ’-খুবই অর্থপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বইয়ের পিছনের পিঠে স্মৃতিচারণ কতটা অসাধারণভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তরুণ লেখক সমস্ত গতানুগতিক ধারা ভেঙে-চুরে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলতে চান। এ যেন অষ্টম মহাদেশ আবিষ্কারের নেশা।
প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ ও নিষ্কলুষ ঋণের অকপট স্বীকৃতি
প্লেটোর শিক্ষক মহান গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের নিজস্ব কোন রচনা ছিল না। ভাববাদী দার্শনিক প্লেটো তাঁর শিক্ষকের ধ্যান ধারণাকে লালন করতেন। সক্রেটিসের চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ হল প্লেটোর ‘রিপাবলিক’। সক্রেটিসকে ছাপিয়ে প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ আজ বিশ্ব সাহিত্য ও মানব সভ্যতার এক গৌরবোজ্জ্বল অভিযাত্রার প্রতীক। ‘রিপাবলিক’ এর কৃতিত্ব প্লেটোরই। সক্রেটিসের কৃতিত্ব প্লেটোর মত ছাত্র গড়ে তোলায়। ‘সহজ পাঠ’-এর ভূমিকা পড়ে মনে হয়েছে লেখক কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত, কিছুটা আড়ষ্ট। প্রিয় শিক্ষক তথা সহকর্মী প্রফেসর ড. খবির উদ্দিন আহম্মদকে কোন কাজে সহায়তা করতে গিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে নতুন আঙ্গিকে তুলে এনে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন তিনি। এর মধ্যে গৌরব আছে, লজ্জা নয়। তাছাড়া লেখকের ভূমিকায় কোন অসপষ্টতা নেই। ওখানে কৃতজ্ঞতা আছে, আছে ঋণ স্বীকার। এই স্বাভাবিক উদারতাটুকু অনেকেই দেখাতে চান না। সুতরাং দ্বন্দ্ব-সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। বইটির কৃতিত্ব কেবলই লেখকের। আর খবির স্যারের কৃতিত্ব জনাব জসিমের মত ছাত্র সৃষ্টিতে। লেখক একদিকে বিনয়ী ছাত্র, অন্যদিকে প্রেমময় সহকর্মী।
খবির স্যার ও ডি রোজারিও : একই সূত্রে বাঁধা
ডি রোজারিও অল্পকাল বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এই ক্ষণজীবী ইউরেশিয়ান যুক্তি ও তর্কের আলোকে সর্ব সংস্কার-বন্ধনহীন স্বাধীন ও মহিমাদীপ্ত মানুষের যে আদর্শ তাঁর ছাত্রদের হৃদয়পটে এঁকেছিলেন তার ফলে তাঁরা অনেক সময় যে উচ্ছৃঙ্খল বিদ্রোহের আশ্রয় নিয়েছিলেন তাকে রবীন্দ্রনাথ প্রলয় বলে অভিহিত করেছেন। এই প্রলয়েরই সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মাইকেল মধুসূদন। উপরের এ কথাগুলো বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক ও সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনের। যা হোক রবি ঠাকুর যে প্রলয়ের কথা বলেছেন তা ইতিবাচক ছিল। খবির স্যার আইনের ছাত্র ছিলেন। আইন পড়িয়েছেন। আইনী আবহের স্বাভাবিক সীমাবদ্ধতা ও শৃঙ্খলায় আবদ্ধ থেকেও তিনি প্রলয় সৃষ্টিকারী। লেখক সে প্রলয়েরই ফল। প্রথাগত আইন শিক্ষার জগতে তিনি ইতিবাচক সুনামি হয়ে আবির্ভূত হবেন। প্রার্থনা করি - অনিবার্য ঈর্ষা যেন লেখককে হতোদ্যম না করে।
লেখক : যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস। বর্তমানে ডেপুটেশনে সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন।
get image of the write up
Caretaker Government No Alternatives?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার : বিকল্প নেই?
এম. জসিম আলী চৌধুরী
দৈনিক পূর্বকোন - বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১২
লিংক : http://www.dainikpurbokone.net/index.php?option=com_content&view=article&id=41471:2012-07-24-18-25-07&catid=9:2011-05-26-03-33-23&Itemid=5
পরে প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক সুপ্রভাত পত্রিকায় - বুধবার ৮ অগাস্ট ২০১২, ও শনিবার ১১ অগাস্ট ২০১২
লিংক http://www.esuprobhat.com/index.php?page=4&date=2012-08-08
ও
http://www.esuprobhat.com/index.php?page=4&date=2012-08-11
১১ই ফেব্রুয়ারি শনিবার একটু দেরি করেই ঘুম ভাঙ্গল। অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য এবং নিন্দনীয় সহিংসতায় আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই মন খারাপ। তার উপর যোগ হয়েছে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের Law and Our Rights (আইন-অধিকার) পাতায় আমার এক প্রিয় শিক্ষকের দুঃখজনকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট লেখা পড়ার যন্ত্রণা। অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক, আইন অনুষদের প্রাক্তন ডীন এবং বাংলাদেশে উচ্চতর মানবাধিকার গবেষণার একজন পথিকৃৎ। স্যারের সরাসরি ছাত্র না হলেও তার লেখার আমি মনোযোগী পাঠক। আমি স্যারের কাছে শিখতে ভালবাসি এবং তাঁকে যুক্তির সঠিক প্রান্তে দেখতেই পছন্দ করি। ঐ দিনের ডেইলি স্টারে প্রকাশিত স্যারের ÔNecessity of a Non-party Caretaker GovernmentÕ (নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা) শীর্ষক লেখাটিকে আমার একটু বেশি বৈষয়িক (ঝঁনলবপঃরাব), জটিল আইনী প্রশ্নের অতি সহজীকরণ দোষে দুষ্ট এবং অসঙ্গতিপূর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি (স্যারের কাছে শিক্ষাবিদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করেছিলাম) দ্বারা প্রভাবিত বলেই মনে হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ যুক্তি
ড. বোরহান স্যার লেখা শুরু করেছেন এভাবে-‘‘একটি নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রথাগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার (Conventional Caretaker Government) হিসেবে আগের সরকারের দায়িত্ব পালন করে যাওয়াটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে নতুন কোন সংযোজন নয়। ব্রিটিশ সংসদীয় গণতন্ত্র পালনকারী দেশগুলোতে এটাই বরং স্বাভাবিক’’। কথাটার সহজ সরল অর্থ হচ্ছে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার পর বর্তমানে যে ব্যবস্থা আছে সেটিই সারা বিশ্বে স্বীকৃত। কিন্তু না। ড. বোরহান স্যার এ ধরনের প্রথাগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (Conventional Caretaker Government) প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন না। তিনি বরং ১৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে করা ‘‘অনন্য’’ (টহরয়ঁব) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন। দাবীর স্বপক্ষে যুক্তি সব মিলিয়ে তিনটি-
প্রথমত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরাজমান ‘‘আস্থা ও বিশ্বাসের সংকটের’’ প্রেক্ষিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিকল্প নেই (no alternative)। হ্যাঁ, আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। তবে যতদিন না এটি আসছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা স্থগিত রাখতে পারি না (we cannot withhold our democratic process till we reach the longed political culture)। রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটিই জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল যার ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তৎকালীন জনদাবীর মুখে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিত্বকারী (representing the people of vast multitude) ক্ষমতাসীন দল এটি স্বীকার করে নেয়। এটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছে। তৃতীয়ত, বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের ক্রমধারা (১৯৯৬ এবং ২০০৪ সালে দেয়া হাইকোর্ট বিভাগের রায়) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতার পক্ষে। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসেবে একে বিচার বিভাগ স্বীকার করে নিয়েছে। এমন কি আপীল বিভাগে ইস্যুটির বিবেচনার সময় ৮ জন এমিকাস কিউরির মধ্যে ৭জনই এ ব্যবস্থা রাখার পক্ষে বলেছেন। কিন্তু আমাদের সবাইকে হতবাক করে দিয়ে (to our utter surprise) মহামান্য আপীল বিভাগ ব্যবস্থাটিকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে রায় দেন। আবার আগামী ২টি নির্বাচন এ ব্যবস্থায় করা যেতে পারে বলে মত দেন। দুঃখজনকভাবে (ironically) রায়ের কারণ জানার আগেই সংসদ ব্যবস্থাটিকে বাতিল করে দেয়।
প্রথম যুক্তির বিপরীতে
প্রথম যুক্তির প্রথম দোহাই, ‘‘আস্থা ও বিশ্বাসের’’ সংকট প্রসঙ্গে বলি। একজন নির্মোহ শিক্ষাবিদের দৃষ্টিতে যদি বিষয়টা দেখতে চাই, তাহলে শুধুমাত্র আস্থা নেই বলে আমি পার পাব না। আস্থা কেন নেই এবং না থাকার পেছনে যৌক্তিক কি কি কারণ থাকতে পারে তার অনুসন্ধান চালানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমার মনে হয়েছে ড. বোরহান স্যার এ দায়িত্ব পালন করেন নি। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থার ইতিহাস দেখতে চাই।
১৯৭৩ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অনেক স্থানে অতি উৎসাহী কর্মীদের অতি তৎপরতা তৎকালীন বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু বিচ্ছিন্ন এসব তৎপরতা নির্বাচনের পুরো ফলাফল উল্টে দিয়েছে এমন দাবী কেউ কখনো করেন নি। বস্ত্তত আওয়ামী লীগের নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া অনুমিতই ছিল।
তারপর ১৯৭৭ সালে জিয়ার রেফারেনডাম দিয়ে শুরু। তিনি পেলেন মোট ভোটের ১০২ভাগ! ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮১ সালে জিয়ার পর সাত্তারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৮৬ সালে এরশাদের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৮ সালের কুখ্যাত মিডিয়া ক্যু-র সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৪ সালের মাগুরা উপনির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন, ২০০৪ সালে মেজর মান্নানের আসনে ফালুর নির্বাচন- তালিকার সবটুকু জুড়েই সেনাবাহিনী থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর কৃতিত্ব। বিচারপতি রউফ, বিচারপতি সাদেক আর সবশেষে বিচারপতি আজিজের তেলেসমাতি নির্বাচন কমিশনের সাফল্য গাঁথা বর্তমানে যারা নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তাদের গলায়ই মানায় সবচেয়ে বেশি।
১৯৭৩ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬-২০০০ সময়কালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন কিংবা সংসদীয় উপ-নির্বাচনগুলোতে আবু হেনা অথবা এম এ সায়ীদের নির্বাচন কমিশনের উপর কার্যকর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কোন সরাসরি অভিযোগ কেউ কখনো তুলেন নি। তবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলে তার শূন্য আসনে উপ নির্বাচনটিকে আওয়ামী লীগ প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নেয়। সেখানে কিছুটা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ আসে। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর এ টি এম শামসুল হুদার কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তারের কোন সুযোগ আওয়ামী লীগ নেয় নি, পায়ও নি। চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন, সবগুলো সংসদীয় উপনির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউ পি নির্বাচন কোনটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে নি কোন মহল থেকে। অবশ্য যাদের প্রশ্ন না তুললেই নয়, তারা তুলেছেন। দলীয়ভাবে অংশ নেন নি। দলের কেউ অংশ নিলে বহিষ্কার করেছেন। জিতলে আবার পুষ্পমাল্য গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪০ বছরের পুরনো আসন হবিগঞ্জ তারা হারিয়েছে। তবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দিতে সরকারের অনীহা এবং নারায়নগঞ্জ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে রাজী না হওয়া নির্বাচন কমিশনকে বিরক্ত করেছে। মজার ব্যাপার হল সেনাবাহিনী থেকে জন্ম নেওয়া দলগুলোর আমলে নির্বাচন কমিশন এমন বিরক্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারত কিনা প্রশ্ন সাপেক্ষ। যা হোক, সরকারের এমন অসহযোগিতার দাওয়াই অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কিছুতে পাওয়া যায় কিনা তা আমি এই লেখার শেষের দিকে দেখাব। ড. বোরহান স্যারের কাছে আসি। দেখা যাচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার মূল দায় বর্তমান বিরোধী পক্ষের উপরই পড়ে বেশি। অথচ বোরহান স্যার অবলীলায় দায়টা সব দলের উপর সমান ভাগে ভাগ করে দিলেন! বললেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতেই পারে না! জনগণের আস্থাও নেই এতে। কই বিরোধী দলের বর্জনের মুখে (যদি আসলেই একে বর্জন বলেন) জনগণ ভোট দিতে যাচ্ছে না- এমন তো দেখছি না! তাহলে আমরা বিরোধী দলের রাজনৈতিক জোটের ‘‘অনাস্থা’’কে কি যৌক্তিক অনাস্থা বলতে পারছি? সুশীল সমাজ শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করার জন্য নয়। আমার মনে হয় বেপথু বিরোধী দলকে পথে আনার গুরুদায়িত্বও সুশীল সমাজ পাশ কাটাতে পারে না। যেখানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কাঠামোতে সামান্য পরিবর্তন আনলেই ‘‘সুষ্ঠু নির্বাচনের’’ সোনার হরিণ ধরতে পারি সেখানে গণতন্ত্র হরণকারী আর বিচার বিভাগ দূষণকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এমন মামা বাড়ির আবদার কেন? ‘‘আস্থা ও বিশ্বাস’’ থাকুক এটা বোরহান স্যার চান। তবে না আসা পর্যন্ত ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকারই দরকার। কোন বিকল্প নেই? স্যার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিকল্প কেন দেখছেন না তাও ঠিক মাথায় আসছে না। দু-একটি বিকল্পের সন্ধান করব একটু পরে।
২য় যুক্তি প্রসঙ্গে
আসছি স্যারের ২য় যুক্তিতে-‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছে এবং একটি রাজনৈতিক ঐক্যের ফসল এটি’’। এ কথা সত্য যে, একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখে বর্তমান বিরোধী দল এ দাবিটি মেনে নেয়। ১৯৯৬ সালে ১৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি আসে। কিন্তু যে কথা স্যার বলেন নি তা হলো, ১৯৯৬ সালের ব্যবস্থাটি ছিল বিএনপি-র তরফে একটি অনিচ্ছাকৃত ছাড় (reluctant concession)। জনদাবীর মুখে মানতে বাধ্য হলেও, এ ব্যবস্থাটিকে অকার্যকর করার সব চেষ্টাই তারা করেছে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে যতটা ক্ষমতাশালী করা যায় সেদিকেই ছিল তাদের নজর। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে জিম্মি। এ সরকার নীতি নির্ধারণ করতে পারবে না। এ সরকারের জবাবদিহিতা রাষ্ট্রপতির কাছে। স্পর্শকাতর সেনা নিয়ন্ত্রণও দলীয় রাষ্ট্রপতির হাতে। দেশে যুদ্ধাবস্থা হলে আগের সরকার ফেরত আসার এক প্যাঁচানো বিধানও রাখা হল। আব্দুর রহমান বিশ্বাস তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেন নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে দেখেই সেনাবাহিনীতে ঝামেলা লাগিয়ে দিয়েছেন। বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলছেন উনার করার কিছুই ছিল না। ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রথম রাতেই তাঁর পক্ষপাত পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। ২০০১ সালের পর ৪ দলীয় জোটের পরবর্তী ৫ বছর তিনি নানা সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ ছাড়াও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন জোট সরকারের পক্ষে প্রচারণা চালাতে। ২০০৪ সালে দলীয় বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে সংবিধান আরেকটু ঝালাই করে নেয় বিএনপি। ২০০৬ সালে তো প্রফেসর ইয়াজউদ্দিনকে দিয়ে পুরো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ছিনতাই করে নেয়। মনে পড়ে সেদিন রাতে টেলিভিশন বোরহান স্যারকে দেখেছিলাম ঐ গুরুতর সংবিধান লংঘনের পক্ষে সাফাই গাইতে। এর মধ্যে এক উপদেষ্টার পরিবার তিন মাসের রাজত্বের গরমে দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। এই ইয়াজউদ্দিনি প্রচেষ্টার সরাসরি ফসল ২০০৭ সালে সেনা শাসন। ঠিক এ কারণেই ২০০৭ সালের পর এডভোকেট সুলতানা কামাল বনাম বাংলাদেশ ( ১৪ এমএলআর, হাইকোর্ট বিভাগ, ১০৫) মামলায় আদালত বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়ে ফেলে। (রায়ের প্যারা ১৩৮ দেখুন)। স্যার গণতন্ত্র কোথায়?
