Sunday, December 9, 2012

Bekuber Commonwealth Shopno

A personal experience regarding the Commonwealth Scholarship has been Published in the Daly Shuprobhat Bangladesh (Chittagong)
Here is the Link:
http://suprobhat.com/details.php?reqDate=2012-11-13%2000:00:00&catId=4&subCatId=8&conId=28755

here is the details of the write up

দৃষ্টিপাত
বেকুবের কমনওয়েলথ স্বপ্ন• এম জসিম আলী চৌধুরী


কমনওয়েলথ স্কলারশীপ ২০১৩ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নৈরাজ্যকর স্বেচ্ছচারিতা আর অনিয়ম লাজলজ্জার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক এ উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ মেধাবী ও মধ্যবিত্ত পারিবারিক বলয়ে বেড়ে উঠা শিক্ষকদের চির আরাধ্য।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম স্থান সহ শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী নিয়ে পাশ করার পর ভাবলাম, একবার চেষ্টা করেই দেখি না কেন। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ বৃত্তির জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পর থেকেই। গবেষণা আর লেখালেখিতে হাত পাকাতে লেখা শুরু করি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায়। আনুমানিক সাড়ে চার বছর সরকারি বেসরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় দেশি-বিদেশী পেশাগত গবেষণা জার্নালে আমার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ৯ টি। এছাড়া বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইনের উপর একটি গবেষণাধর্মী বই ও লিখছে। বোদ্ধা মহল প্রশংসাও করেছেন। অবশ্য বেশ অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম আবেদনকারীর বাবা-কাকা পর্যায়ে কেউকাটা কেউ না থাকলে এ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু নিজের সামর্থ্য আর পরিশ্রমী মানসিকতার উপর অতি আস্থাশীল ছিলাম বলে ুদুর্মুখের কথায়চ কান দিইনি। কিন্তু বিধি বাম। দুর্নীতির ইউজিসি স্টাইলটি চারিদিক থেকেই বেশ নিপুণ এবং এতে বেশ মুন্সিয়ানার ছাপ আছে।

প্রতিবছর সাধারণত জুলাই-অগাস্ট মাসে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের বিজ্ঞপ্তি আসে। আবেদন যাচাই বাছাই করার পর সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ নেয়া হয়। এবার অগাস্টের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপের নোটিশ পেয়ে স্যারদের জিজ্ঞেস করলাম, স্কলারশিপের নোটিশ কবে পাব। প্রায় সবাই বললেন কদিন পরে পাবে। বহুলপ্রচারিত পত্রিকাগুলোতে নজর রাখছিলাম। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নোটিশ আসে কিনা তাও খেয়াল করছিলাম। কোনটাই না পেয়ে ১৫ অগাস্ট তারিখে ইউজিসি ওয়েব সাইটে গেলাম। সেখানে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নামে একটি লিংক পেলাম বটে, কিন্তু ক্লিক করলে কাজ করে না। ১৯ তারিখ সন্ধ্যা বেলা গুগলে সার্চ দিলাম আবার। এবার দেখি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে একটি লিংক আছে। তাড়াতাড়ি ওপেন করলাম। কিন্তু আবেদন করার শেষ সময় ২০ তারিখ। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল বটে। তবে সেটি এমন একটি পত্রিকা যেটির পাঠক সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য।

চট্টগ্রাম থেকে ১৯ তারিখ রাতে না হয় ঢাকা গেলাম। কিন্তু আবেদনের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে অনুমোদন পত্রটি লাগবে ১৯ তারিখ রাতের বেলা সেটি কোথায় পাই? তারপরও আশায় ভর করলাম। আমার ঢাকাগামী এক ছাত্রকে পাওয়া গেল। এক ঘণ্টার মধ্যে মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তির জন্য একটি আবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দিলাম। পরদিন ২০ তারিখ ক্লাস ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছুটলাম। সবগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে একটি অনাপত্তি পত্র পেতে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ। এ টেবিল সে টেবিল ঘুরে অনেকের সহায়তায় একদিনেই যোগাড় করলাম। এবার ফ্যাক্স করার পালা। ইউজিসিতে অবস্থানরত ছাত্রটির মারফত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে অনুরোধ করে ফ্যাক্স কপি গ্রহণের ব্যবস্থা করলাম। ওনাকে কথা দিলাম পরের দিন অবশ্যই অনাপত্তি পত্রের মূল কপি উনার টেবিলে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তাটি অবশ্য আমার ছাত্রকে বলেছিলেনও বটে। এগুলো তো আগে থেকেই ঠিক থাকে। এ বেকুবের বিশ্বাস হয় নি। সে রাতেই মূল কপিটি ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।