৩য় যুক্তির জবাবে
স্যারের তৃতীয় যুক্তিটিও কিছুটা বিভ্রান্তিকর। বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের ক্রমধারা সবসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল কথাটি আংশিক সত্য, পুরো সত্য নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ করা হয় আনোয়ার হোসেন খান বনাম স্পিকার, জাতীয় সংসদ (৪৭ ডিএলআর ৪২) মামলায়। তখন এর দাবীতে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন চলছে। বিএনপি সরকারি দল। এটর্নি জেনারেলও বিএনপির নিযুক্ত। বিচারপতি কাজী মনোয়ার উদ্দিন ও বিচারপতি কাজী সফি উদ্দিন আহমেদ এটর্নি জেনারেলের যুক্তি মেনে নিয়ে বলেন, সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার চৌহদ্দির ভিতর এ ধরনের সরকারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল (রায়ের প্যারা ৩৬ দেখুন)।
১৯৯৬ সালে ১৩-তম সংশোধনীর পর এটাকে আবার চ্যালেঞ্জ করা হয় সৈয়দ মুহাম্মদ মশিউর রহমান বনাম বাংলাদেশ (১৯৯৭ বিএলডি ৫৫) মামলায়। এখানে অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। বরং ১৩ তম সংশোধনীর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রসঙ্গক্রমে বিচারক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন। ১৯৯৯ সালে একে পূর্ণাঙ্গভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয় এম সলিম উল্লাহ বনাম বাংলদেশ (৫৭ডিএলআর ১৭১) মামলায়, যেটির রায় আসে ২০০৪ সালে। বিচারপতি শাহ আবু নায়ীম মুহাম্মদ মমিনুর রহমানের বেঞ্চে মামলাটি আসলেও তাঁর অনুরোধে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। কোর্ট তাঁর রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সংগতিপূর্ণ বলে রায় দেন। কিন্তু যে বিষয়টি বোরহান স্যার তাঁর লেখায় আনেন নি, তা হলো ঐ মামলায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উত্তর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে যে যুক্তি-তর্ক এসেছিলো সেটি। মামলায় আওয়ামী লীগের আইনজীবী ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম ও এমিকাস কিউরি ব্যারিস্টার রফিকুল হক সতর্ক করেছিলেন যে সুপ্রীম কোর্টের বিচারকদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে এবং তাড়াতাড়ি এর বিকল্প খুঁজে নেওয়া দরকার (রায়ের প্যারা ১৯ দেখুন)। আদালতও তাঁর রায়ে বিষয়টি নিয়ে বিকল্প সন্ধানের পথ খোলা রাখেন (রায়ের প্যারা ৯৩ দেখুন)। পরবর্তীতে বিচার বিভাগ দলীয়করণে এ ব্যবস্থা কি নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে তা বোরহান স্যারের চেয়ে আমার বেশি জানার কথা নয়।
শুধু তাই নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা অসঙ্গতি উঠে আসে কমপক্ষে আরো ৪টি মামলায়-এডভোকেট সুলতানা কামাল বনাম বাংলাদেশ যেটি আগেই উল্লেখ করেছি, পীরজাদা সৈয়দ শরিয়ত উল্লাহ বনাম বাংলাদেশ (৬১ডিএলআর ৬৪৭), ইদ্রিসুর রহমান বনাম বাংলাদেশ (৬০ ডিএলআর ৭১৪) এবং মাসুদ আর চোবহান বনাম ইলেকশন কমিশন (২৮বিএলডি ৩১৭)। এ প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে মহামান্য আপীল বিভাগ ব্যবস্থাটিকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে রায় দিয়ে হতবাক (utterly surprised) হয়ে যাওয়ার কোন কারণ আছে কি?
এমনকি আপীল বিভাগে মামলার শুনানিতে এমিকাস কিউরিদের অবস্থান প্রসঙ্গে বোরহান স্যারের মন্তব্যটিও বিভ্রান্তিকর। ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিচারপতি টি এইচ খান, মাহমুদুল ইসলাম এবং ড. কামাল হোসেন ব্যবস্থাটি রেখে দেয়ার প্রস্তাব করলেও বিচারকদের ব্যাপারে বিকল্প ভাবার পরামর্শও তাঁরা দেন (প্রথম আলো, ১ এপ্রিল ২০১১)। ব্যারিস্টার রফিকুল হক দেন সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠে। ড. এম জহির ব্যবস্থাটির পুরো সংশোধনের প্রস্তাব করেন (৩১মার্চ, ২০১১ প্রথম আলো)। ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি এটি বাতিলের পক্ষে মত দেন (১০মে, ২০১১ প্রথম আলো)। আর আপীল বিভাগ তো তা-ই করেছেন। গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে নীতিগতভাবে এটাকে অসাংবিধানিক বলেছেন। আবার আগামী দু’মেয়াদে ব্যবস্থাটি রাখার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের এর সাথে না জড়িয়ে বিকল্প সন্ধানের দায় সংসদ তথা রাজনীতিবিদদের উপর দিয়েছেন। তাহলে, স্যারের হতবাক (utterly surprised) হয়ে যাওয়ার কারণ কি? আপীল বিভাগের মতের শেষের দুই অংশ থেকে এটা স্পষ্ট যে, ব্যবস্থাটির সংশোধন দরকার এবং তা করতে হতো রাজনীতিবিদদেরই। আমার মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতায় দায় বিচার বিভাগের উপর চাপানোর একটা প্রচেষ্টা এখানে কাজ করতে পারে। বিকল্প সন্ধান করতে হলে তো বিএনপিকে সংসদে যেতে হয়। তা তারা করবে কেন?
রায়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা এক ভূতুড়ে বিকল্প হাজির করলেন (সংসদে নয়, সংবাদ সম্মেলনে)। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করার বিধান বাদ দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করা যেতে পারে! সম্ভবত বিচারপতিরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখবেন। কেউ কেউ নির্বাচন কমিশন দেখবেন। সেক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর মত কিছু একটা হবেন। বিচার বিভাগ দলীয়করণে রাজনৈতিক দলগুলোর যেটুকু লাজ-লজ্জা বাকি আছে সেটুকুও যেত। আগে হিসাব হতো সর্বশেষ অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি আমার দলের কিনা-এবার হিসাব হতো গোটা সুপ্রীম কোর্ট আমার দলের কিনা। সরকারি দল আরেক পা এগিয়ে। ৩০ মে ২০১১ তারিখ জানিয়ে দিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারই থাকবে না। রাখতে চাইলে বিরোধী দলকে বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আসতে হবে। ভাবলাম বিএনপি তাঁদের ভুতুড়ে প্রস্তাবটা আরেকটু ঘষামাজা করে নিয়ে আসবে। কিন্তু এবার তাঁরা সেই প্রস্তাবটাই বেমালুম ভুলে গেলেন। ৩১ মে আপোষহীন ঘোষণা এল -আলোচনার কোন সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে এখন যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। ড. বোরহান স্যারও দেখলাম সেটিই চান। তাহলে আপীল বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করলেন কোনটাকে? মজার ব্যাপার অন্যত্র। ৫ম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর সংবিধান নতুন করে ছাপানো হলে বলা হয় রায় অনুসারে ছাপানো বেআইনী। যা করার সংসদকে করতে হবে। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হলে বলা হয় কোর্ট তো আগামী ২ নির্বাচন এর অধীনে করতে বলেছেন। অতএব সংসদ এটা এখন বাতিল করতে পারে না। তাছাড়া পূর্ণাঙ্গ রায়ও মেলেনি এখনো!
বিকল্পের সন্ধানে
এবার নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে আমরা আর কি কি করতে পারি তা দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের বিবেচ্য বিষয় মূলত তিনটি-(১) কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা (২) আর্থিক স্বাধীনতা এবং (৩) কার্যনির্বাহের স্বাধীনতা। সংবিধানের ১১৮(৩), (৪), (৫) এবং ১১৯(১) অনুচ্ছেদ স্পষ্টতই নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পুরো সরকারি সচিবালয় হতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ৩(২) ও ১৪(১) ধারার মাধ্যমে। এর সাথে যোগ করে নিন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একক কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির (আসলে প্রধানমন্ত্রীর) হাত থেকে সুপ্রীম কোর্টের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির হাতে চলে যাওয়াটা।
নির্বাচন কমিশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ব্যাপারটাও খেয়াল করে হয়েছে সংবিধানের ৮৮ (খ), (গ) এবং ৯০(২) অনুচ্ছেদে। বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক ব্যয়গুলো রাষ্ট্রের এমন খরচ যেগুলোর ব্যাপারে সংসদের বাজেট অধিবেশনে পর্যন্ত কাট ছাঁট করার সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ৮ এবং ১৬ ধারাও সে কথাই বলছে। তবে সমস্যা হতে পারে আইনটির ৭(১) ধারা নিয়ে। এখানে নির্বাচন কমিশনের আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনা করার যে ক্ষমতা সরকারকে দেয়া হয়েছে তা কমিশনকে আর্থিকভাবে রাজনৈতিক সরকারের মুখাপেক্ষী করে রাখতে পারে।নির্বাচন কমিশনের কার্যনির্বাহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে সংবিধানে ১২০ এবং ১২৬ অনুচ্ছেদ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল যোগান দিতে বাধ্য এবং বিষয়টি তাঁর নিজস্ব বিবেচনার উপর নির্ভরশীল নয়। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৫ ও ৫৩ ধারা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ১০ ধারাও এ উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কিন্তু সমস্যা পেয়েছি নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে সরকারের অসহযোগিতায়। এক্ষেত্রে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবটি আসলেই একটি মোক্ষম দাওয়াই। বিএনপি এদিকে নজর দেবে? মনে হয় না। তাহলে যে ক’টা হরতাল দেয়ার সুযোগ হয় না!
লেখক : প্রভাষক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
See Images of the Write Up from daily Shuprobhat as well
Bekuber Commonwealth Shopno
A personal experience regarding the Commonwealth Scholarship has been Published in the Daly Shuprobhat Bangladesh (Chittagong)
Here is the Link:
http://suprobhat.com/details.php?reqDate=2012-11-13%2000:00:00&catId=4&subCatId=8&conId=28755
here is the details of the write up
দৃষ্টিপাত
বেকুবের কমনওয়েলথ স্বপ্ন• এম জসিম আলী চৌধুরী
কমনওয়েলথ স্কলারশীপ ২০১৩ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নৈরাজ্যকর স্বেচ্ছচারিতা আর অনিয়ম লাজলজ্জার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক এ উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ মেধাবী ও মধ্যবিত্ত পারিবারিক বলয়ে বেড়ে উঠা শিক্ষকদের চির আরাধ্য।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম স্থান সহ শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী নিয়ে পাশ করার পর ভাবলাম, একবার চেষ্টা করেই দেখি না কেন। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ বৃত্তির জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পর থেকেই। গবেষণা আর লেখালেখিতে হাত পাকাতে লেখা শুরু করি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায়। আনুমানিক সাড়ে চার বছর সরকারি বেসরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় দেশি-বিদেশী পেশাগত গবেষণা জার্নালে আমার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ৯ টি। এছাড়া বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইনের উপর একটি গবেষণাধর্মী বই ও লিখছে। বোদ্ধা মহল প্রশংসাও করেছেন। অবশ্য বেশ অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম আবেদনকারীর বাবা-কাকা পর্যায়ে কেউকাটা কেউ না থাকলে এ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু নিজের সামর্থ্য আর পরিশ্রমী মানসিকতার উপর অতি আস্থাশীল ছিলাম বলে ুদুর্মুখের কথায়চ কান দিইনি। কিন্তু বিধি বাম। দুর্নীতির ইউজিসি স্টাইলটি চারিদিক থেকেই বেশ নিপুণ এবং এতে বেশ মুন্সিয়ানার ছাপ আছে।
প্রতিবছর সাধারণত জুলাই-অগাস্ট মাসে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের বিজ্ঞপ্তি আসে। আবেদন যাচাই বাছাই করার পর সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ নেয়া হয়। এবার অগাস্টের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের নোটিশ পেয়ে স্যারদের জিজ্ঞেস করলাম, স্কলারশিপের নোটিশ কবে পাব। প্রায় সবাই বললেন কদিন পরে পাবে। বহুলপ্রচারিত পত্রিকাগুলোতে নজর রাখছিলাম। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নোটিশ আসে কিনা তাও খেয়াল করছিলাম। কোনটাই না পেয়ে ১৫ অগাস্ট তারিখে ইউজিসি ওয়েব সাইটে গেলাম। সেখানে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নামে একটি লিংক পেলাম বটে, কিন্তু ক্লিক করলে কাজ করে না। ১৯ তারিখ সন্ধ্যা বেলা গুগলে সার্চ দিলাম আবার। এবার দেখি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে একটি লিংক আছে। তাড়াতাড়ি ওপেন করলাম। কিন্তু আবেদন করার শেষ সময় ২০ তারিখ। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল বটে। তবে সেটি এমন একটি পত্রিকা যেটির পাঠক সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য।
চট্টগ্রাম থেকে ১৯ তারিখ রাতে না হয় ঢাকা গেলাম। কিন্তু আবেদনের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে অনুমোদন পত্রটি লাগবে ১৯ তারিখ রাতের বেলা সেটি কোথায় পাই? তারপরও আশায় ভর করলাম। আমার ঢাকাগামী এক ছাত্রকে পাওয়া গেল। এক ঘণ্টার মধ্যে মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তির জন্য একটি আবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দিলাম। পরদিন ২০ তারিখ ক্লাস ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছুটলাম। সবগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে একটি অনাপত্তি পত্র পেতে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ। এ টেবিল সে টেবিল ঘুরে অনেকের সহায়তায় একদিনেই যোগাড় করলাম। এবার ফ্যাক্স করার পালা। ইউজিসিতে অবস্থানরত ছাত্রটির মারফত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে অনুরোধ করে ফ্যাক্স কপি গ্রহণের ব্যবস্থা করলাম। ওনাকে কথা দিলাম পরের দিন অবশ্যই অনাপত্তি পত্রের মূল কপি উনার টেবিলে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তাটি অবশ্য আমার ছাত্রকে বলেছিলেনও বটে। এগুলো তো আগে থেকেই ঠিক থাকে। এ বেকুবের বিশ্বাস হয় নি। সে রাতেই মূল কপিটি ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।
সামাজিক বলয় ও বন্ধু মহলের অনেককেই বলতে শুনি এ রকম শেষ মুহূর্তে ছোটাছুটি করে কিছু করলে নাকি সেটা সফল হয়। কিছুটা বিশ্বাস করাও শুরু করলাম। মনে হয় স্কলারশিপটা হয়ে যাবে। কিন্তু ইউজিস্থির চিন্তা ভিন্ন। অক্টোবরে ইন্টারভিউ হয় জেনে পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে ইউজিসির ওয়েব সাইটে পাহারা দিলাম। আবেদনপত্রে আমার ফোন নম্বর, ই মেইল ঠিকানা এবং ডাক ঠিকানা ছিল। সব দিক থেকেই কড়া নজরদারি করছিলাম। ফোন আসে না, মেইল পাই না, চিঠিও আসে না। ওয়েব সাইটেও কিছু নেই। কোরবানির ছুটি এসে পড়ল। মনে করলাম ছুটির পর মনে হয় ডাকবে। গ্রামে চলে গেলাম। অক্টোবরের ৩০ তারিখ ইউজিসি ওয়েবে আবার গেলাম। না কিছুই নেই। নভেম্বরের ৩ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খুলল। কোন চিঠি আসে নি। ৫ তারিখ রাতের বেলা ওয়েবে আবার গিয়ে দেখি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ হয়ে গেছে ৪ তারিখ। ঢাকায় অবস্থানরত এক বড় ভাইকে (তিনি পিএইচড্থির জন্য আবেদন করেন) ফোন করি। তিনি জানালেন নভেম্বররের প্রথম দুই দিন তিনি ইউজিসি ওয়েব সাইটে ঢুকতেই পারেন নি। ৩ তারিখ সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখে চার তারিখে ইন্টারভিউতে হাজির হন। পিএইচডি বৃত্তিটি অবশ্য তিনি পান নি। এটি এক নামি অধ্যাপকের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সন্তান বাগিয়ে নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থেকেও আমি নিজের দাবি তুলে ধরার কোন সুযোগ পেলাম না। মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তিটি আমার চেয়ে অনেক জুনিয়র একজন পেয়েছেন। এখন শুনছি আরেক কথা। তাকে নাকি বলা হচ্ছে, তিনি আসলে বৃত্তি পান নি। ভুলক্রমে তাকে ফোন করা হয়েছিল!
যা হোক ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ইন্টারভিউ কার্ড আসে। আমাকে ৪ নভেম্বরের পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে! আগ্রহ নিয়ে খুললাম। দেখি ডেপুটি সেক্রেটারি চিঠি সই করেছেন ১০ অক্টোবর। তাহলে ৭ নভেম্ভর চিঠি আসে কি করে? চিঠি কবে ছাড়া হয়েছিল? আবেদন করার সময় আমাদের কাছ থেকে ফেরত খাম ও পাঁচ টাকার পোস্টাল ষ্ট্যামপ নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী চিঠিটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসার কথা। পোস্ট অফিসে দিলে যেদিন ঢাকা থেকে চিঠি ছাড়া হবে সেদিনের একটি সিল থাকবে। যেদিন চট্টগ্রাম আসবে সেদিনেরও একটি সিল থাকবে। কিন্তু ইউজিসি এত বোকা নয়। তাঁরা আমার পোস্টাল ষ্ট্যামপগুলো তুলে ফেরত খামটি কুরিয়ার সার্ভিসে ছেড়ে দেয়। কুরিয়ায়র সার্ভিস চিঠির গায়ে কোন তারিখ দেয় না। ফলে চিঠি ইচ্ছে করে দেরিতে ছাড়া হয়েছিল এমন কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই।
একবার ভাবলাম রিট করব। আবার ভাবলাম সুপ্রিম কোর্টের উকিলদের যে ফি তা আমার মত ছা- পোষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষকের বেতনের সাধ্যে কুলাবে না। অবশ্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারক যদি লেখাটি পড়েন তা হলে ভিন্ন কথা। তিনি একটি স্বতঃ প্রণোদিত রুল দিলেও দিতে পারেন। অন্তত এ সান্ত্বনাটুকু পাব যে, ন্যায়বিচার বলে কিছু একটা এ দেশে আছে।
লেখক : প্রভাষক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Here is the image of the wrtie up
Here is the Link:
http://suprobhat.com/details.php?reqDate=2012-11-13%2000:00:00&catId=4&subCatId=8&conId=28755
here is the details of the write up
দৃষ্টিপাত
বেকুবের কমনওয়েলথ স্বপ্ন• এম জসিম আলী চৌধুরী
কমনওয়েলথ স্কলারশীপ ২০১৩ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নৈরাজ্যকর স্বেচ্ছচারিতা আর অনিয়ম লাজলজ্জার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক এ উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ মেধাবী ও মধ্যবিত্ত পারিবারিক বলয়ে বেড়ে উঠা শিক্ষকদের চির আরাধ্য।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম স্থান সহ শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী নিয়ে পাশ করার পর ভাবলাম, একবার চেষ্টা করেই দেখি না কেন। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ বৃত্তির জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পর থেকেই। গবেষণা আর লেখালেখিতে হাত পাকাতে লেখা শুরু করি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায়। আনুমানিক সাড়ে চার বছর সরকারি বেসরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় দেশি-বিদেশী পেশাগত গবেষণা জার্নালে আমার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ৯ টি। এছাড়া বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইনের উপর একটি গবেষণাধর্মী বই ও লিখছে। বোদ্ধা মহল প্রশংসাও করেছেন। অবশ্য বেশ অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম আবেদনকারীর বাবা-কাকা পর্যায়ে কেউকাটা কেউ না থাকলে এ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু নিজের সামর্থ্য আর পরিশ্রমী মানসিকতার উপর অতি আস্থাশীল ছিলাম বলে ুদুর্মুখের কথায়চ কান দিইনি। কিন্তু বিধি বাম। দুর্নীতির ইউজিসি স্টাইলটি চারিদিক থেকেই বেশ নিপুণ এবং এতে বেশ মুন্সিয়ানার ছাপ আছে।
প্রতিবছর সাধারণত জুলাই-অগাস্ট মাসে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের বিজ্ঞপ্তি আসে। আবেদন যাচাই বাছাই করার পর সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ নেয়া হয়। এবার অগাস্টের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের নোটিশ পেয়ে স্যারদের জিজ্ঞেস করলাম, স্কলারশিপের নোটিশ কবে পাব। প্রায় সবাই বললেন কদিন পরে পাবে। বহুলপ্রচারিত পত্রিকাগুলোতে নজর রাখছিলাম। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নোটিশ আসে কিনা তাও খেয়াল করছিলাম। কোনটাই না পেয়ে ১৫ অগাস্ট তারিখে ইউজিসি ওয়েব সাইটে গেলাম। সেখানে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নামে একটি লিংক পেলাম বটে, কিন্তু ক্লিক করলে কাজ করে না। ১৯ তারিখ সন্ধ্যা বেলা গুগলে সার্চ দিলাম আবার। এবার দেখি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে একটি লিংক আছে। তাড়াতাড়ি ওপেন করলাম। কিন্তু আবেদন করার শেষ সময় ২০ তারিখ। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল বটে। তবে সেটি এমন একটি পত্রিকা যেটির পাঠক সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য।
চট্টগ্রাম থেকে ১৯ তারিখ রাতে না হয় ঢাকা গেলাম। কিন্তু আবেদনের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে অনুমোদন পত্রটি লাগবে ১৯ তারিখ রাতের বেলা সেটি কোথায় পাই? তারপরও আশায় ভর করলাম। আমার ঢাকাগামী এক ছাত্রকে পাওয়া গেল। এক ঘণ্টার মধ্যে মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তির জন্য একটি আবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দিলাম। পরদিন ২০ তারিখ ক্লাস ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছুটলাম। সবগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে একটি অনাপত্তি পত্র পেতে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ। এ টেবিল সে টেবিল ঘুরে অনেকের সহায়তায় একদিনেই যোগাড় করলাম। এবার ফ্যাক্স করার পালা। ইউজিসিতে অবস্থানরত ছাত্রটির মারফত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে অনুরোধ করে ফ্যাক্স কপি গ্রহণের ব্যবস্থা করলাম। ওনাকে কথা দিলাম পরের দিন অবশ্যই অনাপত্তি পত্রের মূল কপি উনার টেবিলে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তাটি অবশ্য আমার ছাত্রকে বলেছিলেনও বটে। এগুলো তো আগে থেকেই ঠিক থাকে। এ বেকুবের বিশ্বাস হয় নি। সে রাতেই মূল কপিটি ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।
সামাজিক বলয় ও বন্ধু মহলের অনেককেই বলতে শুনি এ রকম শেষ মুহূর্তে ছোটাছুটি করে কিছু করলে নাকি সেটা সফল হয়। কিছুটা বিশ্বাস করাও শুরু করলাম। মনে হয় স্কলারশিপটা হয়ে যাবে। কিন্তু ইউজিস্থির চিন্তা ভিন্ন। অক্টোবরে ইন্টারভিউ হয় জেনে পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে ইউজিসির ওয়েব সাইটে পাহারা দিলাম। আবেদনপত্রে আমার ফোন নম্বর, ই মেইল ঠিকানা এবং ডাক ঠিকানা ছিল। সব দিক থেকেই কড়া নজরদারি করছিলাম। ফোন আসে না, মেইল পাই না, চিঠিও আসে না। ওয়েব সাইটেও কিছু নেই। কোরবানির ছুটি এসে পড়ল। মনে করলাম ছুটির পর মনে হয় ডাকবে। গ্রামে চলে গেলাম। অক্টোবরের ৩০ তারিখ ইউজিসি ওয়েবে আবার গেলাম। না কিছুই নেই। নভেম্বরের ৩ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খুলল। কোন চিঠি আসে নি। ৫ তারিখ রাতের বেলা ওয়েবে আবার গিয়ে দেখি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ হয়ে গেছে ৪ তারিখ। ঢাকায় অবস্থানরত এক বড় ভাইকে (তিনি পিএইচড্থির জন্য আবেদন করেন) ফোন করি। তিনি জানালেন নভেম্বররের প্রথম দুই দিন তিনি ইউজিসি ওয়েব সাইটে ঢুকতেই পারেন নি। ৩ তারিখ সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখে চার তারিখে ইন্টারভিউতে হাজির হন। পিএইচডি বৃত্তিটি অবশ্য তিনি পান নি। এটি এক নামি অধ্যাপকের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সন্তান বাগিয়ে নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থেকেও আমি নিজের দাবি তুলে ধরার কোন সুযোগ পেলাম না। মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তিটি আমার চেয়ে অনেক জুনিয়র একজন পেয়েছেন। এখন শুনছি আরেক কথা। তাকে নাকি বলা হচ্ছে, তিনি আসলে বৃত্তি পান নি। ভুলক্রমে তাকে ফোন করা হয়েছিল!
যা হোক ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ইন্টারভিউ কার্ড আসে। আমাকে ৪ নভেম্বরের পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে! আগ্রহ নিয়ে খুললাম। দেখি ডেপুটি সেক্রেটারি চিঠি সই করেছেন ১০ অক্টোবর। তাহলে ৭ নভেম্ভর চিঠি আসে কি করে? চিঠি কবে ছাড়া হয়েছিল? আবেদন করার সময় আমাদের কাছ থেকে ফেরত খাম ও পাঁচ টাকার পোস্টাল ষ্ট্যামপ নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী চিঠিটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসার কথা। পোস্ট অফিসে দিলে যেদিন ঢাকা থেকে চিঠি ছাড়া হবে সেদিনের একটি সিল থাকবে। যেদিন চট্টগ্রাম আসবে সেদিনেরও একটি সিল থাকবে। কিন্তু ইউজিসি এত বোকা নয়। তাঁরা আমার পোস্টাল ষ্ট্যামপগুলো তুলে ফেরত খামটি কুরিয়ার সার্ভিসে ছেড়ে দেয়। কুরিয়ায়র সার্ভিস চিঠির গায়ে কোন তারিখ দেয় না। ফলে চিঠি ইচ্ছে করে দেরিতে ছাড়া হয়েছিল এমন কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই।
একবার ভাবলাম রিট করব। আবার ভাবলাম সুপ্রিম কোর্টের উকিলদের যে ফি তা আমার মত ছা- পোষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষকের বেতনের সাধ্যে কুলাবে না। অবশ্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারক যদি লেখাটি পড়েন তা হলে ভিন্ন কথা। তিনি একটি স্বতঃ প্রণোদিত রুল দিলেও দিতে পারেন। অন্তত এ সান্ত্বনাটুকু পাব যে, ন্যায়বিচার বলে কিছু একটা এ দেশে আছে।
লেখক : প্রভাষক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Here is the image of the wrtie up
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দৈনিক অজাদীতে প্রকাশিত হচ্ছে ১১ পর্বের ধরাবাহিক
A series of 11 articles is being published currently in the Daily Azadi (Chittagong). These focus the much talked Caretaker Government of Bangladesh
here is the link to first 5 parts... later parts will be coming soon and i wish to publish those in my blog as well...
1. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-10-22
2. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-10-26
3. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-11-09
4. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-12-01
5. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-12-7
get the pictures of the write-ups also
here is the link to first 5 parts... later parts will be coming soon and i wish to publish those in my blog as well...
1. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-10-22
2. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-10-26
3. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-11-09
4. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-12-01
5. http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=4&subpage=1&date=2012-12-7
get the pictures of the write-ups also
Presidential impeachment: Problems in anticipation
Constitutional Analysis
Presidential impeachment: Problems in anticipation
M. Jashim Ali Chowdhury
published in the Daily Star Law and Our Rights, May 19, 2012
Available online: http://www.thedailystar.net/law/2012/05/03/index.htm
The presidential impeachment procedure prescribed in the Constitution of Bangladesh seems to be thematically confused. Perhaps the framers of the Constitution were trying to take a route slightly different from our sub-continental counterparts - India and Pakistan. It is also not clear whether they have shown a US leaning in this regard. While lecturing on the Presidency of Bangladesh, one of my students made me a little startled by posing a troublesome question regarding the impeachment procedure.
A simple majority of the members of Parliament prefers a motion to the Speaker expressing the intention of and reason for the proposed impeachment (Article 52(1) of Bangladesh Constitution). In India, such motion is preferred by one-fourth of the total membership of either House of the bicameral Parliament (Article 61(2) of the Indian Constitution). In Pakistan, 'not less then one-half' members of either House of the Parliament would sign the motion (Article 47(2) of the Pakistani Constitution). 'Violation of Constitution' invariably constitutes the ground warranting an impeachment, while the Bangladeshi and Pakistani constitutions add 'Gross Misconduct' to the list.
The motion is thereafter discussed in Parliamentary Session (Article 52(4) of the Constitution of Bangladesh). The Pakistani Parliament sits in joint sitting to discuss the motion (Article 47(5) of the Pakistani Constitution). Thereafter if a resolution is passed by two-thirds majority of the members of Parliament, the President stands impeached immediately. In India, however, the particular House of Parliament calling for the motion has to discuss it and pass a resolution by two-thirds majority of its members (Article 61(2) of the Constitution of India). The resolution results in the indictment only, while the 'investigation' of the charge has been left with the other House of the Parliament. This is the point putting the Indian approach in contrast with the Bangladeshi and Pakistani ones. The Indian constitution has drawn a clear and logical line of distinction between the discussion of the motion and investigation of the charge. Two reside with two separate Houses of the Indian Parliament. Bangladesh, having a unicameral legislature, and Pakistan, calling for a joint sitting of the bicameral legislature, have no choice but to assign both the task to the same forum.
Again, whereas the Second House of the Indian Parliament 'shall' investigate the charge or cause the charge to be investigated (Article 61(3) of the Indian constitution), the Bangladeshi and Pakistani Parliament 'may' investigate or cause the charge to be investigated (Article 52(4) of Bangladesh Constitution and Article 47(6) of the Pakistani Constitution). The Second House of the Indian Parliament investigating or causing the charge investigated may pass a resolution of impeachment by two-thirds majority only when the resolution is moved 'as a result of the investigation' (Article 61(4) of the Indian Constitution). The Bangladeshi and Pakistani Parliament may pass the impeachment resolution by two-thirds majority, after considering the charge itself or considering the investigation report, if there is any at all (Article 52(4) of Bangladesh Constitution and Article 47(5) of the Pakistan Constitution). Therefore, the President of India may not be impeached without a factual and legal probe into the alleged violation of the Constitution. The Bangladeshi or Pakistani President, on the other hand, may be impeached solely on political determination of the politicians, even without attempting any factual or legal investigation of the issues involved.
Yet on another account the Bangladeshi procedure differs from the Indian and Pakistani procedures. The Indian parliament compulsorily investigates the charge, either by itself or by some other body designate, but there is no specification of the other body or authority that is supposed to be burdened with the job. The Pakistani Constitution does not consider the investigation a compulsory one but provides an option for investigation either by the Parliament or by some other body designate, again without any specification regarding that other body. The Constitution of Bangladesh, however, suggests that any court or tribunal may be charged with the task of investigation (Article 52(2) of the Constitution of Bangladesh).
This I think has made the Bangladeshi procedure clumsier. Perhaps the framers of the Constitution were quite hesitant in drawing a line between political and legal complexion of an impeachment. And they tried to invite a sort of judicial participation there. What is the utility of involving a court or tribunal in a process which the constitution demonstrably considers to be a political one? Were the framers inspired by the US Procedure? Given the fundamental dissimilarity of scheme and spirit between the US and Bangladeshi process, I don't think so. Lets have a look:
The Judiciary Committee of the US House of Representative decides whether or not to proceed with impeachment. If they do, the Chairman of the Committee proposes a Resolution calling the Committee to begin a formal inquiry into the issue of impeachment. Based on their inquiry, the Committee sends another Resolution to the full House stating that impeachment is warranted and why (the Articles of Impeachment), or that impeachment is not called for. The Full House debates and votes on each Article of Impeachment. Should any one of the Articles of Impeachment be approved by a simple majority vote, the President will be "impeached." However, being impeached is sort of like being indicted of a crime. There still has to be a trial, which is where the US Senate comes in. The US Senate receives the Articles of Impeachment from the House. The Senate formulates rules and procedures for holding a trial. A trial will be held. The President will be represented by his lawyers. A select group of House members serve as "prosecutors." The Chief Justice of the Supreme Court presides with all 100 Senators acting as the jury. The Senate meets in private session to debate a verdict. The Senate, in open session, votes on a verdict. A two-thirds vote of the Senate results in a conviction. The Senate votes to remove the President from office.
Therefore, the US method is an elaborate, compact and detailed one comprising - fact finding investigation by a committee, political decision to indict, a sort of judicial trial involving the Chief Justice to convict and ultimately another political decision to impeach. While recognizing the ultimate supremacy of the political will, the factual and legal implications of presidential impeachment are also clearly recognized. Hence, historically and logically the US Supreme Court declined to entertain any further judicial challenge on the impeachment process. The US Supreme Court sounded such a note in its 1993 case Nixon v. United States, 'The meaning of the word 'try' in the Constitution's Impeachment Trial Clause is a non-justiciable political question, there being a texually demonstrable constitutional commitment of the issue to a coordinate political department and a lack of judicially discoverable and manageable standards for resolving it' (Youngjae Lee, Law, Politics and Impeachment: The Impeachment of Roh Moo-hyun from a Comparative Constitutional Perspective, The American Journal of Comparative Law, Volume 53, 2005, pp 403-432 at p 405).
But what may happen in Bangladesh? Consider an impeachment investigation referred to a Court or Tribunal. Would the propriety of that investigation remain outside the purview of judicial review, specially when we all know that there may not be any Court or Tribunal which is not subordinate to the Supreme Court of Bangladesh (Shahar Ali v. A.R. Chowdhury 32 DLR (1980) 147, Para 3; Bangladesh v. Shahjahan Siraj 32 DLR (1980) (AD) 1, Para 26)? Would the judiciary then be unnecessarily engaging in an issue pre-dominantly within the purview of the legislature? Again, what happens if that Court or Tribunal finds the charges not substantiated but the Parliament, not being made bound by the report of the investigation, proceeds with the resolution of impeachment? Then the politicians judging a political offence and imposing a political sanction would substitute a concrete legal justice with a conceptually undiscoverable political justice.
Since taking the US route would require a substantial overhaul of our legislative set up, I think the logical path for Bangladesh would be to make the parliament the master of both the investigation and trial of impeachment and then to provide for a sort of judicial review to see whether 'violation of constitution' or 'gross misconduct' has taken place in the legal sense of the terms. Such type of judiciary dominant model is followed in Latin American countries like Venezuela, Bolivia, Costa Rica, El Salvador, Nicaragua and Venezuela, Asian country like Korea and European countries like Germany, Hungary, Czech Republic etc. This would fit nicely with our contemporary constitutional environment encouraging judicial review of almost all legislative businesses.
The writer is a Lecturer, Department of Law, University of Chittagong.
Presidential impeachment: Problems in anticipation
M. Jashim Ali Chowdhury
published in the Daily Star Law and Our Rights, May 19, 2012
Available online: http://www.thedailystar.net/law/2012/05/03/index.htm
The presidential impeachment procedure prescribed in the Constitution of Bangladesh seems to be thematically confused. Perhaps the framers of the Constitution were trying to take a route slightly different from our sub-continental counterparts - India and Pakistan. It is also not clear whether they have shown a US leaning in this regard. While lecturing on the Presidency of Bangladesh, one of my students made me a little startled by posing a troublesome question regarding the impeachment procedure.
A simple majority of the members of Parliament prefers a motion to the Speaker expressing the intention of and reason for the proposed impeachment (Article 52(1) of Bangladesh Constitution). In India, such motion is preferred by one-fourth of the total membership of either House of the bicameral Parliament (Article 61(2) of the Indian Constitution). In Pakistan, 'not less then one-half' members of either House of the Parliament would sign the motion (Article 47(2) of the Pakistani Constitution). 'Violation of Constitution' invariably constitutes the ground warranting an impeachment, while the Bangladeshi and Pakistani constitutions add 'Gross Misconduct' to the list.
The motion is thereafter discussed in Parliamentary Session (Article 52(4) of the Constitution of Bangladesh). The Pakistani Parliament sits in joint sitting to discuss the motion (Article 47(5) of the Pakistani Constitution). Thereafter if a resolution is passed by two-thirds majority of the members of Parliament, the President stands impeached immediately. In India, however, the particular House of Parliament calling for the motion has to discuss it and pass a resolution by two-thirds majority of its members (Article 61(2) of the Constitution of India). The resolution results in the indictment only, while the 'investigation' of the charge has been left with the other House of the Parliament. This is the point putting the Indian approach in contrast with the Bangladeshi and Pakistani ones. The Indian constitution has drawn a clear and logical line of distinction between the discussion of the motion and investigation of the charge. Two reside with two separate Houses of the Indian Parliament. Bangladesh, having a unicameral legislature, and Pakistan, calling for a joint sitting of the bicameral legislature, have no choice but to assign both the task to the same forum.
Again, whereas the Second House of the Indian Parliament 'shall' investigate the charge or cause the charge to be investigated (Article 61(3) of the Indian constitution), the Bangladeshi and Pakistani Parliament 'may' investigate or cause the charge to be investigated (Article 52(4) of Bangladesh Constitution and Article 47(6) of the Pakistani Constitution). The Second House of the Indian Parliament investigating or causing the charge investigated may pass a resolution of impeachment by two-thirds majority only when the resolution is moved 'as a result of the investigation' (Article 61(4) of the Indian Constitution). The Bangladeshi and Pakistani Parliament may pass the impeachment resolution by two-thirds majority, after considering the charge itself or considering the investigation report, if there is any at all (Article 52(4) of Bangladesh Constitution and Article 47(5) of the Pakistan Constitution). Therefore, the President of India may not be impeached without a factual and legal probe into the alleged violation of the Constitution. The Bangladeshi or Pakistani President, on the other hand, may be impeached solely on political determination of the politicians, even without attempting any factual or legal investigation of the issues involved.
Yet on another account the Bangladeshi procedure differs from the Indian and Pakistani procedures. The Indian parliament compulsorily investigates the charge, either by itself or by some other body designate, but there is no specification of the other body or authority that is supposed to be burdened with the job. The Pakistani Constitution does not consider the investigation a compulsory one but provides an option for investigation either by the Parliament or by some other body designate, again without any specification regarding that other body. The Constitution of Bangladesh, however, suggests that any court or tribunal may be charged with the task of investigation (Article 52(2) of the Constitution of Bangladesh).
This I think has made the Bangladeshi procedure clumsier. Perhaps the framers of the Constitution were quite hesitant in drawing a line between political and legal complexion of an impeachment. And they tried to invite a sort of judicial participation there. What is the utility of involving a court or tribunal in a process which the constitution demonstrably considers to be a political one? Were the framers inspired by the US Procedure? Given the fundamental dissimilarity of scheme and spirit between the US and Bangladeshi process, I don't think so. Lets have a look:
The Judiciary Committee of the US House of Representative decides whether or not to proceed with impeachment. If they do, the Chairman of the Committee proposes a Resolution calling the Committee to begin a formal inquiry into the issue of impeachment. Based on their inquiry, the Committee sends another Resolution to the full House stating that impeachment is warranted and why (the Articles of Impeachment), or that impeachment is not called for. The Full House debates and votes on each Article of Impeachment. Should any one of the Articles of Impeachment be approved by a simple majority vote, the President will be "impeached." However, being impeached is sort of like being indicted of a crime. There still has to be a trial, which is where the US Senate comes in. The US Senate receives the Articles of Impeachment from the House. The Senate formulates rules and procedures for holding a trial. A trial will be held. The President will be represented by his lawyers. A select group of House members serve as "prosecutors." The Chief Justice of the Supreme Court presides with all 100 Senators acting as the jury. The Senate meets in private session to debate a verdict. The Senate, in open session, votes on a verdict. A two-thirds vote of the Senate results in a conviction. The Senate votes to remove the President from office.
Therefore, the US method is an elaborate, compact and detailed one comprising - fact finding investigation by a committee, political decision to indict, a sort of judicial trial involving the Chief Justice to convict and ultimately another political decision to impeach. While recognizing the ultimate supremacy of the political will, the factual and legal implications of presidential impeachment are also clearly recognized. Hence, historically and logically the US Supreme Court declined to entertain any further judicial challenge on the impeachment process. The US Supreme Court sounded such a note in its 1993 case Nixon v. United States, 'The meaning of the word 'try' in the Constitution's Impeachment Trial Clause is a non-justiciable political question, there being a texually demonstrable constitutional commitment of the issue to a coordinate political department and a lack of judicially discoverable and manageable standards for resolving it' (Youngjae Lee, Law, Politics and Impeachment: The Impeachment of Roh Moo-hyun from a Comparative Constitutional Perspective, The American Journal of Comparative Law, Volume 53, 2005, pp 403-432 at p 405).
But what may happen in Bangladesh? Consider an impeachment investigation referred to a Court or Tribunal. Would the propriety of that investigation remain outside the purview of judicial review, specially when we all know that there may not be any Court or Tribunal which is not subordinate to the Supreme Court of Bangladesh (Shahar Ali v. A.R. Chowdhury 32 DLR (1980) 147, Para 3; Bangladesh v. Shahjahan Siraj 32 DLR (1980) (AD) 1, Para 26)? Would the judiciary then be unnecessarily engaging in an issue pre-dominantly within the purview of the legislature? Again, what happens if that Court or Tribunal finds the charges not substantiated but the Parliament, not being made bound by the report of the investigation, proceeds with the resolution of impeachment? Then the politicians judging a political offence and imposing a political sanction would substitute a concrete legal justice with a conceptually undiscoverable political justice.