সামাজিক বলয় ও বন্ধু মহলের অনেককেই বলতে শুনি এ রকম শেষ মুহূর্তে ছোটাছুটি করে কিছু করলে নাকি সেটা সফল হয়। কিছুটা বিশ্বাস করাও শুরু করলাম। মনে হয় স্কলারশিপটা হয়ে যাবে। কিন্তু ইউজিস্থির চিন্তা ভিন্ন। অক্টোবরে ইন্টারভিউ হয় জেনে পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে ইউজিসির ওয়েব সাইটে পাহারা দিলাম। আবেদনপত্রে আমার ফোন নম্বর, ই মেইল ঠিকানা এবং ডাক ঠিকানা ছিল। সব দিক থেকেই কড়া নজরদারি করছিলাম। ফোন আসে না, মেইল পাই না, চিঠিও আসে না। ওয়েব সাইটেও কিছু নেই। কোরবানির ছুটি এসে পড়ল। মনে করলাম ছুটির পর মনে হয় ডাকবে। গ্রামে চলে গেলাম। অক্টোবরের ৩০ তারিখ ইউজিসি ওয়েবে আবার গেলাম। না কিছুই নেই। নভেম্বরের ৩ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খুলল। কোন চিঠি আসে নি। ৫ তারিখ রাতের বেলা ওয়েবে আবার গিয়ে দেখি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ হয়ে গেছে ৪ তারিখ। ঢাকায় অবস্থানরত এক বড় ভাইকে (তিনি পিএইচড্থির জন্য আবেদন করেন) ফোন করি। তিনি জানালেন নভেম্বররের প্রথম দুই দিন তিনি ইউজিসি ওয়েব সাইটে ঢুকতেই পারেন নি। ৩ তারিখ সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখে চার তারিখে ইন্টারভিউতে হাজির হন। পিএইচডি বৃত্তিটি অবশ্য তিনি পান নি। এটি এক নামি অধ্যাপকের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সন্তান বাগিয়ে নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থেকেও আমি নিজের দাবি তুলে ধরার কোন সুযোগ পেলাম না। মাস্টার্স প্রোগ্রামের বৃত্তিটি আমার চেয়ে অনেক জুনিয়র একজন পেয়েছেন। এখন শুনছি আরেক কথা। তাকে নাকি বলা হচ্ছে, তিনি আসলে বৃত্তি পান নি। ভুলক্রমে তাকে ফোন করা হয়েছিল!


যা হোক ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ইন্টারভিউ কার্ড আসে। আমাকে ৪ নভেম্বরের পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে! আগ্রহ নিয়ে খুললাম। দেখি ডেপুটি সেক্রেটারি চিঠি সই করেছেন ১০ অক্টোবর। তাহলে ৭ নভেম্ভর চিঠি আসে কি করে? চিঠি কবে ছাড়া হয়েছিল? আবেদন করার সময় আমাদের কাছ থেকে ফেরত খাম ও পাঁচ টাকার পোস্টাল ষ্ট্যামপ নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী চিঠিটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসার কথা। পোস্ট অফিসে দিলে যেদিন ঢাকা থেকে চিঠি ছাড়া হবে সেদিনের একটি সিল থাকবে। যেদিন চট্টগ্রাম আসবে সেদিনেরও একটি সিল থাকবে। কিন্তু ইউজিসি এত বোকা নয়। তাঁরা আমার পোস্টাল ষ্ট্যামপগুলো তুলে ফেরত খামটি কুরিয়ার সার্ভিসে ছেড়ে দেয়। কুরিয়ায়র সার্ভিস চিঠির গায়ে কোন তারিখ দেয় না। ফলে চিঠি ইচ্ছে করে দেরিতে ছাড়া হয়েছিল এমন কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই।
একবার ভাবলাম রিট করব। আবার ভাবলাম সুপ্রিম কোর্টের উকিলদের যে ফি তা আমার মত ছা- পোষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষকের বেতনের সাধ্যে কুলাবে না। অবশ্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারক যদি লেখাটি পড়েন তা হলে ভিন্ন কথা। তিনি একটি স্বতঃ প্রণোদিত রুল দিলেও দিতে পারেন। অন্তত এ সান্ত্বনাটুকু পাব যে, ন্যায়বিচার বলে কিছু একটা এ দেশে আছে।



লেখক : প্রভাষক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


Here is the image of the wrtie up

No comments:

Post a Comment

নতুন সংবিধান বিতর্ক: ১৯৭২ এর সংবিধানের “ত্রুটি”

নতুন সংবিধান বিতর্ক:  ১৯৭২ এর সংবিধানের “ত্রুটি” ড. এম জসিম আলী চৌধুরী  প্রভাষক আইন বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব হাল, যুক্তরাজ্য  সিফাত তাসনীম আইন...