Since taking the US route would require a substantial overhaul of our legislative set up, I think the logical path for Bangladesh would be to make the parliament the master of both the investigation and trial of impeachment and then to provide for a sort of judicial review to see whether 'violation of constitution' or 'gross misconduct' has taken place in the legal sense of the terms. Such type of judiciary dominant model is followed in Latin American countries like Venezuela, Bolivia, Costa Rica, El Salvador, Nicaragua and Venezuela, Asian country like Korea and European countries like Germany, Hungary, Czech Republic etc. This would fit nicely with our contemporary constitutional environment encouraging judicial review of almost all legislative businesses.
The writer is a Lecturer, Department of Law, University of Chittagong.
Fundamental right to Basic Necessities of Life: Problems of Adjudication in Bangladesh
Fundamental Right to Basic Necessities of Life: Problems of Adjudication in Bangladesh
M Jashim Ali Chowdhury
Published in the Indian Journal of Constitutional Law, Volume 5 (2011) pp 83- 105; Published by NALSAR University of Law, Hyderabad, India;
For Full Volume of the Journal See:
https://www.nalsar.ac.in/sites/default/files/IJCL%20Volume-5.pdf
Claiming a ‘Fundamental Right to Basic
Necessities of Life’: Problems and prospects of adjudication in Bangladesh
M. Jashim Ali Chowdhury*
1. Prelude
The debate on whether socio-economic
rights can or should be adjudicated and enforced by courts is ongoing since
1960s, when the rights in the Universal Declaration of Human Rights (UDHR) were
divided into two separate covenants. Though the International Covenant on Civil
and Political Rights (ICCPR) 1966 and the International Covenant on Economic
Social and Cultural Rights (ICESCR) 1966 differ from each other in many
respects, the key point which makes the ICESCR drastically weaker than and
subservient to the ICCPR[1]
appears in its Article 2(1). Here the State party obligation and its
realization have been made a progressive one subject to available resources. On
the other hand, Article 2 of the ICCPR puts an immediate and justiciable burden
upon the State. Since the civil political rights were figured prominently in
the west while socio-economic rights were propagated by the socialist block, the
ideological cleavages between socialism and capitalism shadowed the
necessity of integration of socio-economic rights among justiciable fundamental
rights and they were thereby avoided practically.[2]
After the World War II most of the third world countries emerging free from
capitalist colonial legacy adopted this formula of segregating the human rights
and hence the socio-economic rights remained the poor
cousins of their civil and political counterparts. In the sub-continent the
Indian (1950) and Pakistani (1973) constitutions adopted this and so did the
Bangladeshi one (1972).
1.1. Socialist illusions of the Constitution
of Bangladesh
One of
the fundamental principles inspiring our forefathers to lay down their lives in
the Liberation War of 1971 was the emancipation of working class, peasants and
toiling masses from all sorts of oppression and economic deprivations.[3]
Accordingly the Preamble of the original constitution (1972) adopted ‘socialism’
as one of the guiding philosophies of the new state which was to be a scheme of
social security from cradle to grave.[4]
The motto was to eliminate inequality in income, status and standard of life by
providing adequate shelter, education and medical care to all. Article 10 also approved
the assertion by pledging, ‘A socialist economic system shall be established
with a view to ensuring the attainment of a just and egalitarian society, free
from exploitation of man by man.’
However, the
half-heartedness on the part of the framers regarding the exact capability of
the State to take the burden in this regard prompted them to relegate the
socio-economic ‘Rights’ to mere ‘Principles.’ Accordingly the sunny promises of
the Preamble faded in the very first Article (Article
8) of Part II. Here the constitution creates a dichotomy between civil and
political rights and economic, social and cultural right by making the former
enforceable by the court and the latter non-enforceable.[5] Economic, social and cultural rights included in Part II under
the head ‘Fundamental Principles of State Policy, includes the provision of
basic necessities of life including food, clothing, shelter, education and
medical care, etc.[6] While
the ‘Fundamental Rights’ in Part III are justiciable,[7]
To make the situation worse, after the 1975 killing of the Father
of the Nation, Article
10 of the Constitution harboring ‘socialism’ was substituted with something
new: ‘Steps shall be taken to ensure
participation of women in all spheres of national life!’ ‘Socialism’ in the Preamble was amended
to mean economic and social justice. Thereby
a political agenda was relegated to a mere economic program and a socialist
economy turned into a bourgeoisie one. [8]
A welfare state became a laizess faire
and the fortune of the millions of dying destitute fell upon the mercy of cruel
and rampant God of market.
1.2. In search of reform
Quite happily, the Supreme Court
in a recent case[9] has
given Bangladesh her socialist complexion back by reviving the original
Preamble and Article 10. This is the case where the ill-legacy of military rule
was condemned.[10] The
invalidation of the 1975-79 military regime resulted in the auto invalidation
of the constitutional amendments effected by the regime and hence the original
constitution especially the Preamble and state policy related articles got much
of their original look back. Thereafter the 15th Amendment to the
Constitution of Bangladesh effected in July 2011 accommodated most of the observations
of the Supreme Court. It introduced some other vital changes regarding which
the Court had no observations at all. However, the legislature did not take the
chance to re-consider whether the 1972 confusions regarding the affordability
of the fundamental right to basic necessities of life holds the field today or
not. Hence the original equation of principles versus rights remains intact.
Given the situation, I take the chance to argue for
placement of basic necessities of life, which now reside in Article 15 of Part
II of the Constitution (Fundamental Principles), within the ambit of Part III (Fundamental
Rights) to re-install and further invigorate the socialist promises of the
Preamble.[11] Answer
to the first and foremost ‘doubt’ on such a proposition arising from the
Court’s suspected unfitness to judge a fundamental right to basic necessity
claim is the focus of this exercise.
After briefly addressing the widely professed ‘problems’
relating to the justiciability of Socio-economic Rights (Para 2), the paper
proceeds to unveil the ‘smuggling’ the Bangladeshi courts are doing now-a-days
under the umbrella of Fundamental Rights (Para 3). Then, the inadequacies of
the indirect and minimum enforcement regime developed through judicial activism
are explained as part of a preliminary justification of a ‘fundamental right’
claim (Para 4). Thereafter, for a comfortable linguistic formulation of the proposed
‘fundamental’ right to basic necessities of life, I have taken the South
African Bill of Rights as a model (Para 5). Then,
to ease the hesitation regarding the resultant judicial activism, I’ve tried to
chalk out the patterns of probable orders and judgments that the judiciary may render
in a future claim to basic necessities as of right. At the same time I’ve tried
to show that the judiciary of Bangladesh is already in the habit of making such
orders and judgments in course of its engagement with Public Interest
Litigations (PILs) and obviously they have done it with a considerable amount
of success (Para 6). Lastly, the question as to whether Bangladesh is ready
enough, economically and politically, to adapt herself with the proposed
drastic change in ‘rights’ regime is dealt with, briefly though (Para 7). The
ultimate purpose is to persuade that we don’t need to be worried of the court’s
‘institutional capacity’ to adjudicate such fundamental right claims.
2. Justiciability ‘concerns’ and the Replies
The key ‘problems’ rooted in the
traditional perceptions of progressive and resource dependent ESC rights, their
violations and resultant remedies may be summed up to the minimum within
two major points: Firstly, their
realization being progressive and therefore more difficult to judge the
presence versus absence of, e.g. a right to education as compared to a right to
vote; and being subject to the available resources, and therefore more
difficult for States to guarantee to every citizen unconditionally, the theory
of separation of power is inherently against their justiciability. Secondly, the courts do not have the
institutional capacity to appreciate and attend all the polycentric interests
involved therein.[12]
In fact the already settled responses to these readily preached
‘problems’ are so well known that a short assemblance of points should suffice.
Lack of resource as an excuse fails in its totality when we see the violation
of socio- economic rights as a problem of governance, not of resource.[13]
A rights claim may not be ‘reasonably’ discharged simply on the basis of a bald
assertion of resource constraints. Resource consideration is not totally
ignored by the court judging a violation. What the court does is questioning
‘reasonableness’ of the resource already allocated to see that the decisions
and their implementation remain fair, rational,[14]
balanced, flexible, coherent, proportional,[15]
progressive and purposeful.[16]
It also takes care that the program pays appropriate attention to the crises, short,
medium and long-term needs.[17]
Under the doctrine of separation of powers, it is the job of courts, not
legislatures, to consider allegations of rights violations. The ever present potential
for an on-going tussle between the courts and the government should be seen as
part of the process of constitutional dialogue rather than a threat to the
constitutional order.[18]
The institutional capability of the court to adjudge socio-economic rights litigations
becomes undoubted in the sense that such litigations focus on structural or
systemic violations requiring the weighing of competing interests in the scale
of reasonableness and proportionality.[19]
Institutionally no other organ of the State is better suited than the Judiciary
to adjudicate the proportionality concern objectively.
3. Smuggling Socio-economic Rights through
the backdoor
While
in spite of having similar constitutional disposition, the Indian judiciary
appeared as a vanguard of social justice,[20]
the Supreme Court of Bangladesh remained adamant not to change its stance over the
non-justiciability of socio-economic rights finding place within the Principles
of State Policy until recently.
In Re Wills Little Flower School[21]
the High Court Division negated a requisition of land in favor of an English
Medium Private School on the ground of its being not in ‘Public Purpose.’
Relying on Article 17 of the Constitution which mandates the State to work for
the ‘mass-oriented uniform system’ of education, the Court held that use of
governmental power for private English medium school having little interest in
the culture and heritage of Bangladesh would never be an action aimed at ‘mass
oriented’ ‘universal’ education. Unfortunately the Appellate Division turned
down the effort by holding that Fundamental Principles of State Policy (where
Art. 17 belongs) were not to be judicially enforced and thereby refused to use
them even as aid to interpretation.[22]
Again, the Kudrat-E-Elahi
Panir and Others v. Bangladesh
concerned a challenge to Ordinance No. XXXVII of 1991 (that subsequently became
Act No. II of 1992) which abolished the elected Upazila Parishads (the
third tier of the local government) and vested in the government all
rights, powers, authorities and privileges of the dissolved Upazilla
Parishads. The appellants, some chairmen of dissolved Upazilla
Parishads, unsuccessfully challenged the law in the High Court Division and
then appeared before the Appellate Division by obtaining leave to appeal. One
of the grounds was that the Ordinance being inconsistent with Articles 9 (as it
was before the 15th Amendment) and 11 ran against the spirit of the
Constitution and became void by operation of Article 7(2). It was clear that
the Ordinance was clearly against the gist of Articles 9 and 11.[23]
But the problem was that the Articles 9 and 11 were in the Part II containing
the Fundamental Principles. In the
main judgment Shahabuddin Ahmed CJ held that Articles 9 and 11 being located in
Part II of the constitution were not judicially enforceable. If the State does
not or cannot implement these principles the Court cannot compel the state to
do so.[24]
Interestingly, the Article 8(2) has five parts – The
principles: a) shall be fundamental to the governance of
Bangladesh; b) shall be applied by the State in making of
laws; c) shall be a guide to the interpretation of
the Constitution and other laws of Bangladesh; d) shall form the
basis of the work of the State and its citizens; and e) shall not be judicially
enforceable. It seems that while strictly asserting that
principles are not judicially enforceable, judiciary is ready to enforce the
fifth criteria only and not the other four criteria set out in article 8(2). It
may be asked whether article 8(2) binds the judiciary only and leaves the
executive and legislature out of its ambit. Once Justice Badrul Haider
Chowdhury of the Appellate Division of the Supreme Court got almost near to the
point but the vital question of justiciability remained unanswered and the
Court ended in a mere general observation:
Though the directive principles
are not enforceable by any court, the principles therein laid down are
nevertheless fundamental in the Governance of the country and it shall be the
duty of the state to apply these principles in making laws. …. This alone shows
that the executive cannot flout the directive principles. The endeavour of the
Government must be to realise these aims and not to whittle them down.[25]
However,
there are instances of judicial enthusiasm and of late the trend has gained
momentum. This part of the write-up explores the scopes prevailing within the
constitutional set up of Bangladesh ‘to smuggle (if not possible to claim) the
socio-economic rights through the backdoor and down the chimney or through the
window.’[26] The
courts are using some of the lee-ways while some other remains yet to be
explored. The first strategy is asserting socio-economic rights under the
umbrella of prominent Fundamental Rights like right to life and liberty, freedom
of association, expression and opinion, right to information, equality and
non-discrimination, etc.[27]
Second of the options is to emphasize the domestic application of ICESCR to
enforce socio-economic rights.
3.1. Resorting
Fundamental Rights to claim Socio-economic Rights
The ‘right to life’ has been widely utilized
by the courts to ensure medical services, food, shelter, healthy work environment
and housing etc of the people.[28]
Stumbled by the plea of non-justiciability of Directive Principles, the Indian
Supreme Court has shown its dire determination to enforce the socio-economic
rights of the people by following this line. Article 21 of the Indian
Constitution ensuring right to life has been interpreted to cover right to
necessary conditions of life,[29]
right to livelihood,[30]
right to get adequate relief in starvation crisis,[31]
right to receive timely medical aid,[32]
right to live in healthy environment,[33]
right to education[34]
and even the access to better road communication facilities.[35]
In Bangladesh also the right
to life has been resorted to address a wide range of welfare concerns such as slum
dweller’s legitimate expectation of not to be evicted without alternative
settlement,[36] protection
and preservation of environment and ecological balance,[37]
prohibition of advertisement of cigarettes,[38]
ban on imposing VAT in case of health treatment at hospitals, clinics and doctors' chamber,[39]
development of children, maternity benefits, creation and sustenance of conditions
congenial to good health[40]
etc.
Right to equality and non-discrimination has been
another area of great strategic value. The activist judges around the world
rely greatly on the principle of non-discrimination to strike at the roots of socio-economic
inequality. The Supreme Court of Bangladesh has done the same whenever an
opportunity came.[41]
4. The inadequacies of the piecemeal
Protection
While the judiciary has
developed a piecemeal protection for socio-economic rights using the
fundamental rights, it is in no way
sufficient in protecting socio-economic rights. Rather it will be beneficial to explicitly recognise
socio-economic rights as capable of judicial enforcement. The problems prevailing in the minimal
protection trend are manifold.
First, it is ironic, that though the courts have
developed this protection using the concept of human ‘dignity’, they intervene
only in cases of extreme and exceptional degradation. In
overlooking the other less severe cases of destitution, they contravene the
value they are trying to uphold. Moreover, practical question arises from this
- how are authorities to determine when an individual’s situation meets the
requisite level of severity, requiring them to redistribute resources to
eliminate the disadvantage?[42]
Secondly, courts
face fundamental difficulties in protecting civil rights where they are
inextricably bound up in socio-economic issues that are held to be
non-justiciable. Therefore, courts are reluctant to intervene in the resolution
of resource allocation disputes even where civil and political rights are in
issue, and the result is that both sets of rights go unprotected.
Thirdly, for the
present level of justiciability, recognition of socio-economic rights in the
Constitution in any format is not necessary at all. For example, the US Bill of
Rights or the Canadian Charter of Rights and Freedoms do not contain express
guarantees of socio-economic rights. Even in such countries, protection for
such rights is indirectly derived from the protection given to civil and
political rights such as the right to life or the right to equal protection of
the law. Hence without clear recognition of socio-economic rights as ‘rights’,
the present scheme of our constitution makes no difference at all.
Fourthly, the use
by courts of Directive Principles and other forms of open-ended constitutional
rhetoric is often only possible in societies where there is general acceptance
of the legitimacy of judicial activism. Judicial activism being a fluid and
fluctuating concept it makes the enforceability of socio-economic rights an uncertain
issue. It is significant that the Irish courts have not followed the approach
of the sub-continent courts in relation to the very similar set of Directive
Principles shared by both the Irish and Indian Constitutions. The Irish Supreme
Court has taken the view that the limited role of the courts in a system based
upon a firm concept of the separation of powers prevents them making use of the
non-legally binding Principles.[43]
Fifthly, the present
scheme narratives of social justice, redistribution, economic efficiency,
development and growth compete, clash and combine with the principles of laissez-faire
economic libertarianism and individual self-realization. Hence
socio-economic rights remain largely on the sidelines of the political, social
and economic debates. As Alicia Yamin has commented, “perhaps the greatest
obstacle to advancing ESC rights—on both the external and internal level—is
that there is a lack of consciousness about ESC rights as rights, and a
concomitant lack of indignation at their systematic violation.”[44]
Therefore more
direct judicial enforcement is needed instead of hitching socio-economic
entitlements on the backs of political and civil rights. Such an action would
transform the ‘target duties’ into ‘specific duties’. A programmatic model of
socio-economic rights enforcement, which is elaborated by reference to the
South African Constitution, may be incorporated in the Constitution. The ‘target
duties’ coupled with aspects of the ‘programmatic’ model would require that
socio-economic entitlements be considered in
the process of policy making, local authority decisions and legislation.
It would require public authorities to target available resources on groups of
greatest socio-economic need.[45] Additionally
the ‘severity test’, aided by the reasonableness approach, developed in
relation to the right to life would be applied to these explicit socio-economic
rights. Extreme rights-denial would convert the ‘target duty’ into a ‘specific
duty’ that is enforceable by the individual affected by the breach of the
right/duty.[46]
5. Promoting ‘Principles’ to ‘Rights’: The
South African Model
In spite of their indirect
enforcement by the Supreme Court, there is a forceful necessity of elevating
the status of basic necessities of life from mere aspirational goals to
concrete Fundamental Rights. To this end the South African Constitution which
is groundbreaking in entrenching protection of Socio-economic rights under the
umbrella of judicial review,[47]
may be looked into. The language applied therein crystallizes the normative
contents of the otherwise ‘vague’ socio-economic rights.
The Constitution of Bangladesh nowhere acknowledges
any ‘right’ to any social security benefits. She is full of promises having
fine literary value. In terms of placing legal burden or duty upon the State,
Articles 15-19 of the Constitution remain completely nugatory. The whole
socio-economic rights talk, on the excuse of resource constraint, dwells on a
charity based approach. The language applied in Article 15 of the Constitution,
for example, delineates the contents of the basic necessities of life in a state
charity fashion. It is accepted to be a ‘fundamental responsibility’ of the
State ‘to attain’, through planned economic growth, a constant increase of
productive forces and a steady improvement in the material and cultural
standard of living of the people, with a view to securing to its citizens the
provision of the basic necessities of life, including food, clothing, shelter,
education and medical care, etc.’ Article 16 – 19 also are full of vague terms
hardly specifying any concrete right holder or duty bearer.
Conversely,
while not brushing aside the same resource constraints, the South African
Constitution has rightly adopted a ‘Rights Based Approach’ to socio-economic
rights. The Bill
of Rights entrenched in Chapter 2 of the South
African Constitution (Act 108 of 1996) protects three categories of
socio-economic rights: rights with internal limitations, rights without
internal limitations and the negative rights, respectively.
The first category
of rights includes the right of everyone to have access to adequate housing,[48]
health care services, including reproductive health care, sufficient food and
water and social security, including appropriate social assistance if they are
unable to support themselves and their dependents.[49]
All these rights are all subject to an internal limitation by which the state
is required to take reasonable legislative and other measures, within its
available resources, to achieve their progressive realization.[50]
The second category
of rights includes children’s rights to basic nutrition, shelter, basic health
care services and social services.[51]
It also includes everyone’s right to basic education including adult education[52]
and the rights of detained persons to adequate accommodation, nutrition,
reading materials and medical treatment.[53]
Their realization is immediate and not subject to reasonable legislative and
other measures within the state’s available resources.
The third category,
the negative rights, prescribes a number of prohibitions which include prohibition
of refusal of emergency medical treatment to anyone,[54]
eviction from or demolition of home without an order of court and permissive
legislation.[55]
The South African mode of linguistic formulation dispels
the much feared vagueness, separation of power and institutional suitability
concerns. The rights in the second and third category are not less concrete
than any of the civil political rights finding place in the fundamental
rights part of our constitution. Had we adopted the formula, only the first
category of rights may pose some, if there are any, ‘problems’. However, the
next part of my write-up will show why there is no reason to be worried.[56]
6. Developing remedies for violation of
‘Fundamental’ Socio-economic Rights
To deal pragmatically with the perceived problems of
polycentric decision making, the courts usually give some creative remedies such
as Damages, Declaratory Orders (Prohibitive or Mandatory) and Structural
Interdicts.[57] The
appropriateness of such remedies, alone and in combination, depends on a range
of contextual factors discussed below:
6.1. Damages
In socio-economic rights cases, damages present themselves
as an attractive remedy. Though the damages awarded to an individual may deprive
the state of resources that may have been used to provide services for the
general good of society as a whole, it has a distributive justice effect as
well.[58]
In most cases it appears as the most appropriate remedy due to the poverty, disability
or socio-economic disadvantaged position of the victim.[59] The High Court Division of the Supreme
Court of Bangladesh has already developed a practice of giving palliative
remedy of damages in its Special Original Writ Jurisdiction to try fundamental
rights cases. The court’s extra-ordinary and inherent jurisdiction to pass any order as it deems fit and proper[60]
has duly empowered it to award simple cost of the case as well as monetary
compensation considering the facts and circumstances in each case.[61]
The assertion of the Court’s power to do complete justice by giving
appropriate, just and equitable relief has been so drastic as to require someone
not party to the original suit to personally pay damages to the victim.[62]
So it will not be any new remedy to be invented for socio-economic rights
cases.
6.2. Declaratory
Relief
Declaratory relief presents itself as appropriate when the
government is committed to the rule of law and accords the court order the
respect it deserves. Here the court simply declares whether or not the state is
in short of performing its constitutional obligation. Its strength lies in its
deferential nature which gives the state the latitude to choose the most
appropriate way of undoing a constitutional violation.
In Ain O Shalish
Kendra & ors v. Government of
Bangladesh,[63] the
petitioner argued that wholesale eviction of slum dwellers without prior notice
and alternative rehabilitation was violative of their fundamental right to life
which included the right to acquire livelihood.[64]
The court, though took note of all the poverty alleviation schemes propagated
to be undertaken by the government, declared eviction in any circumstance
without alternative settlement illegal.[65]
The immediate result of the order was that the eviction process was stopped.
However, on the face of executive recalcitrance mere
declaration of delinquency may be ineffective and the courts may need to
explore the appropriateness of other remedies. In the Upazila Parishad case[66]
concerned a challenge to an Ordinance which abolished the elected Upazila
Parishads (the third tier of the local government) and vested in the
government all rights, powers, authorities and privileges of the dissolved Upazilla
Parishads. The Court declared
any sort of local governance by non-elected actors to be inconsistent with the
constitution. The court opined that the government ‘should’ replace the non-elected
persons by election ‘as soon as possible – in any case within a period not
exceeding six months from date.’[67]
Unfortunately this was not paid heed to and was ultimately forgotten. The case
evidences the colossal failure of a mere directory declaration in absence of a
mandatory order. This leads us to explore other remedies like interdicts.
6.3. Mandatory Interdict
Where there is evidence of
likely non-compliance, it would be appropriate for the court to render a
Mandatory Interdict. The nature of a mandatory interdict may be examined in
light of Campaign for Fiscal Equity case[68]
where the plaintiffs challenged New York State’s funding of New York City's
public schools. In January 2001, Justice Leland DeGrasse of the State Supreme
Court of New York handed down his decision. He found that the defendants’ method of funding education in
New York violated the Education Article of the New York Constitution because it
fell below the constitutional floor
set by that article. He did not prescribe a detailed remedy at that point;
instead, he ordered the State Legislature and Governor to devise and implement
necessary reform of the State’s public school financing system. The State
failed to devise and implement necessary reform and, on
14 February 2005, Leland DeGrasse J proposed his own solution after
receiving a report from a panel of special referees. He ordered that an
additional US$ 5.6 billion in annual operating expenses be provided
within four years to ensure that the city's public school children will be
given the opportunity to obtain the sound basic education. DeGrasse J's decision
was subsequently upheld by the Court of Appeal.[69]
Such examples of judicial
assertiveness in issuing directives to the legislature and the executive are
not quite unseen in Bangladesh. In Fire Accidents in Garment Industries case,[70] the petitioner prayed for
appropriate directions to address the frequent fire incidents in various
garments factories claiming lives of hundreds of garments workers. The Court
found sheer negligence on the part of the authorities concerned including the owners
of garments factories and ordered the formation of a National Committee comprising
various Ministries and representatives of garments owners and workers. Quite interestingly
BGMEA, the organization of the owners of garments factories, was ordered to
fund the office and the necessary staff, including a full-time
secretary of the committee.
It is not only private organizations or individuals
that against whom the court issues mandatory directions. The State itself may
be subject to such mandatory directions. In Two Stroke Motor Vehicle case[71]
the petitioner sought to reduce environmental hazards from the smoke of motor
vehicles and audible signaling giving unduly harsh, shrill, loud and alarming
noise endangering the people’s right to live in a healthy environment.
Considering the scale of environmental pollution, the Court found ad interim directions necessary.
Accordingly it ordered the government to - enforce the laws relating to control
of hydraulic horns, conduct tests of vehicles and convert all government
vehicles into CNG operated ones within six months and establish more CNG stations,
phase out exiting two stroke wheelers and replace them by alternative transport
within December 2002. Quite interestingly the writ petition was kept pending
for the purpose of monitoring[72]
and the respondents were asked to submit report of actions and results once
every six months.[73]
This seems clearly to be something more than the judicial role as
understood in its traditional sense.
6.4. Prohibitory Interdict
Prohibitory
interdict is most appropriate as a remedy for infringements of negative obligations
shown in the third category of the South African Model. It is utilized to stop
either the government, or any other person, from taking away the existing
socio-economic rights vested in the applicants and similarly situated people. It
is also very effective in preventing future infringements where the plaintiff
shows a likelihood of violating protected rights. In this sense it becomes a
preventative interdict. The High Court Division of Bangladesh has already taken
the stance that the declaration that the directives are ‘not enforceable by any
court’ only means that the state can’t be legally forced to carry them out, if
it can’t do. This is not to say that it can throw them to the winds, and can
enact laws openly in opposition to them. The first can’t be objected to, but
the latter can’t be permitted.[74] So
the tendency to issue at least a writ of prohibition
in non-justiciable socio-economic rights claims is already there.[75] Supplying
justiciability to the right to basic necessities of life will simply bolster
the tendency.
6.5. Structural Interdicts
Remedies
such as declaratory orders, prohibitory or mandatory interdicts and damages are
inappropriate to remedy ‘systemic failures or the inadequate compliance with
constitutional obligations’ arising especially out of institutional or
organizational behavior.[76]
Adequate response to systematic failures of institutional actors requires
something more than deterrence or compensation. To this end Structural
Interdicts warrant special attention. Here the court disregards the traditional
functus officio doctrine which
requires that once the litigation is closed the dialogue is also automatically
closed. Rather retention of jurisdiction over the case propels the government
to act more cautiously because of the knowledge that any lackluster conduct would
easily be brought to the attention of the Court and might also spark the
electorate frenzy. The Court arrives at more specific and detailed directions
on the basis of the evidence brought to it by parties and by the attitude of
the government.[77]
Monitoring compliance with its order by keeping a suit
pending is not uncommon in Bangladesh. Bangladeshi courts have done it with great
success by a device known as continuing mandamus.[78]
Some examples will clarify the wrangle the Court had to fight to enforce its
continuing mandamus. In Separation of Judiciary case[79]
around 441 judicial officers of Bangladesh sought separation of Subordinate
Judiciary from the Executive as per Article 22 of the Constitution which
happens within Part II Principles. They prayed for a mandamus on the government to frame necessary Rules facilitating
the separation. The High Court Division upheld the contention and ordered
framing of rules. The government preferred an appeal. The Appellate Division meticulously
examined various provisions of the Constitution and gave a number of directions
to achieve the desired separation.[80]
Among the directions were framing of Rules, creation of a separate Judicial
Service Commission and a separate Judicial Pay Commission and insurance of
financial independence of the Supreme Court from the executive.[81]
It was in May 1997 that the High Court Division issued the directives to be
implemented within eight weeks. The decision was upheld by the Appellate
Division in November 2000 and reconfirmed upon review in June 2001.[82] The government’s reluctance to separate the
judiciary was evidently noticed from the very beginning. It began to take time
extension and passed the time granted effortlessly. Three successive
governments took as many as 22 time extensions over a period of 8 years. Finally
another Caretaker Government coming to office made necessary arrangements and
the lower judiciary was separated from the clutches of the executive on 1st
November, 2007.
This is a classic example of a relentless court involvement
making things ultimately happen. It is evidence of the fact that where the
government fails to act in a timely manner in the face of a structural
interdict, the Court is prepared to continue to engage the government until
full compliance is obtained. If a structural interdict may buy independence for
the judiciary, it may also buy socio-economic rights for the people.
6.6. Various Models of Structural Interdicts
Courts
have adopted different models of structural interdict in different cases. The
most commonly used models of structural interdicts, as suggested by Susan P Sturm,
include the bargaining or consensual
remedial formulation model, the legislative
or administrative hearing model, the expert
remedial formulation model and the report-back-to-court
model. [83]
6.6.1. Bargaining or Consensual Remedial
Formulation Model
The
bargaining model involves making remedial decisions through negotiation by the
parties involved in the case. The biggest advantage of this model is that it
produces a remedy that is acceptable to all the parties, thereby easing its implementation.
An independent third party may be appointed to help the parties reach
consensual agreement on the remedy. If the parties fail to agree, or if the
agreement reached fails to conform to the requirements of substantive law in
issue, the judge may intervene and fashion the remedy.
In Bangladesh the Code of Civil Procedure (Amendment) Act
2003[84]
and a large number of other statutes[85]
incorporate the bargaining or consensual remedial formulation model in civil,
family, industrial, financial and labour matters. This type of mediation,
negotiation and conciliation may be undertaken at any stage – trial or
appellate – of a suit. Regarding the Supreme Court’s opportunity to use such
devices, it is boldly asserted that the Special Original Writ Jurisdiction being
an extra-ordinary one, the High Court Division has got extra ordinary and
inherent jurisdiction to pass any order as it deems fit and proper. Again considering
the widest possible latitude of discretion allowed to the High Court Division
in regulating its own procedure there is no reason why the Court may not adopt
a bargaining or consensual model if the merit of a case before it requires so.
6.6.2. Legislative or Administrative Hearing
Model
The
legislative or administrative hearing model resembles a legislative committee process
providing for public hearings and direct informal participation by interested
parties. This model allows persons not originally party to the litigation to
participate in the formulation of remedy. The informal nature of the process
also makes accessibility much easier especially for the weak and vulnerable. In
Bangladesh as well the courts frequently permit voluntary organizations to place
their findings and report before it and consider their suggestions and
recommendations in formulating its decision. The Court sometimes welcomes the
opinions of the experts and asks for their suggestions.[86]
In Post Divorce Maintenance case,[87]
say for example, considering the utmost Islamic importance of the question
involved, almost
18 individuals and NGOs were allowed as intervener. Individuals included some renewed
lawyers, two Professors from University of Dhaka and even an ordinary house
wife, while the Khatib (Chief Imam) of the National Mosque and Editor
of a renowned Islamic monthly were invited as amicus curie. The court specially relied on the opinion of the Khatib of the National Mosque in
formulating its decision.
6.6.3. Expert Remedial Formulation Model
The
expert remedial formulation model involves the appointment of either an
individual expert or a panel of experts with a mandate to develop a remedial
plan. The court-appointed experts in structural litigation differ from those we
usually see in fundamental rights cases.
In Bangladesh the Code of Civil Procedure 1908 allows commissions
to be formed for the purpose of examining witnesses, making local
investigations, examining accounts and making partitions. However, this list is
not exhaustive and does not limit the inherent power of the High Court Division
to appoint commissioners in a writ petition for the ends of justice. The petitioner
in a constitutional rights case may not be able to produce enough evidence in
support of his case. When impartial assessment of facts is needed swiftly, the
official machinery of the state becomes unreliable, inefficient and probably
biased. Again, reporting in most cases has to be done against the state
machinery and in that case the court having no investigative machinery of its
own, must take resort to a commission of experts lest the disadvantaged
sections of the community have their petitions rejected and fundamental rights
continued to be violated.[88]
6.6.4. Report-back-to-court Model
This is
the most commonly-used model implemented by requiring the defendant to report
back to the court with a plan on how he intends to remedy the violation. Usually
a fixed date is set for the filing of the plan and the other party is given an
opportunity to comment. It is only when the court is satisfied with the plan
that it will concretize it as part of its decree. In fact, the court reserves
the right to reject the plan if considered inadequate.
The S v Zuba[89]
case arose from the absence of juvenile reform schools in the Eastern Cape. The
Court ordered the Department of Education to file a report disclosing its
short, medium and long term plans for the incarceration of juvenile offenders.
It was also ordered that a task team, to work on the establishment of a reform
school, be identified and its reports be submitted on a regular basis to the
inspecting judge as regards progress until the school is established.
The Bangladeshi brand of Report-back-to-court Model is a
little more intrusive than the one discussed above. The instances we have in
Bangladesh shows that here the Court itself has defined the plan of action,
requiring the government to report back on the progress of implementation. Though
the Bangladeshi judgments pose a bit different report-back-to-court model,
these are nonetheless persuasive in the sense that seeking report fashioning
appropriate remedy is less intrusive than seeking report on compliance with
court formulated remedy. In Faustina Perera v. State[90]
a suo moto rule was issued on the basis of a letter written by Dr. Faustina Perera. There attention of
the Chief Justice was drawn to the fact that 29 foreign foreigners were
languishing in different jails of Bangladesh for about five years even after
serving out their sentence. The regional
representative of International Organization for Migration was invited to share
his experience. The realistic problem regarding the release of the prisoners is
that if they are immediately released they will be in difficulties not being
able to show necessary papers. Most importantly there are no shelter centre in
Bangladesh to give necessary protection to them. The Court ordered the
Government to increase its engagement with International Organizations working
with migrants and to establish a separate cell in the Ministry of Foreign
Affairs to deal with foreign prisoners.[91]
The Jail Authority was ordered to facilitate their release and make necessary
arrangement for their safety and shelter at best within 2 months. The
Superintended of Central Jail was to report the Court within 3 months about the
release of the 29 prisoners. The IG Prison was to report within 7 days with
full particulars of the remaining 822 foreign prisoners across the country and
of the steps taken regarding their release.[92]
In Environment
Pollution Case[93] Dr.
Farooque sought mandamus upon 1176
industries to enforce their duties under the Environment Pollution Control
Ordinance 1977 and the Bangladesh Environment Conservation Act 1995. Quoting
Krishna Iyer J. with approval the Court asserted that it would not ‘sit idly by
and allow the government to become a statutory mockery’.[94]
The Director General Directorate of Environment was ordered to classify ‘red’
industries and adopt sufficient control mechanism within one year and report
compliance within six weeks thereafter. Some factories and industries were
ordered to take measure within 2 years and report to the court soon thereafter.[95]
The petitioner was set at liberty to bring incidents of violations of law to
the Court and to approach for direction wherever necessary.[96]
Very recently in Pure
Food Case[97] the
High Court Division directed the government to set up a food court in every
district and to appoint sufficient food analysts and food inspectors in all
districts within one year in order to prevent food adulteration. It observed
that necessary rules and regulations should be framed in order to ensure
safety, purity and proper nutrition values of foods. The court also directed
the government to inform the court by July 1, 2010, about its progress in
complying with the directions.
7. Is Bangladesh ready to take the burden?
As to the question whether Bangladesh is ready yet for the dramatic
regime change I propose in here in this paper, the first stance I would like to
take is already well established. This is to see the poor implementation of
socio-economic rights as a problem of ‘governance’ not of ‘resources’. Why
people go hungry? Why famine occurs? Is it the unavailability of food that
always plays the role? The classic example of 1974 famine may be an eye opener.
The availability of food in 1974 was much higher in any other year during
1971-76. Yet Bangladesh laced famine. All four of the famine districts were
among the top five in terms of food availability per head. Hence food is not
the problem, but access to food is the marginalized, that’s it.[98] Considering
these rights as a consequence of economic development results in the theory –
first expand the cake, then concern with its distribution. It advocates
suppression of ESC rights for its future realization. The pain in the present
is guaranteed; the gain in the future is speculative and illusory. Few worlds
freely opt for such a bargain.[99]
Secondly, it may
emphatically be asked whether the doubt in the minds of the founding father
regarding the economic strength of the newly independent Bangladesh remains
valid even today. Is Bangladesh not ready to take at least a ‘minimum’
‘reasonable’ burden of socio-economic rights? In fact, the economy of
Bangladesh has come a long way since 1971. The most basic achievement relates
to economic growth, which is a necessary pre-condition for achieving
progressive realisation of rights as expeditiously as possible. Bangladesh’s
rate of growth is not spectacularly high, especially in comparison with the
rates achieved by the high-performing countries of East and South-East Asia. From
an average of 1.7 per cent in the 1980s, the growth of per capita income jumped
to 3.0 per cent in the 1990s and jumped again to 4.4 per cent in the 2000s.
Since 2005, per capita income has been growing at more than 5 per cent per
annum, representing a three-fold increase compared to the 1980s. The end result
of all this is that the current generation of Bangladeshis is almost exactly
twice as rich as was the preceding one.[100]
Thirdly, the
basic problems in the welfare managements of Bangladesh lie not in the
availability of welfare benefits, rather it is predominantly in the
accessibility of those benefits for the poor. Take the Right to Food, for
example. For much of the period in the first two decades after independence,
overall food grain availability just about kept pace with population growth, so
that per capita availability has remained virtually stagnant.[101] However,
a large share of budgeted resources appears not to reach the intended
beneficiaries, indicating serious accountability problems. As per the World
Bank estimation of 2003, as much as 35 per cent of the food grains allocated to
the VGF (Vulnerable Group Feeding), 41 per cent of the VGD (Vulnerable
Group Development), and an overwhelming 75 per cent of allocations to the
FFE (Food-for-Education) did not reach any household—eligible or
otherwise. Diversion of resources at such a massive scale detracts from the
success the government can otherwise claim in fulfilling its duty “to provide”
by pursuing a pro-poor public food distribution system.[102]
Fourthly, in Bangladesh specially, what we need to
emphasis is on spending capability of the government which is the basic
challenge. The National Budget for FY2009-10 allocated a total of Tk.7,561.41
crore for social sector development, which is about 19 per cent higher than the
allocation for FY2008-09 (Tk. 6,346.96 crore). However, ADP utilisation
statistics for this sector over the first five months of FY2009-10 (July
November 2009) portrays a rather gloomy picture (29% total expenditure as
percentage of ADP allocation) when compared to the full fiscal of FY2008-09
when 87 per cent of the budgeted allocation was spent.[103] The
poor implementation scenario is evident in health sector as well. Although the National
Budget for FY2009-10 allocated Tk.70 crore for the purpose, only about 26 per
cent has so far been utilised till November 2009.[104]
Lastly, while judging the ‘fundamental right to
basic necessities of life’, the Court will concern itself, as already shown in
Paras 2 and 6, more with questioning the reasonableness of the already
allocated resources rather than requiring excess resources to be allocated. What
the Court shall try to uphold, in particular, in the process of progressive realization
will include the following issues. First, the State must begin immediately to
take steps to fulfil the rights as expeditiously as possible by developing and
implementing a time-bound plan of action. The plan must spell out, inter
alia, when and how the State hopes to arrive at the full realization of
rights. Second, the plan must include a series of intermediate— preferably
annual—targets. These intermediate targets will serve as benchmark, against
which the success or failure of the State will be judged.[105]
8. Concluding Remarks
At the end of this reading a
question regarding appropriateness of the Bangladeshi decisions cited above may
seriously be asked. It is accepted that all of the decisions are not always
essentially related to any socio-economic rights claim. Then how do I assume
that these shall be ‘appropriate’ for a future ‘fundamental right to basic
necessities of life’ claim? To this question my answer is plain. The golden
thread of this paper, if it is to be summed up within one line, is dispelling
the dogmatic perception of socio-economic rights by making evident that the
court is ‘institutionally capable’ to deal with the resource issues and the
‘separation of power’ issue never puts a hindrance to the court’s way. If the courts can deal with resources and
engage in tussles with the executive in civil-political rights cases, then what
prevents them from exploring the path in a basic necessity claim? That is why I
confidently argue for the recognition in Bangladesh of the basic necessities of
life as constitutionally protected fundamental rights.
* Lecturer,
Department of Law, University of Chittagong, Bangladesh; I would like to thank
my respected teacher Professor Md. Zakir Hossain, Dean of the Faculty of Law,
University of Chittagong, who made intuitive comments on many of the points I pointed
out in an earlier draft of this paper. Critical comments of the respected
reviewers of the Indian Journal of Constitutional Law also have greatly helped
me in clarifying and pin pointing some of the crucial arguments I present here.
[1] Yubaraj
Sangroula, Right To Adequate Standard of Living, Development and Social
Respect and Dignity in SOCIAL RESPONSIVE HUMAN RIGHTS LEGAL EDUCATION (A
Compendium of Conference Proceedings and Papers) SALS Forum, 2004,pp,62-73, at
p.70
[2] Abdullah Al
Faruque, Realization of Economic, Social
and Cultural Rights: A Survey of Issues in HUMAN RIGHTS AND EMPOWERMENT, 85, 85 (Mizanur Rahman ed., 2002).
[3] Bangladesh Italian Marble Works Ltd v.
Bangladesh, 14 BLT (Spl) 1 p 230-231
[4] A.K.M SHAMSUL HUDA, THE CONSTITUTION OF
BANGLADESH (VOL. 1) 206 (Rita Court,
1997)
[5] BAN. CONST. art 8 (2), Sri Suranjit Sen Gupta,
the lone opposition member from National Awami Party (pro-Moscow) in the
Constitution Drafting Committee of 1972 alleged that the draft did not
adequately provide for the establishment of socialism. He suggested that the
words ‘shall not be judicially enforceable’ should be deleted. Ultimately he
refused to sign the Constitution on demand that at least the right to receive
education upto Class 8 be accepted as Fundamental Right. See: Abul Fazl Huq, Constitution-Making in Bangladesh, PACIFIC AFFAIRS,
Vol. 46, No. 1 (Spring, 1973), pp. 59-76, University of British Columbia,
Stable URL: http://www.jstor.org/stable/2756227, Accessed: 24/02/2010.
[6] Id, art. 15
[7] Id, arts.
44 & 102
[8] In the original Constitution, it was
‘Socialism’ unqualified and simple. Later on the qualifying phrases meaning economic and social justice were
included. The rationale behind the change was obviated due to the emergence of
capitalist forces having a strong US leaning to the power. The socialistic
inspirations of the revolutionary leadership were in marked distinction with
the free-market de-regularized economy professed by the erstwhile Pakistani
military elite. The military establishment usurping power in Bangladesh in 1975
was in no way comfortable with a ‘basically socialist’ Constitution. Hence it
was thought better to concoct the original socialism to a mere socialism in ink
and paper. An individualist capital economy was given priority over the greater
purpose of social and political justice. Consequently, in a bid to attract
direct foreign capital most of the nationalized industries were
de-nationalized. State-owned banks, financial institutions, trading concerns
fall to private hands. The shares until recently held by the government in many
enterprises were sold to the private individuals or companies. See - REHMAN
SOBHAN, BANGLADESH PROBLEMS OF GOVERNANCE 36 (UPL Dhaka, 1995)
[9] Khandker Delwar Hossain v. Bangladesh Italian
Marble Works Ltd (Civil Leave to Appeal Petition No 1044/2009) commonly known
as the 5th Amendment Case
(Dec. 12, 2010)
http://supremecourt.gov.bd/judgement/C.P.%20Nos.%201044%20&%201045%20of%202009%20(5th%20Amendment).pdf
(Accessed on: May 12, 2010)
[10] Dr. Shah Alam, Constitutional Issues are political as well as legal: Implementing
the SC 5th Amendment Judgment, THE DAILY STAR, LAW & OUR
RIGHTS, August 28, 2010.
[11] Though the Constitution of
Bangladesh, like that of the Union of India, incorporated the Socio-economic
Rights in a somewhat utopian manner covering a broad range of socio-political
and economic agenda, I am inclined to advocate for recognition only of the
basic minimum necessities of life enshrined in Article 15 as fundamental
rights. Articles 8 to 25 finding place within Part II (Fundamental
Principles of State Policy) of the Constitution cover a vast array of
socio-economic guarantee for the citizens such as Emancipation of peasants and
workers (Art. 14), Rural development and agricultural revolution (Article 16),
Preservation of Public health and morality (Article 18), Equality of
opportunity for all in access to resources and opportunities (Article 20),
preservation of National culture and heritage (Section 23) and Promotion of
international peace, security and solidarity (Article 25) etc.
Presently, Article 15 imposes a
‘fundamental responsibility’ on the State to attain a constant increase of
productive forces and a steady improvement in the material and cultural standard
of living of the people, with a view to securing to its citizens - the
provision of the basic necessities of life, including food, clothing, shelter,
education and medical care; the right to work meaning the right to guaranteed
employment at a reasonable wage having regard to the quantity and quality of
work; and including the right to reasonable rest, recreation and leisure; and
finally the right to social security, meaning the right to public assistance in
cases of undeserved want arising from unemployment, illness or disablement, or
suffered by widows or orphans or in old age, or in other such cases. I wish to
see an immediate, instead of presently deferred, burden on the State regarding
these core Socio-economic rights.
[12] CHRISTOPHER MBAZIRA, LITIGATING SOCIO-ECONOMIC
RIGHTS IN SOUTH AFRICA: A CHOICE BETWEEN CORRECTIVE AND DISTRIBUTIVE JUSTICE 17
(Pretoria University Law Press, 2009)
[13] Md. Zakir Hossain, Good Governance: Road to Implementation of Human Rights in HUMAN RIGHTS AND GOOD GOVERNANCE,
107-118, 115 (Mizanur Rahman ed., 2004)
[14] Soobramoney v. Minister of Health,
KwaZulu-Natal 1998 1 SA 765 (CC)
[15] Khosa and Others v Minister of Social
Development 2004 6 BCLR 596 (CC)
[16] TAC
v Ministers of Health 2002 (10) BCLR 1033 (CC)
[17] Grootboom v
Ostenberg Municipality and Others 2000 3 BCLR 277 (CC)
[18] Sandra Liebenberg, South Africa’s Evolving
Jurisprudence On Socio-Economic Rights (Jan. 2, 2011)
http://www.communitylawcentre.org.za/clc-projects/socio-economic-rights/research/socio-economic-rights-jurisprudence
[19] MBAZIRA, supra note 12, at 43
[20] Anirud Prasad, Human Rights and Socio-Economic justice: A Study with special reference
to India, 12 Civil & Military
L.J., 84, 85 (1976)
[21] Wnifred Rubie
v. Bangladesh 1 BLD 30
[22] Bangladesh v.
Mrs. Winifred Rubie and Others 2 BLD (AD) 34
[23] Article 9 and
11 emphasized on maintaining democratically elected local government
institutions.
[24] Kudrat-E-Elahi
Panir and Others v. Bangladesh 44 DLR (AD) 319, Para 22; Two other important cases where the non-justiciability was
mechanically preached are – Dr.Ahmed Hussein v. Bangladesh 44 DLR (AD) 109 and
Farida Akter v. Bangladesh 57 DLR (2005) 201
[25] Anwar Hossain v
Bangladesh 1989 BLD(Spl) 1, Para 53
[26] Albie Sachs, Social and Economic Rights: Can They Be Made Justiciable? in HUMAN RIGHTS AND EMPOWERMENT, 77, 79
(Mizanur Rahman ed., 2002)
[27] GHULAM RABBANI, CONSTITUTION OF THE PEOPLE’S
REPUBLIC OF BANGLADESH: EASY READER (BANGLA), 49 (Samunnoy, 2008).
[28] Kamal Hossain, Interaction of Fundamental Principles of State Policy and Fundamental
Rights in PUBLIC INTEREST LITIGATION IN SOUTH ASIA: RIGHTS IN SEARCH OF
REMEDIES, 50 (Sara Hossain and Ors ed., 1994)
[29] Francis Coralie v. Union of Delhi, AIR
1981 SC 746
[30] Olga Tellis v. Bombay Municipal Corporation AIR
1981 SC 180
[31] Orissa Starvation Death Proceedings,
National Human Rights Commission of India (HRC), Case No. 37/3/97-LD, 17
January 2003) and People’s Union for Civil Liberties v. Union of India &
Ors (Rajstan Starvation Death Case, 2003) (Jan. 11, 2011)
http://www.communitylawcentre.org.za/ser/casereviews.php
[32]
Paschim Bang Khet Mazdoor Samiti v. State of WB
(1996)4 SCC 37; Consumer Education and Research Centre v.
Union of India (1995) 3 SCC
42; Parmanand Katara v. Union of India (1989) 4 SCC 286.
[34] Mohini Jain v. State of Karnataka (1992)
3 SCC 666; Unni Krishnan J.P v State of Andra Pradesh AIR 1933
SC 2187
[35] State of Himachal Pradesh v. Umed Ram Sharma
(1986) 2 SCC 68
[37] Dr. Moohiuddin Faruque v. Bangladesh and Ors 49
DLR 1997 (AD) 1 (FAP 20 Case), Dr.
Mohiuddin Farooque (BELA) v. Bangladesh 55 DLR (HCD) 69 (Environment Pollution
Case)
[39] Chairman, NBR v. Advocate Julhas Uddin 15 MLR
(AD) 457
[40] Dr. Mohiuddin Faruque v. Bangladesh 48 DLR
(1996) 438 (Radio Active Milk powder case)
[41] Retired Government Employees Welfare
Association v. Bangladesh 46 DLR 426.
[42] Asha P James, The forgotten rights - the case for the legal enforcement
of socio-economic rights in the UK national law, 7; Available Online: http://www.ucl.ac.uk/opticon1826/archive/issue2/VfPLAW_SE_rights.pdf
(Accessed on: November 20, 2011)
[43] Colm O’Cinneide, Bringing Socio-economic Rights Back into the Mainstream
of Human Rights: The Case-law of the European Committee on Social Rights as an
Example of Rigorous and Effective Rights Adjudication, 8; Available at SSRN: http://ssrn.com/abstract=1543127
(Accessed On: November 20, 2011)
[44] A. E. Yamin, The Future in the Mirror: Incorporating Strategies for the
Defense and Promotion of Economic, Social, and Cultural Rights into the
Mainstream Human Rights Agenda, 27(3) HUMAN RIGHTS QUARTERLY, 2005, pp.
1200-1244, at 1242.
[45] Asha P James, Supra
Note 42, at 8
[46] Alicia Ely Yamin, & Oscar Parra Vera, The role of courts in defining
health policy: The case of the Colombian Constitutional Court, HARVARD
WORKING PAPER SERIES, Available Online: http://www.law.harvard.edu/programs/hrp/documents/Yamin_Parra_working_paper.pdf
(Accessed On: October 15, 2011)
[47] Mark Tushnet, Enforcing socio-economic rights Lessons from South Africa, 6:3 ESR
REVIEW. 3-4 (2005)
[48] S.A. CONST. § 26
[49] Id. § 27
[50] Id. § 26(2) & 27(2)
[51] Id. § 28(1)(c)
[52] Id. § 29(1)
[53] Id. § 35(2)(e)
[55] Id. § 26(3)
[56] Tara Usher, Adjudication of Socio Economic Rights: One Size Does Not Fit
All, UCL HUMAN RIGHTS REVIEW, vol. 1, no. 1, 2008 pp. 154-171, p 166, Online at http://www.uclshrp.com/review (
Accessed on: October 25, 2011)
[57] Marius
Pieterse, Coming to terms with Judicial
Enforcement of Socio-Economic Rights, 20 SOUTH AFRICAN JOURNAL OF HUMAN
RIGHTS, 383 -417, 385 (2004).
[58] In Modderklip Boerdery (Pty) Ltd and Others v
President of RSA and Another 2005 8 BCLR 786 (CC) eviction of illegal
occupants of a private property posed a complicated scenario. The occupant’s
right not to be evicted without alternative settlement and the plaintiff’s
right to hold and acquire property were in direct conflict. The Court adjudged
the conflicting claims by awarding damages in favor of the plaintiff. The
distributive effect of the judgment lies in the fact that both the plaintiff’s
right to property and the occupant’s right against eviction without
resettlement were upheld at the same time. The State on the other hand
benefited from not having to provide alternative accommodation instantaneously.
MBAZIRA, supra note 12, at 160.
[59] MC Mehta and
another v. Union of India and others AIR 1987 SC 1086
[60] BAN. CONST.
art. 104
[61] Bilkis Akter Hossain v. Bangladesh and others
17 BLD (1997) 395 at p 407
[62] Shah Azhar Uddin Ahmed v. Government of
Bangladesh 33 DLR 171; Here the Court suo
moto proceeded to require a delinquent Minister who was not party to the
original suit and against whom no remedy was claimed pay damages out of his personal account.
[63] 4 MLR (HC) 358
[64] Id, Para 4
[65] Id,
Para 17
[66] Kudrat-E-Elahi Panir and Others v.
Bangladesh 44 DLR (AD) 319
[67] Id, Para 41
[68] Campaign for Fiscal Equity v. State of New York et al. 36 719
N.Y.S.2d 475
[69] Campaign for
Fiscal Equity et al. v. State of New York et al. 100 N.Y. 2d 893
[70] Salma Sobhan,
Executive Director, Ain o Salish Kendra (ASK) v. Government of Bangladesh and
others, W/P No. 6070/1997; Judgment
delivered on 31 May, 2001 (Unreported). A short description of the judgment is
available in Tanim Hossain Shawon, Role
of the Judiciary in ensuring Rule of Law and Justice in HUMAN RIGHTS IN
BANGLADESH 2001, 45 (ASK, 2002).
[71] Dr. Mohiuddin
Farooquee v. Bangladesh 55 DLR (2003) 613
[72] Id, Para 14
[73] Id, Para 15
[74] Ahsan Ullah and
3 others v. Bangladesh 44 DLR 179Para 68s
[76] Grootboom v
Ostenberg Municipality and Others 2000 3
BCLR 277
[77] Sibiya and
Others v DPP, Johannesburg High Court and Others [2006] ZACC 22
[78]Maj. Gen (Rtd) K
M Shafiullah v. Bangladesh, W.P 4313/2009 (HCD) 340; (Dec. 25, 2010)
http://supremecourt.gov.bd/judgement/WRIT%20PETITION%20NO.%204313%20OF%202009.pdf
[79] Masder Hossain v. Secretary, Ministry of Finance 18 BLD 558
[80] Secretary,
Ministry of Finance v. Masdar Hossain 52 DLR(AD) 82
[81] Id, Para 49
[82] M
Rafiqul Islam, Apex court
ruling on separation of judiciary: A
case of enforcer becoming violator, THE DAILY STAR, LAW & OUR RIGHTS, October 7, 2006.
[83] Susan P Sturm, A normative theory of public law remedies, (1991) 79
GEORGE TOWN LAW JOURNAL, 1368-1375; Available Online http://www.changecenter.org/research-publications/sturm-publications/A%20Normative%20Theory%20of%20Public%20Law%20Remedies.pdf/at_download/file
(Accessed on: October 18, 2011)
[84] §§ 89A, 89B
& 89C, THE CODE OF CIVIL PROCEDURE, 1908
[85] The Bank Companies Act 1991, The Acquisition
and Requisition of Immovable Property Ordinance 1982, The Family Courts
Ordinance 1985, The Muslim Family Laws Ordinance 1961, The Industrial Relations
Ordinance 1969 and The Cooperative Societies Rules 2004 etc are a few of the
many statutes empowering the court to render a bargaining or consensual model
of structural interdict.
[86] NAIM AHMED, PUBLIC INTEREST LITIGATION IN
BANGLADESH CONSTITUTIONAL ISSUES AND REMEDIES, 151 (BLAST, 1999)
[88] SK AGRAWALA,
PUBLIC INTEREST LITIGATION IN INDIA: A CRITIC, 26 (Tripathi & Indian Law
Institute, 1985)
[89] (2004) 4 BCLR
410 (E)
[90] 53 DLR 414
[91] Id, Para 10
[92] Id, Para 11
[93] Dr. Mohiuddin Farooque (BELA) v. Bangladesh
55 DLR (HCD) 69
[94] Id, Para 56
[95] Id, Para 59
[96] Id, Para 61
[97] Human Rights
and Peace for Bangladesh v. Bangladesh (W/P No 324/2009) 30 BLD (HCD) 125
[98] R. Kunnemann, The
Right To Food: The Twelve Misconceptions in HUMAN RIGHTS SUMMER
SCHOOL MANUAL (Mizanur Rahman, ed) 2001) 129-144, 131
[99] David Beetham, Democracy
and Human Rights: Civil, Political, Economic, Social and Cultural in HUMAN
RIGHTS AND EMPOWERMENT (Mizanur Mizanur ed., 2002) 19-39, 30
[100] SR Osmani, Realizing
the Right to Development in Bangladesh: Progress and Challenges, THE
BANGLADESH DEVELOPMENT STUDIES Vol.
XXXIII, March-June 2010, Nos. 1 & 2, 25- 90, 35 -37
[101] Id, 45- 46
[102] Id, 52
[103] Independent Review of Bangladesh’s Development (IRBD), State of the
Bangladesh Economy in FY2009-10: From Stability to Accelerated Growth, CENTRE
FOR POLICY DIALOGUE (CPD), Dhaka, 11 January 2010; 69 Available:www.cpd.org.bd/downloads/IRBD_FY10_1stInterim.pdf (Accessed on: October 22, 2011)
[104] Id, 70-71
[105] SR Osmani, supra
note 100, 35
Subscribe to:
Posts (Atom)
In defence of the original constitution
[In October and November 2024 , Sifat Tasneem and I wrote a three-part series on Lawyer'sClub[dot]com calling the attempt to abrogate th...
-
বাংলাদেশের নির্বাচন সংকট ও সমাধান চিন্তা ড এম জসিম আলী চৌধুরী প্রভাষক , আইন বিভাগ , ইউনিভার্সিটি অব হল , যুক্তরাজ্য ...
-
'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' ব্যবস্থা: একটি সাংবিধানিক মূল্যায়ন ও বিকল্প সন্ধান (The Caretaker Government: A Constitutional Evaluation and S...
-
সমসাময়িক জুকারবার্গের ফেসবুক, প্লেটোর রিপাবলিক ও সাক্ষ্য আইনের সহজ পাঠ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান daily suprobhat bangladesh 27 august ...